Skip to content

নবী ঈশা আল মসীহ (পিবিইউএইচ) এবং যোনার চিহ্ন

কুরায়েশ (বা কুরাইশ) আরব উপজাতি ছিল যারা মক্কা এবং কাবাকে নিয়ন্ত্রণ করত, এবং নবী মুহম্মদ পিবিইউএইচ এই উপজাতি থেকে ছিলেন I (সুরা 106 – কুরায়েশ) কুরায়েশের উপভোগ করা অনুকুল নিয়ম সমূহের বর্ণনা করে I   

 কোরাইশের আসক্তির কারণে,আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।

সুরা কুরায়েশ 106:1-2

    1 কোরাইশের আসক্তির কারণে,

    2 আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।

তবে সুরা ইউনুস (সুরা 10 – যোনাহ) নবী মহম্মদের বার্তাকে কুরাইশের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময়ে কি ঘটেছিল তার বর্ণনা করে I

মানুষের কাছে কি আশ্চর্য লাগছে যে, আমি ওহী পাঠিয়েছি তাদেরই মধ্য থেকে একজনের কাছে যেন তিনি মানুষকে সতর্ক করেন এবং সুসংবাদ শুনিয়ে দেন ঈমনাদারগণকে যে, তাঁদের জন্য সত্য মর্যাদা রয়েছে তাঁদের পালনকর্তার কাছে। কাফেররা বলতে লাগল, নিঃসন্দেহে এ লোক প্রকাশ্য যাদুকর।সুরা

ইউনুস 10:2

মানুষের কাছে কি আশ্চর্য লাগছে যে, আমি ওহী পাঠিয়েছি তাদেরই মধ্য থেকে একজনের কাছে যেন তিনি মানুষকে সতর্ক করেন এবং সুসংবাদ শুনিয়ে দেন ঈমনাদারগণকে যে, তাঁদের জন্য সত্য মর্যাদা রয়েছে তাঁদের পালনকর্তার কাছে। কাফেররা বলতে লাগল, নিঃসন্দেহে এ লোক প্রকাশ্য যাদুকর।

তার বার্তা প্রত্যাখ্যান করার মধ্যে, সুরাহ আল-কমার (সুরাহ 54-চাঁদ) কুরাইশকে হুঁশিয়ারী দেয় তারা যার সম্মুখীন হয়েছিল সেই সম্বন্ধে…

তোমাদের মধ্যকার কাফেররা কি তাদের চাইতে শ্রেষ্ঠ ? না তোমাদের মুক্তির সনদপত্র রয়েছে কিতাবসমূহে?না তারা বলে যে, আমারা এক অপরাজেয় দল?এ দল তো সত্ত্বরই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে।বরং কেয়ামত তাদের প্রতিশ্রুত সময় এবং কেয়ামত ঘোরতর বিপদ ও তিক্ততর।

সুরা আল=কমার 54:43-46

সুরা ইউনুস এছাড়াও ব্যাখ্যা করে যে যদিও বেশিরভাগ নবীদের তাদের শ্রোতাদের দ্বারা অগ্রাহ্য করা হয়েছিল (যেমন কুরাইশের সাথে), সেখানে একটি ব্যতিক্রম ছিল – নবী যোনাহ (ইউনুস) পিবিইউএইচ I   

 সুতরাং কোন জনপদ কেন এমন হল না যা ঈমান এনেছে অতঃপর তার সে ঈমান গ্রহণ হয়েছে কল্যাণকর? অবশ্য ইউনুসের সম্প্রদায়ের কথা আলাদা। তারা যখন ঈমান আনে তখন আমি তুলে নেই তাদের উপর থেকে অপমানজনক আযাব-পার্থিব জীবনে এবং তাদের কে কল্যাণ পৌছাই এক নিধারিত সময় পর্যন্ত।

সুরা ইউনুস 10:98

সুতরাং কোন জনপদ কেন এমন হল না যা ঈমান এনেছে অতঃপর তার সে ঈমান গ্রহণ হয়েছে কল্যাণকর? অবশ্য ইউনুসের সম্প্রদায়ের কথা আলাদা। তারা যখন ঈমান আনে তখন আমি তুলে নেই তাদের উপর থেকে অপমানজনক আযাব-পার্থিব জীবনে এবং তাদের কে কল্যাণ পৌছাই এক নিধারিত সময় পর্যন্ত।

নবী যোনাহকে বিদেশী লোকেদের কাছে পাঠান হয়েছিল I তবুও তারা তার বার্তাকে তখনও গ্রহণ করেছিল I তবে তিনি তার ভূমিকাকে স্বীকার করেন নি এবং এর থেকে পলায়ন করতে চেষ্টা করতে গিয়ে এক বিরাট মাছের দ্বারা একে জীবন্ত গলাধকরণ করা হয়েছিল I সুরাহ আল-কলম (সুরাহ 68-কলম) বর্ণনা করে কিভাবে তিনি তার অবাধ্যতা সম্পর্কে মাছের মধ্যে অনুতাপ করেছিলেন  এবং নবী হিসাবে পুনর্বহাল করা হয়েছিল I  

 আপনি আপনার পালনকর্তার আদেশের অপেক্ষায় সবর করুন এবং মাছওয়ালা ইউনুসের মত হবেন না, যখন সে দুঃখাকুল মনে প্রার্থনা করেছিল।যদি তার পালনকর্তার অনুগ্রহ তাকে সামাল না দিত, তবে সে নিন্দিত অবস্থায় জনশুন্য প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত হত।অতঃপর তার পালনকর্তা তাকে মনোনীত করলেন এবং তাকে সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন।

সুরাহ আল-কলম 68:48-50

48 আপনি আপনার পালনকর্তার আদেশের অপেক্ষায় সবর করুন এবং মাছওয়ালা ইউনুসের মত হবেন না, যখন সে দুঃখাকুল মনে প্রার্থনা করেছিল। 49 যদি তার পালনকর্তার অনুগ্রহ তাকে সামাল না দিত, তবে সে নিন্দিত অবস্থায় জনশুন্য প্রান্তরে নিক্ষিপ্ত হত। 50 অতঃপর তার পালনকর্তা তাকে মনোনীত করলেন এবং তাকে সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন।

নবী মহম্মদের মতন, নবী ঈসা আল মসীহ তার নিজস্ব লোকেদের (যিহূদি) কাছে গিয়েছিলেন এবং তারা তাকে জাদুবিদ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল ইবন তার বার্তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল I তাই নবী ঈসা আল মসীহও নবী যোনা/ইউনুসকে একটি চিহ্ন হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন i কিসের জন্য একটি চিহ্ন?

ঈসা আল মসীহর কর্তৃত্বকে তার নিজের লোকেদের দ্বারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল I

আমরা দেখলাম কিভাবে ইঞ্জিল নবী ঈসা আল মসীহর (পিবিইউএইচ) শিক্ষা, নিরাময় এবং অলৌকিক কার্য সমূহকে লিপিবদ্ধ করেছে I তিনি প্রায়শই তাঁর শ্রোতাদের (এবং আমাদেরকে) আমন্ত্রণ জানান গ্রহণ করতে যা তিনি প্রদান করেছেন I তিনি প্রদান করেছেন ‘জীবন্ত জল’, পাপীদের প্রতি করুণা, ‘হারানো’ কে খোঁজা এবং তাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যারা ‘ঈশ্বরের রাজ্যে’ প্রবেশ করতে ইচ্ছুক I

এই শিক্ষাগুলো তাঁর সময়ের ধার্মিক নেতাদের (ইমামদের অনূরূপ) হতবুদ্ধি করেছিল I বিশেষ করে তারা আশ্চর্য হয়েছিল কোন কর্তৃত্ব তিনি বহন  করেছেন I উদাহরণস্বরূপ, তাঁর কাছে কি সত্যই দোষী লোকেদেরকে ঈশ্বরের করুণা দেওয়ার কর্তৃত্ব ছিল, এবং ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সকলের জন্য মূল্য প্রদান করার কর্তৃত্ব ছিল? তাই ধার্মিক নেতারা তাঁর কর্তৃত্ব প্রমাণ  করার জন্য একটি চিহ্ন চাইল I ইঞ্জিল তাদের কথপোকথন লিপিবদ্ধ করে:

ঈসা যোনার (ইউনুস) চিহ্নকে উল্লেখ করেন

  38 এরপর কয়েকজন ফরীশী ও ব্যবস্থার শিক্ষক যীশুর কাছে এসে বললেন, ‘হে গুরু, আমরা আপনার কাছ থেকে কোন চিহ্ন বা অলৌকিক কাজ দেখতে চাই৷’
39 যীশু তাদের বললেন, ‘এ যুগের দুষ্ট ও পাপী লোকেরা চিহ্নের খোঁজ করে; কিন্তু ভাববাদী য়োনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্নইতাদের দেখান হবে না৷
40 য়োনা য়েমন সেইবিরাট মাছের পেটে তিন দিন তিন রাত ছিলেন, তেমন মানবপুত্র তিন দিন তিন রাত পৃথিবীর অন্তঃস্থলে কাটাবেন৷
41 বিচারের দিনে নীনবীয় লোকেরা এই কালের লোকদের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়িয়ে তাদের দোষী করবে, কারণ নীনবীয় লোকেরা য়োনার প্রচারের ফলে তাদের মন ফেরাল৷ আর দেখ, য়োনার চেয়ে এখানে আরও একজন মহান আছেন৷

মথি 12:38-41

ইতিহাসের মধ্যে নবী যোনাহ

ঈসা আল মসীহ (পিবিইউএইচ) যোনাহকে (এছাড়াও বলা হয় ইউনুস বা ইউনিস) ইঙ্গিত করে উত্তর দিলেন I আপনি নিচে কালপঞ্জির মধ্যে দেখতে পারন যে নবী ইউনুস নবী ঈসা আল মসীহর জন্মের 800 বছর পূর্বে বাস করতেন I 

http://al-injil.net/wp-content/uploads/2017/03/jonah-in-timeline-e1489180437825.jpg

ঐতিহাসিক কালপঞ্জির মধ্যে নবী যোনাহ (ইউনুস বা ইউনিস)

কোরআনের মধ্যে ইউনুস

ইউনুস পিবিইউএইচ একটি বই লিখেছিলেন যেটি ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ লেখাগুলোর মধ্যে রয়েছে I কোরআন তার বইটির সংক্ষিপ্তসার করেন এই ভাবে:

 আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন।অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।

আস-সাফফাত:37:139-144

নবী ইউনুসকে এক বিরাট মাছের দ্বারা গলাধকরণ করা হয়েছিল কারণ তাকে  আল্লাহর দেওয়া মিশন থেকে তিনি পলায়ন করেছিলেন – নীনেবার (আজকের দিনের ইরাকের মসুলের নিকটবর্তী) নগরে অনুতাপের প্রচার করতে I ইসলামিক পন্ডিত ইউসুফ আলী এই আয়াতগুলোর সম্বন্ধে বলেন:   

এটি কেবল বাক্য প্রণালী I এটি ছিল যোনাহর সমাধি এবং সমাধিস্থল I যদি তিন অনুতাপ না করতেন তিনি প্রাণীটির দেহ থেকে যা তাকে গলাধঃকরণ করেছিল বের হয়ে আসতে পারতেন না, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত, যখন সকল মৃতরা উত্থাপিত হবে

কোরআনের ইউসুফ আলীর অনুবাদের পাদটীকা 4125

অতএব, মাছের ভেতরে থাকা একটি মৃত্যু দণ্ড ছিল যা সাধারণতঃ কেবল পুনরুত্থানের দিনে মুক্তি পাবে I

তার নিজের বই থেকে নবী যোনাহ

যোনাহর বই বিরাট মাছের মধ্যে থাকার বিষয়ে আরো বিস্তৃত বিবরণ দেয় I তিনি আমাদের বলেন: 

  ভু অমিওযের পুত্র য়োনার সঙ্গে কথা বলেছিলেন| প্রভু বলেছিলেন|,
2 “নীনবী একটা বড় শহর| আমি শুনেছি, সেখানকার লোকরা নানা রকম খারাপ কাজকর্ম করছে| কাজেই সেই শহরে যাও এবং লোকদের বল তারা য়েন সেই খারাপ কাজ করা বন্ধ করে|”
3 য়োনা ঈশ্বরের আদেশ মানতে চাননি সেজন্য য়োনা প্রভুর কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন| য়োনা যাফোতে গেলেন| য়োনা সেখানে একটা নৌকা দেখতে পেয়েছিলেন য়টা অনেক দূরের শহর তর্শীশে যাচ্ছিল| য়োনা নৌকাতে উঠে যাবার ভাড়া দিলেন| ঈশ্বরের কাছ থেকে পালিয়ে যাবার জন্য য়োনা ঐ নৌকায় তর্শীশ পর্য়ন্ত ভ্রমন করতে চেয়েছিলেন|
4 কিন্তু প্রভু সমুদ্রে একটা বড় রকমের ঝড় আনলেন| বাতাস সমুদ্রকে খুবই রুক্ষ করে তুললো| ঝড়টা এতই শক্তিশালী ছিল য়ে নৌকাটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হবার উপক্রম হল|
5 ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লোকরা নৌকাটিকে হাল্কা করতে চেষ্টা করল| সে জন্য তারা নৌকার মালগুলো ছুঁড়ে সমুদ্রে ফেলে দিতে আরম্ভ করল| মাঝিরা খুবি ভয় পেয়ে গেল| প্রত্যেকে তাদের দেবতাদের উদ্দেশ্য প্রার্থণা করতে আরম্ভ করল| য়োনা নৌকার একেবেরে পশ্চাদ্ভাগে চলে গেলেন এবং তিনি শুয়ে পড়লেন ও ঘুমোতে গেলেন|
6 নৌকার প্রধান মাঝি য়োনাকে দেখতে পেল এবং বলল, “উঠে পড়ো! তুমি কেন ঘুমাচ্ছো? তুমি তোমার দেবতার কাছে প্রার্থনা করো! দেবতা বযতো তোমার প্রার্থনা শুনবেন এবং আমাদের রক্ষা করবেন!”
7 তখন লোকরা একে অপরকে বলল, “আমার অবশ্যই ঘুঁটি চেলে জানতে চেষ্টা করব এই দুর্য়োগগুলো কেন আমাদের ভাগ্যে ঘটছে|”সে জন্য লোকে ঘুঁটি চালল এবং দেখা গেল, য়োনার জন্যেই এই দুর্য়োগগুলো ঘটছে|
8 তখন লোকরা য়োনাকে বলল, “দেখ তোমার দোষেই এই ভয়ঙ্কর ঝড় আমাদের ভাগ্যে ঘটছে! সেজন্য আমাদের বল তুমি কি করেছো? তোমার পেশা কি? তুমি কোথা থেকে আসছো? তোমার দেশ কোথায? তোমার লোকরা কারা?”
9 য়োনা লোকদের বললেন, “আমি একজন ইব্রীয (ইহূদী)| আমি প্রভু, স্বর্গের ঈশ্বরের উপাসনা করি, তিনি সেই ঈশ্র যিনি সমুদ্র ও ভুমি সৃষ্টি করেছেন|”
10 য়োনা লোক জনদের বললেন, তিনি প্রভুর কাছে থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন| লোকরা এই কথা জেনে খুবই ভয় পেয়ে গেল| য়োনাতে তখন তারা জিজ্ঞেস করল, “তুমি তোমার ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কেন এমন ভয়ঙ্কর কাজ করেছ?”
11 বাতাস ও সমুদ্রের ঢেউ ক্রমশঃ শক্তিশালী হতে আরম্ভ করছিল| তাই লোকরা য়োনাকে জিজ্ঞেস করল, “আমারা আমাদের রক্ষা করার জন্য কি করবো? সমুদ্রকে শান্ত হয়ে যাবে|”
12 যোনা লোকদের বললেন, “আমি জানি আমি ভুল করেছি সেই জন্যই সমুদ্রে ঝড় এসেছে আমাকে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দাও| তাহলে সমুদ্র শান্ত হয়ে যাবে|”
13 কিন্তু লোকরা য়োনাকে সমুদ্র ছুঁড়ে দিতে চাইল না| নৌকাটিকে তীরে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে লাগল| কিন্তু তারা সফল হল না| প্রচণ্ড বাতাস এবং উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগল!
14 সেই জন্য লোকরা প্রভুর কাছে চিত্কার করে বলল, “প্রভু আমার এই লোকটিকে তার খারাপ কাজের জন্য সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি| কাজেই দয়া করে বলবেন না য়ে আমরা এক নির্দোষ লোককে মেরে ফেলার জন্য দয়া করে আমাদের মেরে ফেলবেন না| আমরা জানি আপনি হচ্ছেন প্রভু, এবং আপনি যা চাইছেন তা সবকিছুই করতে পারেন| কিন্তু দয়া করে আপনি আমাদের প্রতি সদয হোন|”
15 সেই জন্য লোকরা য়োনাকে সমুদ্রে ফেলে দিল| ঝড় থেমে গেল- সমুদ্র আবার শান্ত হল!
16 লোকরা এই ঘটনা দেখে ভয় পেয়ে গেল এবং তারা প্রভুকে খুব ভয় পেত| তারা প্রভুর নামে বিশেষ শপথ নিল এবং নৈবেদ্য উত্সর্গ করল|
17 আর প্রভু য়োনাকে গিলে ফেলার জন্য একটা বড় মাছ ঠিক করে রেখেছিলেন| য়োনা মাছের পেটের মধ্যে তিন দিন ও তিন রাত্রি রইলেন|

যোনাহ 1:17-2:10

 ‘যোনার চিহ্ন’ কি?

সাধারণত আমরা আশা করি যে যখন কারোর কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়, যেমন নবী ঈসা আল মসীহকে করা হয়েছিল, সে একটি চিহ্নর সাথে ক্ষমতা, বিজয় বা সফলতা দেখিয়ে নিজেকে প্রমাণ করবে I তবে ঈসা আল মসীহ নবী যোনাহর তিন দিনের ‘মৃতের রাজত্ব’ – খাদ বা কবরকে উল্লেখ করার দ্বারা  তার কর্তৃত্বের আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিলেন I এই তিন দিনের সময়কালের মধ্যে, যেহেতু যোনাহ আল্লাহর আজ্ঞার অবমাননা করলেন, তাকে ‘আপনার দৃষ্টির থেকে অন্তর্হিত করা হয়েছিল’ অর্থাৎ আল্লাহর দৃষ্টি থেকে I কালো গভীরে তিন দিনের জন্য মৃত্যুর দখলে যোনাহর পর্ব, আল্লাহর থেকে অন্তর্হিত হয়ে গিয়েছিল, যা আমাদের আশানুরূপ একটি চিহ্ন নয় I ঈসা আল মসীহ কেন এমন একটি চিহ্ন পচ্ছন্দ করবেন যা তার কর্তৃত্বকে বাতিল করে বলে মনে হয়?

দুর্বলতা এবং মৃত্যুকে একটি চিহ্ন হিসাবে দেওয়া প্রথম বার নয় I নবী যিশাইয় আসন্ন দাসের সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন I যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে এই দাস ‘তুচ্ছ’ হবে এবং ‘লোকেদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত’ হবে এবং ‘ঈশ্বরের বিবেচনায় শাস্তি প্রাপ্ত হবে’ এবং ‘জীবিতের দেশ থেকে বিচ্ছন্ন হবে’ এবং ‘দুষ্টের সাথে একটি কবরে ন্যস্ত হবে’ I এখনও অদ্ভূত, “সদাপ্রভুর ইচ্ছা দাসকে চুর্ন করা”I  যেটা অনেকটা যোনাহর যার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল সেইরকম শোনায় – আর এইরূপে যা ঈসা আল মসীহ ইঙ্গিত করেছিলেন I      

যে সূত্রটি উপলব্ধি নিয়ে আসে তা হ’ল মাছের পেটের মধ্যে যোনাহর প্রার্থনার শেষ I তার প্রার্থনার শেষ কথা ছিল “সদাপ্রভুর থেকে পরিত্রাণ আসে” I আমরা দেখলাম কিভাবে ঈসা/যীশু নামটি আসন্ন শাখাটির ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ নাম ছিল I তবে যীশু/ঈসা নামটির অর্থ কি? হিব্রুর মধ্যে এটির অর্থ ‘সদাপ্রভু উদ্ধার করেন’ I তার প্রার্থনায় নবী যোনাহ স্বীকার করলেন যে তার (এবং আমদের) উদ্ধার পাওয়া প্রয়োজন এবং ইনি সদাপ্রভু যিনি এটি করবেন I তার প্রার্থনা উভয়কেই ঘোষণা করল আমাদের প্রয়োজন (উদ্ধার পাওয়া) এবং আল্লাহ একজন যিনি উদ্ধার করেন I ঈসা আল মসীহর নামের (হিব্রুতে যোহোশুয়া) আক্ষরিক অর্থ একই সত্য যা মাছের মধ্যে যোনাহ অবশেষে স্বীকার করলেন যেহেতু যীশু/ঈসা মানে ‘সদাপ্রভু উদ্ধার করেন’ I      

নবী ঈসা আল মসীহ ধার্মিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর কথপোকথন শেষ করলেন তাদের স্মরণ করিয়ে যে নীনবীর (যে নগরের মধ্যে যোনাহকে প্রচার করতে পাঠানো হয়েছিল) লোকেরা বিশ্বাস করল এবং যোনাহর বার্তায় অনুতাপ করল – তবে যে নেতারা ঈসা আল মসীহর কথা শুনছিল অনুতাপ করতে ইচ্ছুক ছিল না I তারা স্বীকার করতে অনিচ্ছুক ছিল যে তাদের উদ্ধারের প্রয়োজন ছিল I আমাদের নিজ়েদের হৃদয়কে অবশ্যই পরীক্ষা করা উচিত দেখতে আমরা কি নীনবীর লোকেদের (যারা অনুতাপ করেছিল) মতন না যিহূদিদের (যারা করে নি) মতন I দুটির মধ্যে আপনি কোনটি?   

ঈসা আল মসীহর মিশন শেষ শুরু করার সাথে সাথে আমরা ঈসা আল মসীহকে অনুসরণ করতে থাকব দেখতে কিভাবে যোনাহর এই চিহ্ন পূর্ণ হয়েছে এবং কিভাবে ‘সদাপ্রভু উদ্ধার করেন’ I 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *