Skip to content

মসীহর জন্ম: ভাববাদীদের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী এবং জিব্রিলের দ্বারা ঘোষণা

প্রাচীন ইস্রায়েলের ভাববাদীদের বই তৌরাত এবং যাবুরের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পর্যালোচনা সম্পূর্ণ করেছি I আমরা আমাদের যাবুরের সমাপ্তির মধ্যে দেখলাম যে সেখানে ভবিষ্যত প্রত্যাশিত প্রতিশ্রুতিগুলোর পূর্ণতার এক ধরণ  ছিল I 

তবে যাবুরের সমাপ্তির পরে চার শত বছর পেরিয়ে গেছে I আমরা দেখলাম যে ইস্রায়েলীয়দের ইতিহাসের মধ্যে অনেক রাজনৈতিক এবং ধার্মিক ঘটনা ঘটল যখন তারা প্রতিশ্রুতিগুলোর পূরণের জন্য অপেক্কা করছিল, তবে কোনো ভাববাদীদের থেকে কোনো নতুন বার্তা দেওয়া হল না I ইস্রায়েলীয়রা যাইহোক, মহান হেরোদের শাসনের মধ্য দিয়ে মন্দিরের ক্রমাগত বিকাশ করতে থাকল যতক্ষণ না এটি একটি দুর্দান্ত কাঠামোতে পরিণত হল, পুরো রোমীয় সাম্রাজ্য জুড়ে লোকেদেরকে এর আরাধনা, বলিদান এবং প্রার্থনাতে আকৃষ্ট করল I যাইহোক, লোকেদের হৃদয়, যদিও অতিশয় ধার্মিক এবং এখন মুর্তিপূজা থেকে দুরে রয়েছিল যা পূর্ববর্তী ভাববাদীদের সময়ে তাদেরকে এতটাই আটকে রেখেছিল, কঠোর এবং বাহ্যিকভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল I আজকের দিনে ঠিক আমাদের মধ্যে অনেকের মতই, ধার্মিক ক্রিয়াকলাপ এবং প্রার্থনা সমূহের মাঝে লোকেদের হৃদয় বদলাতে হবে I সুতরাং মহান হেরোদের শাসনের শেষ দিকে, 5 খ্রীষ্টপূর্বাব্দের পাশাপাশি, এক অনন্য ভাববাদীকে এক মহান ঘোষণা করতে পাঠানো হল I

সুরাহ মরিয়ম (সুরাহ 19) মরিয়মকে দেওয়া বার্তার সারাংশ দেয়

 এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও।সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব।মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ?সে বললঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ করতে চাই। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।

সুরাহ মরিয়ম 19:16-21

জিব্রীল বাপ্তিস্মদাতা যোহনের (যাহয়া – পিবি ইউএইচ) আগমনের কথা ঘোষণা করেন

বার্তাবাহক ছিলেন জিব্রীল, এছাড়াও আল কিতাবে (বাইবেলে) শ্রেষ্ঠ শ্রেনীর দেবদূত গাব্রিয়েল বলেও পরিচিত ছিলেন I এই সময় পর্যন্ত তাকে কেবল দানিয়েলের (পিবিইউএইচ) কাছে মসীহর আগমন সম্বন্ধে বার্তা (এখানে দেখুন) দিতে পাঠানো হয়েছিল I এখন জিব্রীল (বা গাব্রিয়েল) সখরিয় (জাকারিয়া পিবি ইউএইচ) নামক এক যাজকের কাছে এলেন যখন তিনি মন্দিরের মধ্যে প্রার্থনা করছিলেন I তিনি এবং তার স্ত্রী ইলীশাবেৎ উভয়ই বৃদ্ধ হয়েছিলেন এবং কোনো সন্তান ছিল না I তবে জিব্রীল তার কাছে আবির্ভূত হলেন নিম্নলিখিত বার্তার সাথে যেমনটি ইঞ্জিলে (সুসমাচারে) নথিভুক্ত আছে:   

  13 কিন্তু স্বর্গদূত তাঁকে বললেন, ‘সখরিয় ভয় পেও না, কারণ তুমি য়ে প্রার্থনা করেছ, ঈশ্বর তা শুনেছেন৷ তোমার স্ত্রী ইলীশাবেতের একটি পুত্র সন্তান হবে, তুমি তার নাম রাখবে য়োহন৷
14 সে তোমার জীবনে আনন্দ ও সুখের কারণ হবে, তার জন্মের দরুণ আরো অনেকে আনন্দিত হবে৷
15 কারণ প্রভুর দৃষ্টিতে য়োহন হবে এক মহান ব্যক্তি৷ সে অবশ্যই দ্রাক্ষারস বা নেশার পানীয় গ্রহণ করবে না৷ জন্মের সময় থেকেই য়োহন পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হবে৷
16 ইস্রায়েলীয়দের অনেক লোককেই সে তাদের প্রভু ঈশ্বরের পথে ফেরাবে৷
17 য়োহন এলীয়েরআত্মায় ও শক্তিতে প্রভুর আগে চলবে৷ সে পিতাদের মন তাদের সন্তানদের দিকে ফেরাবে, আর অধার্মিকদের মনের ভাব বদলে ধার্মিক লোকদের মনের ভাবের মতো করবে৷ প্রভুর জন্য সে এইভাবে লোকদের প্রস্তুত করবে৷’
18 তখন সখরিয় সেই স্বর্গদূতকে বললেন, ‘আমি কিভাবে জানব য়ে সত্যিই এসব হবে? কারণ আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি, আর আমার স্ত্রীরও অনেক বয়স হয়ে গেছে৷’
19 এর উত্তরে স্বর্গদূত তাঁকে বললেন, ‘আমি গাব্রিয়েল, ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি; আর তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য ও তোমাকে এই সুখবর দেবার জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে৷
20 কিন্তু জেনে রেখো! এইসব ঘটনা ঘটা পর্যন্ত তুমি বোবা হয়ে থাকবে, কথা বলতে পারবে না, কারণ তুমি আমার কথা বিশ্বাস করলে না, কিন্তু আমার এইসব কথা নিরুপিত সময়েই পূর্ণ হবে৷’

লুক:13-20

যাবুর সেই প্রস্তুতকারীর আগমনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমাপ্ত করেছিল যিনি  এলিয়র (পিবিইউএইচ) মতন হবেন I জিব্রীল এই নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতিকে এই বলে স্মরণ করেন যে সখরিয়র (বা জাকারিয়া – পিবিইউএইচ) পুত্র ‘এলিয়র আত্মায় এবং পরাক্রমে’ আসবেন I তিনি প্রভুর জন্য ‘লোকেদের প্রস্তুত করতে’ আসছিলেন I এই ঘোষণাটির অর্থ হল যে প্রস্তুতকারীর প্রতিশ্রুতিকে ভুলে যাওয়া হয় নি – এটি সখরিয় (বা জাকারিয়া) এবং ইলীশাবেতের আসন্ন পুত্রের জন্ম এবং জীবনের মধ্য দিয়ে পূর্ণ হবে I যাইহোক, যেহেতু সখরিয় বার্তাটিকে বিশ্বাস করল না তিনি বোবা হয়ে রইলেন I

জিব্রীল কুমারীর থেকে আসন্ন জন্মের কথা ঘোষণা করলেন

প্রস্তুতকারীর আগমনের অর্থ হল যে একদল লোকদের প্রস্তুত করা হচ্ছিল – মসীহ বা খ্রীষ্ট বা মেসিয়াহর জন্য – যিনি খুব শীঘ্রই আসবেন I অবশ্যই যথেষ্ট, কয়েক মাস পরে, জিব্রীলকে (গাব্রিয়েল) মরিয়ম নামক একজন যুবতী কুমারীর কাছে পাঠানো হ’ল নিম্নলিখিত ঘোষণার সাথে যা ইঞ্জিলে (সুসমাচার) নথিভুক্ত করা হয়েছিল I

28 গাব্রিয়েল মরিয়মের কাছে এসে বললেন, ‘তোমার মঙ্গল হোক্! প্রভু তোমার প্রতি মুখ তুলে চেয়েছেন, তিনি তোমার সঙ্গে আছেন৷’
29 এই কথা শুনে মরিয়ম খুবই বিচলিত ও অবাক হয়ে ভাবতে লাগলেন, ‘এ কেমন শুভেচ্ছা?’
30 স্বর্গদূত তাঁকে বললেন, ‘মরিয়ম তুমি ভয় পেও না, কারণ ঈশ্বর তোমার ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন৷
31 শোন! তুমি গর্ভবতী হবে আর তোমার এক পুত্র সন্তান হবে৷ তুমি তাঁর নাম রাখবে যীশু৷
32 তিনি হবেন মহান, তাঁকে পরমেশ্বরের পুত্র বলা হবে, আর প্রভু ঈশ্বর তাঁর পিতৃপুরুষ রাজা দাযূদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন৷
33 তিনি যাকোবের বংশের লোকদের ওপরে চিরকাল রাজত্ব করবেন, তাঁর রাজত্বের কখনও শেষ হবে না৷’
34 তখন মরিয়ম স্বর্গদূতকে বললেন, ‘এ কেমন করে সন্ভব? কারণ আমি তো কুমারী!’
35 এর উত্তরে স্বর্গদূত বললেন, ‘পবিত্র আত্মাতোমার ওপর অধিষ্ঠান করবেন আর পরমেশ্বরের শক্তি তোমাকে আবৃত করবে; তাই য়ে পবিত্র শিশুটি জন্মগ্রহণ করবে তাঁকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হবে৷
36 আর শোন, তোমার আত্মীযা ইলীশাবেত্ যদিও এখন অনেক বৃদ্ধা তবু সে গর্ভে পুত্রসন্তান ধারণ করছে৷ এই স্ত্রীলোকের বিষয়ে লোকে বলত য়ে তার কোন সন্তান হবে না, কিন্তু সে এখন ছমাসের গর্ভবতী৷
37 কারণ ঈশ্বরের পক্ষে কোন কিছুই অসাধ্য নয়!’
38 মরিয়ম বললেন, ‘আমি প্রভুর দাসী৷ আপনি যা বলেছেন আমার জীবনে তাই হোক্!’ এরপর স্বর্গদূত মরিয়মের কাছ থেকে চলে

গেলেন৷ লুক 1:28-38

জিব্রীলের নিজের ঘোষণার মধ্যে আমরা ‘ঈশ্বরের পুত্র’ এই চমকপ্রদ শিরোনামকে  দেখি I আমি এখানে এটিকে আমার নিবন্ধের মধ্যে আরও আলোচনা করি I এই নিবন্ধে জন্ম বিবরণ নিয়ে আমরা চলতে থাকি I

ভাববাদী যাহাহর (বাপ্তিস্মদাতা যোহন – পিবিইউএইচ) জন্ম

ঘটনাগুলো ঠিক সেইভাবে চলছিল যেভাবে যাবুরের ভাববাদীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন I ভাববাদী মালাখি এলিয়র পরাক্রমে আসার একজন প্রস্তুতকারীর সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আর এখন জিব্রীল তার জন্ম সম্বন্ধে ঘোষণা করলেন I ইঞ্জিল চালিয়ে যায়

  57 ইলীশাবেতের প্রসবের সময় হলে তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন৷
58 তাঁর প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনেরা যখন শুনল য়ে প্রভু তাঁর প্রতি কি মহা দযা করেছেন, তখন তারা তাঁর আনন্দে আনন্দিত হল৷
59 শিশুটি যখন আট দিনের, সেইসময় তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে সুন্নত করাতে এলেন৷ সবাই শিশুটির বাবার নাম অনুসারে শিশুর নাম সখরিয় রাখার কথা চিন্তা করছিলেন৷
60 কিন্তু তার মা বলে উঠলেন, ‘না! ওর নাম হবে য়োহন৷’
61 তখন তাঁরা ইলীশাবেতকে বললেন, ‘আপনার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে তো কারও ঐ নাম নেই!’
62 এরপর তারা ইশারা করে ছেলেটির বাবার কাছে জানতে চাইলেন তিনি কি নাম দিতে চান৷
63 সখরিয় ইশারা করে লেখার ফলক চেয়ে নিলেন ও তাতে লিখলেন, ‘ওর নাম য়োহন৷’ এতে তাঁরা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেলেন,
64 তখনই সখরিয়র জিভের জড়তা চলে গেল ও মুখ খুলে গেল, আর তিনি ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগলেন৷
65 আশপাশের সকলে এতে খুব ভয় পেয়ে গেল, যিহূদিযার পার্বত্য অঞ্চলের লোকরা সকলে এবিষয়ে বলাবলি করতে লাগল৷
66 যাঁরা এসব কথা শুনল তারা সকলেই আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগল, ‘ভবিষ্যতে এই ছেলেটি কি হবে?’ কারণ প্রভুর শক্তি এর সঙ্গে আছে৷

লুক 1:57-66

ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ জন্ম

ভাববাদী যিশাইয় (পিবিইউএইচ) অনন্য ভাববাণীটির (সম্পূর্ণরূপে এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে) ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে

  14 ঈশ্বর আমার প্রভু, তোমাদের একটা চিহ্ন দেখাবেন:ঐ যুবতী মহিলাটি গর্ভবতী হবে এবং দেখ সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেবে| তার নাম রাখা হবে ইম্মানূযেল|

যিশাইয় 7:14

এখন মুখ্য দেবদূত জিব্রীল মরিয়মের কাছে তার আসন্ন জন্মের কথা ঘোষণা করলেন, এমনকি যদিও তিনি একজন কুমারী স্ত্রী ছিলেন – সুদীর্ঘ কাল পূর্বে প্রদত্ত এই ভাববাণীর সরাসরি পূর্ণতার মধ্যে I এইভাবেই ইঞ্জিল (সুসমাচার) ঈসা আল মসীহর (যীশু – পিবিইউএইচ) জন্মকে নথিভুক্ত করে I  

  4 য়োষেফ ছিলেন রাজা দাযূদের বংশধর, তাই তিনি গালীল প্রদেশের নাসরত্ থেকে রাজা দাযূদের বাসভূমি বৈত্‌লেহমে গেলেন৷
5 য়োষেফ তাঁর বাগ্দত্তা স্ত্রী মরিয়মকে সঙ্গে নিয়ে নাম লেখাতে চললেন৷ এই সময় মরিয়ম ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা৷
6 তাঁরা যখন সেখানে ছিলেন, তখন মরিয়মের প্রসব বেদনা উঠল৷
7 আর মরিয়ম তাঁর প্রথম সন্তান প্রসব করলেন৷ তিনি সদ্য়োজাত সেই শিশুকে কাপড়ের টুকরো দিয়ে জড়িয়ে একটি জাবনা খাবার পাত্রে শুইয়ে রাখলেন, কারণ ঐ নগরের অতিথিশালায় তাঁদের জন্য জায়গা ছিল না৷
8 সেখানে গ্রামের বাইরে মেষপালকেরা রাতে মাঠে তাদের মেষপাল পাহারা দিচ্ছিল৷
9 এমন সময় প্রভুর এক স্বর্গদূত তাদের সামনে উপস্থিত হলে প্রভুর মহিমা চারদিকে উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিল৷ এই দেখে মেষপালকরা খুব ভয় পেয়ে গেল৷
10 সেই স্বর্গদূত তাদের বললেন, ‘ভয় নেই, দেখ আমি তোমাদের কাছে এক আনন্দের সংবাদ নিয়ে এসেছি৷ এই সংবাদ সকলের জন্য মহা আনন্দের হবে৷
11 কারণ রাজা দাযূদের নগরে আজ তোমাদের জন্য একজন ত্রাণকর্তার জন্ম হয়েছে৷ তিনি খ্রীষ্ট প্রভু৷
12 আর তোমাদের জন্য এই চিহ্ন রইল, তোমরা দেখবে একটি শিশুকে কাপড়ে জড়িয়ে একটা জাবনা খাবার পাত্রে শুইয়ে রাখা হয়েছে৷’
13 সেই সময় হঠাত্ স্বর্গীয় বাহিনীর এক বিরাট দল ঐ স্বর্গদূতদের সঙ্গে য়োগ দিয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে বললেন,
14 ‘স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমা, পৃথিবীতে তাঁর প্রীতির পাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি৷’
15 স্বর্গদূতেরা তাদের কাছ থেকে স্বর্গে ফিরে গেলে মেষপালকরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, ‘চল, আমরা বৈত্‌লেহমে যাই, প্রভু আমাদের য়ে ঘটনার কথা জানালেন সেখানে গিয়ে তা দেখি৷’
16 তারা সেখানে ছুটে গেলে মরিয়ম, য়োষেফ এবং সেই শিশুটিকে একটি জাবনা খাবার পাত্রে শোযানো দেখল৷
17 মেষপালকেরা শিশুটিকে দেখতে পেয়ে, সেই শিশুটির বিষয়ে তাদের যা বলা হয়েছিল সেকথা সকলকে জানাল৷
18 মেষপালকদের মুখে ঐ কথা যাঁরা শুনল তারা সকলে আশ্চর্য হয়ে গেল৷
19 কিন্তু মরিয়ম এই কথা মনের মধ্যে গেঁথে নিয়ে সব সময় এবিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন৷
20 এরপর মেষপালকরা তাদের কাছে যা বলা হয়েছিল সেই অনুসারে সব কিছু দেখে ও শুনে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে করতে ঘরে ফিরে গেল৷
21 এর আট দিন পরে সুন্নত করার সময়ে শিশুটির নাম রাখা হল যীশু৷ তাঁর মাতৃগর্ভে আসার আগেই স্বর্গদূত এই নাম রেখেছিলেন৷

লুক 2:4:21

এই দুই মহান ভাববাদীগণের আসন্ন ভূমিকা সমূহ

দুই মহান ভাববাদীগণ একে অপরের থেকে কয়েক মাসের ব্যবধানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, উভয়ই নির্দিষ্ট ভাববাণী সমূহের পরিপূর্ণতায় যা কয়েক শত বছর পূর্বে দেওয়া হয়েছিল! তাদের জীবন এবং বার্তা সমুহ কেমন হবে? বাপ্তিস্মদাতা যোহন (যাহায়) জাকারিয়া (বা সখরিয় – পিবিইউএইচ), উভয় পুত্রদের সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে:

  67 পরে ছেলেটির বাবা সখরিয় পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে ভাববাণী বলতে লাগলেন:
68 ‘ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা হোক্, কারণ তিনি তাঁর নিজের লোকদের সাহায্য করতে ও তাদের মুক্ত করতে এসেছেন৷
69 আমাদের জন্য তিনি তাঁর দাস দাযূদের বংশে একজন মহাশক্তিসম্পন্ন ত্রাণকর্তাকে দিয়েছেন৷
70 এ বিষয়ে তাঁর পবিত্র ভাববাদীদেরমাধ্যমে তিনি বহুপূর্বেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷
71 শত্রুদের হাত থেকে ও যাঁরা আমাদের ঘৃণা করে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি৷
72 তিনি বলেছিলেন, আমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি দযা করবেন এবং তিনি সেই প্রতিশ্রুতি স্মরণ করেছেন৷
73 এ সেই প্রতিশ্রুতি যা তিনি আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহামের কাছে করেছিলেন৷
74 শত্রুদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি য়েন আমরা নির্ভয়ে তাঁর সেবা করতে পারি:
75 আর আমাদের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর দৃষ্টিতে পবিত্র ও ধার্মিক থেকে তাঁর সেবা করে য়েতে পারি৷
76 এখন হে বালক, তোমাকে বলা হবে পরমেশ্বরের ভাববাদী; কারণ তুমি প্রভুর পথ প্রস্তুত করবার জন্য তাঁর আগে আগে চলবে৷
77 তুমি তাঁর লোকদের বলবে, ঈশ্বরের দযায় তোমরা পাপের ক্ষমা দ্বারা উদ্ধার পাবে৷
78 কারণ আমাদের ঈশ্বরের দযা ও করুণার উর্দ্ধ থেকে এক নতুন দিনের ভোরের আলো আমাদের ওপর ঝরে পড়বে৷
79 যাঁরা অন্ধকার ও মৃত্যুর ছাযায় বসে আছে তাদের ওপর সেই আলো এসে পড়বে; আর তা আমাদের শান্তির পথে পরিচালিত করবে৷’ ()

লুক:1:67:69

সখরিয় (পিবিইউএইচ) একটি অনুপ্রাণিত ফিরিস্তি পেয়ে, দাবুদ (পিবিইউএইচ – প্রতিশ্রুতিটিকে এখানে দেখুন) তথা ইব্রাহিমের (পিবি ইউএইচ – প্রতিশ্রুতিটিকে এখানে দেখুন) একটি প্রতিশ্রুতির সাথে ঈসার (যীশু) জন্মকে সংযুক্ত করেন I ঈশ্বরের পরিকল্পনাকে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বৃদ্ধি পেয়ে এখন এর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁচচ্ছিল I তবে এই পরিকল্পনায় কি জড়িত থাকবে? এটি কি শত্রু রোমীয়দের থেকে পরিত্রাণ ছিল? এটি কি মশির (পিবিইউএইচ) ব্যবস্থার বদলে নতুন ব্যবস্থা ছিল? এটি কি একটি নতুন ধর্ম বা রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল? এগুলোর মধ্যে কোনটারই (যেগুলোকে আমরা মনুষ্যরা ঘটবে বলে তাকিয়ে থাকি) উল্লেখ নেই I পরিবর্তে উল্লিখিত পরিকল্পনাটি হ’ল ‘তাদের পাপের ক্ষমার মাধ্যমে পরিত্রাণের সাথে’ আমাদের ঈশ্বরের কোমল দয়ার দ্বারা অনুপ্রাণিত তাদের জন্য যারা আমাদের মধ্যে ‘বাস  করছে … মৃত্যুর ছায়ায়’ ‘শান্তির পথের মধ্যে আমাদের চরণকে নির্দেশ   করতে ‘পবিত্রতা এবং ধার্মিকতার মধ্যে ভীতিহীনভাবে তাঁর সেবা করতে সক্ষম করে তোলে’ I আদমের পর থেকে আমাদের শত্রুতা ও মৃত্যুর নিন্দা করা হয়েছে যখন আমরা ন্যায়পরায়ণতা অর্জন করতে আমাদের পাপের থেকে ক্ষমা পেতে চেষ্টা করি I আর আদম, হবা এবং শয়তানের সামনে, আল্লাহ এক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন যা ‘স্ত্রীটির’ থেকে উদ্ভূত এক ‘বংশধরের’ উপর কেন্দ্রীভূত ছিল I নিশ্চিতভাবে এই ধরণের পরিকল্পনা আমাদের দৃষ্টিতে  যুদ্ধ সমূহ এবং চিন্তাধারা ও আচরণের পদ্ধতিগুলোর চেয়ে বেশি ভাল I এই পরিকল্পনা আমাদের গভীরতম চাহিদাগুলোকে পূরণ করবে, আমাদের উপরিভাগের  প্রয়োজনগুলোকে নয় I কিন্তু প্রস্তুতকারী এবং মসীহর জন্য কিভাবে এই পরিকল্পনা উদঘাটিত হবে? আমরা সুসমাচার বা ইঞ্জিল সম্বন্ধে জানতে থাকি I      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *