Skip to content

সেই দিন: আল- হুমাযাহ ও মসীহ

সুরা আল-হুমাযাহ (সুরা 104 – অপবাদক) বিচারের দিনের সম্পর্কে  আমাদের এইভাবে সতর্ক করে:

1 প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ, 2 যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে 3 সে মনে করে যে, তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে! 4 কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। 5 আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি? 6 এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,

সুরা আল-হুমাযাহ 104:1-6

সুরা আল-হুমাযাহ বলে যে আল্লাহর ক্রোধের একটি আগুন আমাদের জন্য অপক্ষা করছে, বিশেষত আমরা যদি লোভী হয়ে থাকি এবং অপরের সম্বন্ধে মন্দ কথা বলে থাকি I যারা সমস্ত সাহায্য প্রার্থী লোকেদের প্রতি অবিরত উদার, যারা একজন ধনী ব্যক্তির ধন সম্পর্কে কখনও ঈর্ষা করে নি, অন্য কোনো ব্যক্তির সম্পর্কে মন্দভাবে কথা বলে নি, এবং টাকার বিষয়ে কারোর সঙ্গে কখনও কোনো বিতর্ক করে নি, হয়ত তারা আশা বজায় রাখতে পারে যে তারা টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে যাবে না এবং সেই দিনে ঈশ্বরের ক্রোধের অধীনে আসবে না I     

তবে আমাদের বাকিদের সম্পর্কে কি হবে?

নবী ঈসা আল মসীহ পিবিইউএইচ বিশেষভাবে তাদের জন্য এসেছিলেন যারা তাদের উপরে আসন্ন ঈশ্বরের ক্রোধ সম্পর্কে ভয় করেছিল I যেমন তিনি ইঞ্জিলের মধ্যে বললেন: 

13 যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন সেই মানবপুত্র ছাড়া কেউ কখনও স্বর্গে ওঠেনি৷
14 ‘মরুভূমির মধ্যে মোশি য়েমন সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, তেমনি মানবপুত্রকে অবশ্যই উঁচুতে ওঠানো হবে৷
15 সুতরাং য়ে কেউ মানবপুত্রকে বিশ্বাস করে সেই অনন্ত জীবন পায়৷’
16 কারণ ঈশ্বর এই জগতকে এতোই ভালবাসেন য়ে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে দিলেন, য়েন সেই পুত্রের ওপর য়ে কেউ বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় বরং অনন্ত জীবন লাভ করে৷
17 ঈশ্বর জগতকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য তাঁর পুত্রকে এ জগতে পাঠান নি, বরং জগত য়েন তাঁর মধ্য দিয়ে মুক্তি পায় এইজন্য ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছেন৷
18 য়ে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে তার বিচার হয় না৷ কিন্তু য়ে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করেনা, সে দোষী সাব্যস্ত হয়, কারণ সে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্রের ওপর বিশ্বাস করে নি৷
19 আর এটাই বিচারের ভিত্তি৷ জগতে আলো এসেছে, কিন্তু মানুষ আলোর চেয়ে অন্ধকারকে বেশী ভালবেসেছে, কারণ তারা মন্দ কাজ করেছে৷
20 য়ে কেউ মন্দ কাজ করে সে আলোকে ঘৃণা করে, আর সে আলোর কাছে আসে না, পাছে তার কাজের স্বরূপ প্রকাশ হয়ে পড়ে৷
21 কিন্তু য়ে কেউ সত্যের অনুসারী হয় সে আলোর কাছে আসে, যাতে সেই আলোতে স্পষ্ট বোঝা যায় য়ে তার সমস্ত কাজ ঈশ্বরের মাধ্যমে

হয়েছে৷ যোহন 3:13-21

ঈসা আল মসীহ মহান কর্ত্তৃত্বের দাবি করেছিলেন – এমনকি যে তিনি ‘স্বর্গ থেকে এসেছিলেন’ I একজন শমরিয়র সঙ্গে কথাবার্তায় (অধিক বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এখানে) নবী ‘জীবন্ত জল’ বলে দাবি করলেন 

10 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, ‘তুমি যদি জানতে য়ে ঈশ্বরের দান কি আর কে তোমার কাছ থেকে খাবার জন্য জল চাইছেন৷ তাহলে তুমিই আমার কাছে জল চাইতে আর আমি তোমাকে জীবন্ত জল দিতাম৷’
11 স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, ‘মহাশয়, আপনি কোথা থেকে সেই জীবন্ত জল পাবেন? এই কুযাটি যথেষ্ট গভীর৷ জল তোলার কোন পাত্রও আপনার কাছে নেই৷
12 আপনি কি আমাদের পিতৃপুরুষ যাকোবের চেয়ে মহান? তিনি আমাদের এই কুযাটি দিয়ে গেছেন৷ তিনি নিজেই এই কুযার জল খেতেন এবং তাঁর সন্তানেরা ও তাঁর পশুপালও এর থেকেই জল পান করত৷’
13 যীশু তাকে বললেন, ‘য়ে কেউ এই জল পান করবে তার আবার তেষ্টা পাবে৷
14 কিন্তু আমি য়ে জল দিই তা য়ে পান করবে তার আর কখনও পিপাসা

যোহন 4:10-14

এই দাবিগুলোর পক্ষে তাঁর কর্ত্তৃত্ব প্রমাণিত হয়েছিল হজরত মুসার তাওরাত কিভাবে ছয় দিনের মধ্যে বিশ্বের সৃষ্টি থেকে তাঁর কর্ত্তৃত্বের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তার মধ্যে I তারপরে যাবুর এবং পদানুবর্তী নবীরা তাঁর আগমন সম্পর্কে বিস্তৃত ভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যা দেখিয়েছিল যে তাঁর আগমন স্বর্গ থেকে পরিকল্পিত হয়েছিল I তবে নবী কি বোঝাতে চেয়েছিলেন যখন তিনি বললেন তাকে ‘অবশ্যই উত্থাপন করা হবে’ যাতে ‘প্রত্যেকে যারা তাকে বিশ্বাস করবে অনন্ত জীবন পেতে পারে’? এটিকে এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে I 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *