Skip to content

মশির তাওরাত ঈসা আল মসীহ সম্পর্কে কিভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করল?

ইঞ্জিল ঘোষণা করে যে ক্রুশারোপন এবং নবী ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ পুনরুত্থান আল্লাহর পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল I নবীর ক্রুশারোপনের ঠিক 50 দিন পরে, পিতর যিনি তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে নেতা, প্রকাশ্যে ঈসা আল মসীহর সম্পর্কে এই ঘোষণা করলেন: 

  23 যীশুকে আপনাদের হাতে সঁপে দেওযা হল, আর আপনারা তাঁকে হত্যা করলেন৷ মন্দ লোকদের দিয়ে আপনারা তাঁকে ক্রুশের উপর পেরেক বিদ্ধ করলেন৷ ঈশ্বর জানতেন য়ে এসব ঘটবে; আর তাই ছিল ঈশ্বরের পরিকল্পনা, যা তিনি বহুপূর্বেই নিরূপণ করেছিলেন৷
24 যীশু মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করলেন, কিন্তু ঈশ্বর সেই বিভীষিকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করলেন৷ ঈশ্বর যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে তুলে আনলেন৷ মৃত্যু যীশুকে তার কবলে রাখতে সক্ষম হল না৷

প্রেরিতের কার্য 2:23-24

পিতরের বার্তার পরে, কয়েক সহস্র বিশ্বাস করল এবং বার্তাটিকে সেই দিনের পৃথিবীর চতুর্দিকের বিরাট সংখ্যক লোকেদের দ্বারা আলিঙ্গন করা হ’ল – সকলে কোনো রকম বাধ্যতা ছাড়াই I ব্যাপক স্বীকৃতির কারণ ছিল তাওরাত এবং যাবুরের নবীদের রচনা সমূহ যা কয়েকশত বছর পূর্বে লেখা হয়েছিল I লোকেরা এই শাস্ত্র বাক্যগুলো পরীক্ষা করল দেখতে তারা কি বাস্তবিকই ঈসা আল মসীহর আগমন, মৃত্যু এবং পুনরুত্থান সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I এইগুলো আজকে উপলব্ধ সেই একই অপরিবর্তিত শাস্ত্র বাক্য যাকে আমরাও অনুসন্ধান করতে এবং দেখতে পারি এটি কি ‘ঈশ্বরের ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা এবং পুর্বজ্ঞান’ ছিল যেমন পিতর ঘোষণা করেছিলেন I ইঞ্জিলের প্রথম শ্রোতারা আদম এবং ছয় দিনের সৃষ্টির দিকে যতটা সম্ভব ফিরে তাওরাত থেকে যা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন তার কিছু সংক্ষিপ্ত বিবরণ আমরা এখানে দিয়েছি, যেমন তারা         

 “…প্রত্যেক দিন শাস্ত্র বাক্য পরীক্ষা করত…

প্রেরিতের কার্য  17:11

তারা সতর্কভাবে শাস্ত্র বাক্য পরীক্ষা করত কারণ প্রেরিতদের বার্তা তাদের কাছে অদ্ভূত এবং নতুন ছিল I যে বার্তাগুলো আমাদের কানে নতুন এবং অদ্ভূত তা প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমরা পক্ষপাতদুষ্ট I আমরা সবাই এটি করি I তবে, এই বার্তাটি যদি আল্লাহর থেকে হত, এবং এবং তারা এটিকে অস্বীকার করত, তবে সুরা আল-গাশিয়াহর সাবধানবাণী (সুরা 88 – অপ্রতিরোধ্য) তাদের উপরে নেমে আসত I   

তবে সেই মুখের সুবিধাপ্রাপ্তির সুবিধা এবং কাফেররা হ’ল, মহা আযাব দেবেন আল্লাহনিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।

সুরা আল-গাশিয়াহ 88:23-26

23 কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়, 24 আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন। 25 নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট, 26 অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।

তারা জানত যে এই অপরিচিত বার্তাটি আল্লাহর থেকে ছিল কিনা তা নির্ধারণ করার সঠিক উপায়টি ছিল নবীদের রচনার বিরুদ্ধে এই বার্তাটি পরীক্ষা করা I এটি তাদের একটি বার্তার অস্বীকার করার আল্লাহর শাস্তির থেকে নিরাপদ রাখত I আমরা তাদের উদাহরণ অনুসরণ করতে বুদ্ধিমান  হব এবং তাই শাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে নবী ঈসা আল মসীহর  পিবিইউএইচ মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের বার্তা পূর্বের লেখায় পূর্ব নির্ধারিত ছিল   কিনা I আমরা তাওরাত দিয়ে আরম্ভ করি:     

আল্লাহর পূর্বজ্ঞান তাওরাতের শুরু থেকে এবং কোরআনের মধ্যে  প্রকাশিত হয়েছিল 

তাওরাতের প্রথম পাতা থেকে আমরা দেখতে পারি যে ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ দিনগুলো এবং তাঁর বলিদান আলাহর দ্বারা আগে থেকেই জানা ছিল I সমস্ত পবিত্র বইগুলোর (তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল এবং কোরআন) মধ্যে কেবলমাত্র দুটি সপ্তাহ যেখানে সপ্তাহের প্রতিটি ধারাবাহিক দিনের ঘটনা বর্ণিত হয় I তাওরাতের প্রথম দুটি অধ্যায়ে আল্লাহ ছয় দিনের মধ্যে কিভাবে সমস্তকিছু সৃষ্টি করেছিলেন তার বিবরণ প্রথম এই ধরণের সপ্তাহ ছিল I লক্ষ্য করুন কোরআন কিভাবে সৃষ্টির ছয় দিনের উপরে জোর দেয় I  

নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র দৌড় স্বীয় আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।

সুরা আল-আ’রাফ 7:54

তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর।

সুরা আল-ফুরকান 25:59

আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক ও সুপারিশকারী নেই। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?

সুরা আস-সেজদাহ 32:4

আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।  

সুরা কাফ 50:38

তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।   

সুরা আল-হাদীদ 57:4

প্রতিদিনের ঘটনাবলীর বিবরণ সহ অন্য সপ্তাহটি নবী ঈসা আল মসীহর শেষ সপ্তাহ I অন্য কোনো নবীর সম্পর্কে, সে আব্রাহাম, মশি, দায়ূদ, এবং মোহম্মদ পিবিইউএইচ যেই হোন না কেন এক সম্পূর্ণ সপ্তাহের দৈনন্দিন কার্যকলাপকে বর্ণিত করা হয়নি I তাওরাতের শুরুতে সম্পূর্ণ সৃষ্টির সপ্তাহের বিবরণ এখানে দেওয়া হয়েছে I ঈসা আল মসীহর শেষ সপ্তাহের ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে আমরা গমন করেছি I এই টেবিলটি দুই সপ্তাহের প্রতিটি দিনের তুলনার জন্য পাশাপাশি রাখে I 

সপ্তাহের দিন সৃজন সপ্তাহ ঈসা আল মসীহর শেষ সপ্তাহ
দিন 1 সেখানে অন্ধকার আর আল্লাহ বলেন, ‘দীপ্তি   হোক’ আর এটি হ’ল I অন্ধকারের মধ্যে দীপ্তি   হয় I   মসীহ যিরূশালেমে প্রবেশ করেন এবং বলেন “আমি জগতে জ্যোতি হিসাবে এসেছি …” অন্ধকারের মধ্যে জ্যোতি আছে
দিন 2 আল্লাহ পৃথিবীকে আকাশমন্ডল থেকে আলাদা করলেন ঈসা এক প্রার্থনার স্থান হিসাবে মন্দিরকে পরিষ্কার করার দ্বারা জগতের জিনিসগুলোকে স্বর্গের থেকে আলাদা করেন
দিন 3 আল্লাহ কথা বলেন আর ভূমি সমুদ্র থেকে ওঠে I ঈসা বিশ্বাসের সম্বন্ধে  বলেন যা পর্বতকে অপসারণ করে সমুদ্রে নিক্ষেপ করতে পারে I      
আল্লাহ পুনরায় বলেন ‘ভূমি গাছপালা উৎপন্ন করুক’ আর তাই  হ’ল I    ঈসা কথা বলেন এবং ডুমুর গাছটি জমির ওপরে শুকিয়ে যায় I
দিন 4 আল্লাহ বলেন ‘আকাশে দীপ্তি হোক’ আর সূর্য, চন্দ্র, এবং নক্ষত্র সমূহ আকাশকে আলোকময়  করতে অস্তিত্বে আসে I ঈসা পৃথিবীতে তাঁর প্রত্যাবর্তনের চিহ্নর সম্বন্ধে কথা বলেন – সূর্য, চন্দ্র এবং নক্ষত্র অন্ধকার হয়ে যাবে  
দিন 5 আল্লাহ উড়ন্ত ডাইনোসর সরীসৃপগুলো = ড্রাগন সহ সমস্ত প্রানীকে সৃষ্টি করেন    শয়তান, বিশাল ড্রাগন, মসিহকে আঘাত করতে যুদাসের মধ্যে অবতরণ করে 
দিন 6 আল্লাহ কথা বলেন আর ভূমি প্রাণীরা জীবিত হয়ে ওঠে I নিস্তারপর্বের মেষশাবক প্রানীদের মন্দিরের মধ্যে বধ করা হয় I  
সদাপ্রভু ঈশ্বর … আযমের নাসিকায় প্রাণবায়ু প্রবেশ করান’ আদম নিঃস্বাস  নিতে শুরু করে  “এক জোরে চীত্কারের সাথে যীশু শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন” (মার্ক 15:37)
আল্লাহ আদমকে বাগানের মধ্যে রাখেন  ঈসা স্বাধীন ভাবে গেৎসেমেনের বাগানে প্রবেশ করতে পছন্দ করেন    
আদমকে একটি অভিশাপ সহ ভাল মন্দ  জ্ঞানের বৃক্ষ থেকে দুরে থাকতে সাবধান করা হয় I  ঈসাকে একটি গাছে পেরেকের দ্বারা বিদ্ধ এবং অভিশপ্ত করা  হয় I (গালাতীয় 3:13)
কোনো প্রাণীকে আদমের জন্য উপযুক্ত পাওয়া  যায় না I আর একজন ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল নিস্তারপর্বের প্রাণীর বলিদানগুলো পর্যাপ্ত ছিল না I এক ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল I (ইব্রীয় 10:4-5)
আল্লাহ আদমকে গভীর নিদ্রার মধ্যে রাখেন ঈসা মৃত্যুর নিদ্রায় প্রবেশ করে  
আল্লাহ আদমের পার্শ্ব দিকে একটি ক্ষতর সৃষ্টি  করেন যার সাহায্যে তিনি হবাকে  তৈরী করেন – আদমের বধু ঈসার পার্শ্ব দিকে এক ক্ষত সৃষ্টি করা হয় I তাঁর বলিদান থেকে ঈসা এক বধুকে জয় করে – তারা যার মধ্যে থাকে I (প্রকাশিত বাক্য 21:9)    
দিন 7 আল্লাহ কাজের থেকে বিশ্রাম গ্রহণ করেন I দিনটিকে পবিত্র ঘোষণা করা হয় ঈসা মৃত্যুর মধ্যে বিশ্রাম গ্রহণ  করেন  

এই দুই সপ্তাহের জন্য প্রতিটি দিনের ঘটনাগুলো একে অপরের আয়নার চিত্রগুলোর মতন I তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে I এই সপ্তাহ দুটির উভয়ের শেষে, নতুন জীবনের প্রথম ফল ফুটতে এবং একটি নতুন সৃষ্টির মধ্যে বহুগুণিত হতে প্রস্তুত I আদম এবং ঈসা আল মসীহ একে অপরের বিপরীত চিত্র I কোরআন ঈসা আল মসীহ এবং আদমের সম্পর্কে কথা বলে:     

ঈশ্বরের সামনে যীশুর সাদৃশ্য আদমের মতন; তিনি তাকে ধুলির থেকে সৃষ্টি করলেন, তারপর তাকে বললেন: “হও” আর সে হয়ে গেল I

সুরা আল-ইমরান 3:59

ইঞ্জিল আদমের সম্বন্ধে বলে যে

… আদম সেই ভাবী ব্যক্তির প্রতিরূপ

রোমীয় 5:14

এবং

  21 কারণ একজন মানুষের মধ্য দিয়ে য়েমন মৃত্যু এসেছে, মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানও তেমনিভাবেই একজন মানুষের দ্বারা এসেছে৷
22 কারণ আদমে য়েমন সকলের মৃত্যু হয়, ঠিক সেভাবে খ্রীষ্টে সকলেই জীবন লাভ করবে৷

1 করিন্থীয়ান 15:21-22

এই দুই সপ্তাহকে তুলনা করার দ্বারা আমরা দেখি যে আদম ঈসা আল মসীহর এক বিপরীত প্রতিরূপ ছিল I আল্লাহর কি পৃথিবীর সৃষ্টি করতে ছয় দিন নেওয়ার প্রয়োজন ছিল? তাহলে কেন তিনি সেই পদ্ধতিতে সৃষ্টি করলেন যেভাবে তিনি করেছিলেন? কেন আল্লাহ সপ্তম দিনে বিশ্রাম গ্রহণ করলেন যখন তিনি ক্লান্ত ছিলেন না? তিনি সমস্ত কিছু সেই পদ্ধতি এবং শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে করলেন যাতে ঈসা আল মসীহর চূড়ান্ত কার্যকলাপ সৃজন  সপ্তাহের দৈনন্দিন কার্যাবলীর মধ্যে প্রত্যাশিত হয় I ছয় দিন সম্পর্কে এটি বিশেষভাবে সত্য I আমরা প্রত্যক্ষভাবে বাক্যগুলোর মধ্যে প্রতিরূপকে দেখতে পারি I উদাহারণস্বরূপ, শুধুমাত্র ‘ঈসা আল মসীহ’ মারা গেলেন’ বলার বদলে ইঞ্জিল বলে তিনি ‘শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করলেন’, আদমের একটি প্রত্যক্ষ বিপরীত প্রতিরূপ যে ‘প্রাণবায়ু’ পেয়েছিল I এই ধরনের একই প্রতিরূপ শুরু থেকে ‘পূর্ব জ্ঞানের’ সম্বন্ধে বলে, ঠিক যেমন পিতর ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থানের পরে শুরু করলেন I      

তাওরাতের মধ্যে পরবর্তী চিত্রগুলো

এরপরে তাওরাত নির্দিষ্ট ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করে এবং বিধি সমূহ স্থাপন  করে যা চিত্র রূপে কাজ করে যা নবী ঈসা আল মসীহর আসন্ন কোরবানীর  দিকে ইঙ্গিত দেয় I আল্লাহর পরিকল্পনার পূর্ব জ্ঞানকে আমাদেরকে বুঝতে সাহায্য করতে এগুলোকে দেওয়া হয়েছিল I এই মাইলস্টোন সমূহের কয়েকটির দিকে আমরা তাকিয়ে ছিলাম I নিচের টেবিলটি তার সংক্ষিপ্তসার করে এই মহান চিহ্নগুলোর সাথে সংযুক্ত করে যাকে ঈসা আল মসীহর পূর্বে কয়েক হাজার বছর ধরে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল I

তাওরাতের চিহ্ন   কিভাবে এটি ঈসা আল মসীহর আসন্ন কোরবানীর পরিকল্পনাকে প্রকাশ করে
আদমের চিহ্ন আল্লাহ যখন আদমের মুখোমুখি হলেন তার অবাধ্যতার পরে তিনি এক একক পুরুষ বংশধরের কথা বললেন যে আসবে (কেবলমাত্র) এক স্ত্রীর (এইরূপে এক কুমারী জন্ম) থেকে I এই বংশধর শয়তানকে চূর্ণ করবে তবে প্রক্রিয়ার মধ্যে স্বয়ং আঘাত পাবে I 
কাবিল এবং হাবিলের চিহ্ন মৃত্যুর এক কোরবানীর দরকার   ছিল I কাবিল শাকসবজির (যার মধ্যে মন প্রাণ নেই) কোরবানী দিল তবে হাবিল এক প্রাণীর জীবন উৎসর্গ করল I এটি আল্লাহর দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল I এটি ঈসা আল মসীহর কোরবানীর সম্বন্ধে আল্লাহর পরিকল্পনাকে চিত্রিত করেছিল I   
 আব্রাহামের কোরবানীর চিহ্ন       অবস্থানটির সাথে সাথে চিত্রটি আরও  বিশদ বিবরণ অর্জন করে যেখানে নবী আব্রাহাম তার পুত্রের কোরবানী দিলেন যেটি সেই একই অবস্থান ছিল যেখানে কয়েক হাজার বছর পরে ঈসা আল মসীহকে কোরবানী দেওয়া হবে, এবং নবী ইব্রাহিম সেই ভবিষ্যতের কথা বলেছিলেন I পুত্রকে মরতে ছিল তবে শেষ মুহুর্তে মেষশাবকটিকে বিকল্প করা হল যাতে পুত্র বাঁচতে পারে I এটি চিত্রিত করল কিভাবে ‘ঈশ্বরের মেষশাবক’ ঈসা আল মসীহ নিজেকে কোরবানী দেবেন যাতে আমরা বেঁচে থাকতে পারি I
মশির নিস্তারপর্বের চিহ্ন আল্লাহর পরিকল্পনার আরও বিবরণ সমূহ প্রকাশিত হয় যখন মেষশাবকগুলোকে একটি নির্দিষ্ট দিনে কোরবানী দেওয়া হয় – নিস্তারপর্বের দিনে I মিশরের ফরৌণ, যিনি একটি মেষশাবক কোরবানী দেন নি মৃত্যুর অভিজ্ঞতা লাভ করলেন I তবে ইস্রায়েলীয়রা যারা মেষশাবকের কোরবানী দিল তারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পেল I কয়েকশত বছর পরে ক্যালেন্ডারের মধ্যে ঠিক সেই একই দিনে ঈসা আল মসীহর কোরবানী দেওয়া হ’ল – নিস্তারপর্বের দিনে I   
হারোণের কোরবানীর চিহ্ন হারোণ প্রানীদের নির্দিষ্ট বিধিগত কোরবানী প্রতিষ্ঠিত করলেন I ইস্রায়েলীয়রা যারা পাপ করত তারা তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে কোরবানী দিতে পারত I তবে কোরবানী সংক্রান্ত মৃত্যুর প্রয়োজন ছিল I লোকেদের পক্ষে কেবলমাত্র যাজকরা কোরবানী দিতে পারত I এটি ঈসা আল মসীহকে তাঁর যাজকের ভূমিকায় প্রত্যাশিত করেছিল যিনি কোরবানীর মধ্যে আমাদের জন্য তাঁর জীবন দান করবেন I   

যেহেতু নবী মশির পিবিইউএইচ তাওরাত এত স্পষ্টভাবে নবী ঈসা আল মসীহর আগমন সম্পর্কে নির্দেশ করল তাই এটি এর সম্পর্কে বলে:

বিষ্যতে য়ে সকল উত্‌কৃষ্ট বিষয় আসবে, বিধি-ব্যবস্থা হচ্ছে তারই অস্পষ্ট ছায়া মাত্র৷ বিধি-ব্যবস্থা ঐসব বিষয়ের বাস্তবরূপ নয়৷ তাই যাঁরা ঈশ্বরের উপাসনা করতে আসে, বছর বছর তারা একই রকম বলিদান বারবার করে, কিন্তু বিধি-ব্যবস্থা সেই লোকদের সিদ্ধি দিতে পারে না৷

ইব্রীয় 10:1

এবং ঈসা আল মসীহ তাদেরকে সাবধান করলেন যারা তাঁর মিশনে বিশ্বাস করল না:

 

43 আমি আমার পিতার নামে এসেছি, তবু তোমরা আমায় গ্রহণ করো না; কিন্তু অন্য কেউ যদি তার নিজের নামে আসে তাকে তোমরা গ্রহণ করবে৷
44 তোমরা কিভাবে বিশ্বাস করতে পারো? তোমরা তো একজন অন্য জনের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে চাও৷ আর য়ে প্রশংসা একমাত্র ঈশ্বরের কাছে থেকে আসে আর খোঁজ তোমরা করো না৷
45 মনে করো না য়ে আমিই সেই ব্যক্তি য়ে পিতার কাছে তোমাদের ওপর দোষারোপ করব৷ তোমাদের সাহায্য করবেন বলে য়ে মোশির উপর তোমরা আশা রাখো তিনিই তোমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন৷
46 তোমরা যদি মোশিকে বিশ্বাস করতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করতে, কারণ মোশি তা আমার বিষয়েই লিখেছেন৷
47 তোমরা যখন মোশির লেখায় বিশ্বাস করো না, তখন আমি যা বলি তা কেমন করে বিশ্বাস করবে?’

যোহন 5:43-47

এছাড়াও ঈসা আল মসীহ তাঁর অনুগামীদের তাদেরকে তাঁর মিশনকে বুঝতে সাহায্য করতে বললেন 

  4 তিনি তাঁদের বললেন, ‘আমি যখন তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, তখনই তোমাদের এসব কথা বলেছিলাম, আমার সম্বন্ধে মোশির বিধি-ব্যবস্থায়, ভাববাদীদের পুস্তকে ও গীতসংহিতায় যা কিছু লেখা হয়েছে তা পূর্ণ হতেই হবে৷’

লুক 24:44

নবী স্পষ্টভাবে বললেন যে কেবলমাত্র তাওরাত নয়, বরং ‘নবীদের এবং গীতসংহিতার’ লেখাগুলোও তাঁর সম্বন্ধে ছিল I আমরা এটিকে এখানে দেখব I যেখানে তাওরাত ঘটনাগুলোকে তাঁরা আগমনের চিত্র রূপে ব্যবহার করেছিলেন, এই পরবর্তী নবীরা তাঁর আসন্ন মৃত্যু এবং ফিরিস্তি হিসাবে পুনরুত্থান সম্বন্ধে সরাসরি লিখলেন 

এখানে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে আমাদের কাছে ঈসা আল মসীহ দ্বারা প্রদত্ত অনন্ত জীবনের উপহারকে পাওয়া যাবে I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *