Skip to content

সেই দিন: আল-ইনশিকাক ও আত্ব-সূর এবং মসীহ

সুরা আল-ইনশিকাক (সুরা 84 – বিসর্জন) বর্ণনা করে কিভাবে পৃথিবী এবং আকাশ কেঁপে যাবে এবং বিচারের দিনে ধ্বংস হবে I 

1 যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে 2 ও তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং আকাশ এরই উপযুক্ত 3 এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে। 4 এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে। 5 এবং তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং পৃথিবী এরই উপযুক্ত। 6 হে মানুষ, তোমাকে তোমরা পালনকর্তা পর্যন্ত পৌছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তার সাক্ষাৎ ঘটবে। 7 যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে 8 তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে 9 এবং সে তার পরিবার-পরিজনের কাছে হৃষ্টচিত্তে ফিরে যাবে 10 এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া, হবে, 11 সে মৃত্যুকে আহবান করবে 12 এবং জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

আল-ইনশিকাক 84:1-12

সুরা আল-ইনশিকাক সাবধান করে যে যাদের কাজের রেকর্ড তার ‘দক্ষিন হস্তে’ দেওয়া না হয়, তারা সেই দিনে এক ‘জ্বলন্ত আগুনে’ প্রবেশ করবে I  

আপনি কি জানেন আপনার কাজের রেকর্ড কি আপনার দক্ষিন হস্তে দেওয়া হবে কিম্বা আপনার পেছনে? 

সুরা আত্ব-সূর (সুরা 52 – পর্বত) বিচারের দিনে পৃথিবীর ঝাঁকুনি এবং লোকের সম্বদ্ধে বিস্তৃত ভাবে বর্ণনা করে 

45 তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে। 46 সেদিন তাদের চক্রান্ত তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। 47 গোনাহগারদের জন্যে এছাড়া আরও শাস্তি রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।

সুরা আত্ব-সূর 52:45-47

আপনি কি বিশ্বস্ত আপনি ‘অন্যায় করেন’ নি এবং কখনও সত্যকে ‘অসত্য (মিথ্যা) রূপে’ ব্যবহার করেছেন যাতে করে আপনি সেই দিনের বিচারে উত্তীর্ণ হতে পারেন? 

নবী ঈসা আল মসীহ পিবিইউএইচ তাদের সাহায্য করতে এসেছিলেন যারা নিশ্চিত নয় বিচারের দিনে কিভাবে তাদের কাজের রেকর্ডকে তাদের কাছে দেওয়া হবে I তিনি তাদের সাহায্য করতে এসেছিলেন যাদের কোনো সাহায্যকারী নেই I তিনি ইঞ্জিলের মধ্যে বললেন:

7 তখন যীশু আবার তাদের বললেন, ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমি মেষদের জন্য খোঁযাড়ের দরজা স্বরূপ৷
8 যাঁরা আমার আগে এসেছে তারা সব চোর ডাকাত, কিন্তু মেষরা তাদের ডাক শোনে নি৷
9 আমিই দরজা৷ যদি কেউ আমার মধ্য দিয়ে ঢোকে তবে সে রক্ষা পাবে৷ সে ভেতরে আসবে এবং বাইরে গেলে তার চারণভূমি পাবে৷
10 চোর কেবল চুরি, খুন ও ধ্বংস করতে আসে৷ আমি এসেছি, যাতে লোকেরা জীবন লাভ করে, আর য়েন তা পরিপূর্ণ ভাবেই লাভ করে৷’
11 ‘আমিই উত্তম মেষপালক৷ উত্তম পালক মেষদের জন্য তার জীবন সমর্পণ করে৷
12 কোন বেতনভূক কর্মচারী প্রকৃত মেষপালক নয়৷ মেষরা তার নিজের নয়, তাই সে যখন নেকড়ে বাঘ আসতে দেখে তখন মেষদের ফেলে রেখে পালায়৷ আর নেকড়ে বাঘ তাদের আক্রমণ করে এবং তারা ছড়িয়ে পড়ে৷
13 বেতনভূক কর্মচারী পালায়, কারণ বেতনের বিনিময়ে সে কাজ করে, মেষদের জন্য তার কোন চিন্তাই নেই৷
14 ‘আমিই উত্তম পালক৷ আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে৷ ঠিক য়েমন আমার পিতা আমাকে জানেন, আমিও আমার পিতাকে জানি; আর আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই৷
15
16 আমার এমন আরো অনেক মেষ আছে যাঁরা এই খোঁযাড়ের নয়৷ আমি অবশ্যই তাদেরও আনব, তারাও আমার কথা শুনবে আর তারা তখন সকলে এক পাল হবে আর তাদের পালকও হবেন একজন৷
17 এই কারণেই পিতা আমায় ভালবাসেন, কারণ আমি আমার প্রাণ দান করি য়েন আবার তা পেতে পারি৷
18 কেউ আমার কাছ থেকে তা হরণ করে নিতে পারবে না, বরং আমি তা স্ব-ইচ্ছাতেই করছি৷ এটা দান করার অধিকার আমার আছে এবং আবার তা ফিরে পাওযার অধিকারও আমার আছে৷ আমার পিতার কাছ থেকেই আমি এই সব শুনেছি৷’

যোহন 10: 7-18

নবী ঈসা আল মসীহ তাঁর ‘মেষ’ সুরক্ষিত করতে এবং তাদের জীবন দিতে – এমনকি সেই আসন্ন দিনের জন্য তাঁর মহান কর্ত্তৃত্ব দাবি করলেন I তাঁর কাছে কি সেই কর্ত্তৃত্ব আছে? মুসা পিবিইউএইচের তাওরাত বিশ্বের সৃষ্টির থেকে এমনকি ছয় দিনে তার কর্ত্তৃত্বকে আগে থেকেই দেখেছিলেন I পরে যাবুর এবং পদানুবর্তী নবীরা তার আগমনের বিশদ বিবরণ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যাতে আমরা জানতে পারি যে তার আগমন প্রকৃতপক্ষে স্বর্গের পরিকল্পনা ছিল I তবে কিভাবে একজন ‘তার মেষ’ হতে পারে এবং তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন এর দ্বারা ‘আমি মেষের জন্য আমার জীবন দান করি’? আমরা এটিকে এখানে দেখি

নবী ঈসা আল মসীহর শিক্ষা সর্বদা লোকেদের বিভক্ত করেছে I এটি তার সময়েও সত্য ছিল I এই আলোচনাটি এইভাবে শেষ হয়েছিল এবং যে লোকেরা তাকে শুনেছিল তারা কিভাবে বিভক্ত হয়েছিল তা এখানে রয়েছে I

19 এইসব কথার কারণে জনগণের মধ্যে এ নিয়ে মতবিরোধ হল৷
20 তাদের মধ্যে অনেকে বলল, ‘ওকে ভূতে পেয়েছে, ও পাগল৷ ওর কথা কেন শুনছ?’
21 আবার অন্যরা বলল, ‘যাদের ভূতে পায় তারা তো এমন কথা বলে না৷ ভূত নিশ্চয়ই অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দান করতে পারে না, পারে কি?’
22 এরপর জেরুশালেমে প্রতিষ্ঠার পর্বএল, তখন ছিল শীতকাল৷
23 যীশু মন্দির চত্বরে শলোমনের বারান্দাতে পায়চারি করছিলেন৷
24 কিছু ইহুদী তাঁর চারপাশে জড়ো হয়ে তাঁকে বলল, ‘তুমি আর কতকাল আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখবে? তুমি যদি মশীহ হও তাহলে আমাদের স্পষ্ট করে বল৷’
25 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘আমি তোমাদের ইতিমধ্যেই বলেছি, আর তোমরা তা বিশ্বাস করছ না৷ আমি আমার পিতার নামে য়ে সব অলৌকিক কাজ করি সেগুলিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে৷
26 কিন্তু তোমরা বিশ্বাস করো না, কারণ তোমরা আমার পালের মেষ নও৷
27 আমার মেষরা আমার কন্ঠস্বর শোনে৷ আমি তাদের জানি, আর তারা আমার অনুসরণ করে৷
28 আমি তাদের অনন্ত জীবন দিই, আর তারা কখনও বিনষ্ট হয় না, আমার হাত থেকে কেউ তাদের কেড়ে নিতেও পারবে না৷
29 আমার পিতা, যিনি তাদেরকে আমায় দিয়েছেন, তিনি সবার ও সবকিছু থেকে মহান, আর কেউ পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারবে না৷
30 আমি ও পিতা, আমরা এক৷’
31 ইহুদীরা তাঁকে মারবার জন্য আবার পাথর তুলল৷
32 যীশু তাদের বললেন, ‘পিতার শক্তিতে আমি অনেক ভাল কাজ করেছি, তার মধ্যে কোন্ কাজটার জন্য তোমরা পাথর মারতে চাইছ?’
33 ইহুদীরা এর উত্তরে তাঁকে বলল, ‘তুমি য়ে সব ভাল কাজ করেছ, তার জন্য আমরা তোমায় পাথর মারতে চাইছি না৷ কিন্তু আমরা তোমাকে পাথর মারতে চাইছি এই জন্য য়ে, তুমি ঈশ্বর নিন্দা করেছ৷ তুমি একজন মানুষ, অথচ নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবী করছ৷’
34 যীশু তাদের বললেন, ‘তোমাদের বিধি-ব্যবস্থায় কি একথা লেখা নেই য়ে, ‘আমি বলেছি তোমরা ঈশ্বর৷’
35 শাস্ত্রে তাদেরই ঈশ্বর বলেছিল যাদের কাছে ঈশ্বরের বাণী এসেছিল; আর শাস্ত্র সব সময়ই সত্য৷
36 আমিই সেই ব্যক্তি, পিতা যাঁকে মনোনীত করে জগতে পাঠালেন৷ আমি বলেছি য়ে, ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র৷’ তবে তোমরা কেন বলছ য়ে আমি ঈশ্বর নিন্দা করছি?
37 আমি যদি আমার পিতার কাজ না করি, তাহলে আমায় বিশ্বাস করো না৷
38 কিন্তু আমি যখন সেইসব কাজ করছি তখনও যদি তোমরা আমাকে বিশ্বাস না করো, তাহলে সেই সব কাজকে বিশ্বাস কর৷ তাহলে তোমরা জানতে পারবে ও বুঝতে পারবে য়ে পিতা আমাতে আছেন আর আমি পিতার মধ্যে আছি৷’
39 এরপর তারা আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা করল, কিন্তু তিনি তাদের হাত এড়িয়ে চলে গেলেন৷
40 যর্দনের অপর পারে য়েখানে য়োহন বাপ্তাইজ করছিলেন, যীশু সেখানে আবার গেলেন ও সেখানে থাকলেন৷
41 বহুলোক তাঁর কাছে আসতে থাকল, আর তারা বলাবলি করতে লাগল, ‘য়োহন কোন অলৌকিক কাজ করেন নি বটে; কিন্তু এই মানুষটির বিষয়ে য়োহন যা বলেছেন, সে সবই সত্য৷’
42 আর সেখানে অনেকেই যীশুর ওপর বিশ্বাস করল৷

যোহন 10: 19-42

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *