সুরা আল-কদর
(সুরা 97 – শক্তি) শক্তির রাতের বর্ণনা করে যখন কোরআন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
1 আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে। 2 শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন? 3 শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। 4 এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। 5 এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
সুরা আল-কদর 97:1-5
সুরা আল-কদর, যদিও ‘হাজার মাসের
চেয়ে ভাল’ হিসাবে রাতের শক্তিকে বর্ণনা
করে তবুও জিজ্ঞাসা করে রাতের শক্তি কি ছিল I আত্মাটি কি করছিল যা শক্তির রাতকে এক হাজার
মাসের চেয়ে ভাল করেছিল?
সুরা আল-লায়লের (সুরা 92 –
রাত) কাছে দিনের একটি বিশেষ অনুরূপ থিম আছে এবং আলো রাতকে অনুসরণ করে I দিনটি
মহিমায় আসে, এবং আল্লাহ গাইড করেন কারণ তিনি শুরুর থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছু
জানেন I অতএব তিনি শেষে আমাদের আগুনের সম্বন্ধে সাবধান করেন I
1 শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে, 2 শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয় I
সুরা আল লায়ল 92:1-2
12 আমার দায়িত্ব পথ প্রদর্শন করা। 13 আর আমি মালিক ইহকালের ও পরকালের। 14 অতএব, আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি।
সুরা আল-লায়ল 92:12-14
নিচের সাথে সুরা আল-কদর এবং
সুরা আল-লায়লকে তুলনা করুন:
আমাদের কাছে নবীদের বাণীটি আরও সুনিশ্চিত হয়েছে এবং অন্ধকারে জ্যোতির্ময়ী এক আলোক আলো যতক্ষণ না ভোর হয় এবং প্রভাত নক্ষত্রটি আপনার অন্তরে উদয় না হয় ততক্ষণ আপনি এদিকে মনোযোগ দেবেন।
2 পিতর 1:19
আপনি কি কোনো সাদৃশ্য দেখতে
পাচ্ছেন? আমি যখন সুরা আল-কদর এবং সুরা আল-লায়ল পড়ি আমাকে এই উদ্ধৃতিটি মনে করিয়ে
দেয় I এছাড়াও এটি একটি রাতের পরে উত্থিত একটি দিনের ঘোষণা করে I রাতের সময়ে নবীদের
প্রকাশন দেওয়া হয়েছিল I এটি আবারও আমাদের ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ বার্তাগুলোকে অগ্রাহ্য
না করতে সতর্ক করে I অন্যথায় আমরা ভীষণ পরিণামগুলোর সম্মুখীন হই I
এটি প্রধান শিষ্য এবং নবী ঈসা
আল মসীহর পিবিইউএইচ সঙ্গী, প্রেরিত পিতরের দ্বারা লিখিত হয়েছিল, I সুরা আছ-ছফ
(সুরা 61 – ক্রম) ঈসা আল মসীহর শিষ্যদের সম্বন্ধে বলে:
মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমন ঈসা ইবনে-মরিয়ম তার শিষ্যবর্গকে বলেছিল, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে? শিষ্যবর্গ বলেছিলঃ আমরা আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। অতঃপর বনী-ইসরাঈলের একদল বিশ্বাস স্থাপন করল এবং একদল কাফের হয়ে গেল। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, আমি তাদেরকে তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় শক্তি যোগালাম, ফলে তারা বিজয়ী হল।
20 এটা তোমাদের বিশেষভাবে জানা দরকার য়ে শাস্ত্রের কোন ভাববাণী বক্তার নিজের ব্যাখ্যার ফল নয়৷ 21 ভাববাণী কখনই মানুষের ইচ্ছাক্রমে আসে নি, কিন্তু পবিত্র আত্মার পরিচালনায় ভাববাদীরা ঈশ্বরের কথা বলেছেন৷
2 পিতর 1:20-21
এটি আমাদের বলে যে ঈশ্বরের
পবিত্র আত্মা নবীদেরকে সাথে করে ‘বহন করেছেন’, যাতে করে তারা যা উদ্ধৃত করেছেন এবং
পরে লিখেছেন তা ‘ঈশ্বরের থেকে’ হয় I এই কারণেই এর মতন একটি রাত হাজার মাসের চেয়ে
ভাল কারণ এটি ‘মানুষের ইচ্ছার’ বদলে পবিত্র আত্মার মধ্যে নিহিত রয়েছে I সুরা আছ-ছফ
আমাদের বলে যে যারা পিতরের বার্তায় মনোযোগ দেয় তারা শক্তির রাতে প্রয়োগ করা শক্তি
লাভ করবে এবং বিজয়ী হবে I
আমাদের মধ্যে অনেকের নিজেদের
জন্য এই লেখাগুলো পড়ার সুযোগ হয় নি I এখানে, এই বিভিন্ন লিংকগুলোর সাথে, একটি
সুযোগ রয়েছে I সুরা আল-লায়ল এক আসন্ন আগুনের সম্বন্ধ সতর্ক করে I সুরা আল-কদর
ঘোষণা করে যে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা শক্তির রাতে কার্যরত ছিল I সুরা আছ-ছফ তাদেরকে
শক্তির প্রতিশ্রুতি দেয় যারা শিষ্যদের বার্তাকে বিশ্বাস করে I তারপরে এই শিষ্যদের
নেতা পিতর, আমাদেরকে পরামর্শ দিলেন আগামী দিনের অপেক্ষায় গোড়ার দিকের নবীদের কাছে
রাতের বেলা দেওয়া প্রকাশনের উপরে ‘মনোযোগ দিন’ I তাদের বার্তাগুলো জানা কি
বুদ্ধিমানী হবে না?
যদি আপনাকে প্রেমের গল্পের নাম
নিতে হয়, আপনি হয়ত প্রস্তাব দিতে পারেন যে নবী মহম্মদ (পিবিইউএইচ) এবং খালিদা, বা
নবী (পিবিইউএইচ) এবং তার প্রিয় স্ত্রী আইসা, বা সেই আলি এবং ফাতিমা I চলচ্চিত্র
এবং সাহিত্যে আপনি হয়ত ভাবতে পারেন: রোমিও এবং জুলিয়েট, বিউটি এবং বিস্ট, আলাদ্দিন
সিনেমার আলি এবং জেসমিন, বা হয়ত সিন্দ্রেল্লা এবং রাজকুমার চার্মিং I তাদের মধ্যে, ইতিহাস, পপ সংস্কৃতি এবং
রোমাঞ্চকর কল্পকাহিনী একসাথে আসে আবেগময় প্রেমের গল্পগুলোকে প্রদান করতে যা আমাদের
হৃদয়, আবেগ এবং কল্পনাগুলোকে মোহিত করে I
আশ্চর্যজনকভাবে, যে প্রেম রূৎ
এবং বোয়সের মধ্যে গড়ে উঠেছিল তা যে কোনো এই প্রেম কাহিনীর থেকে অনেক বেশি স্থায়ী
এবং মহৎ প্রমানিত হয়েছে, এবং আসলে, এখনও
আমাদের মধ্যে আজকের বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ লোকেদের জীবনকে প্রভাবিত করে – এই
প্রেমিকদের সাক্ষাতকারের তিন হাজার বছর পরে I
সুরা
আল-মাউন, আদ্ব-দ্বোহা, আশ-শিরাহ এবং আল-মুমতানিহা রূৎ ও বোয়সে অনুকরনীয়
রূৎ এবং বোয়সের গল্প এই
সুরাগুলো থেকে শাশ্বত নীতিগুলোকে চিত্রিত করে I বোয়স, রূতের প্রতি তার ক্ষুদ্র দয়া
সহকারে, এমন এক বাক্তি যিনি সুরা-আল-মা’উনের বিরুদ্ধে সতর্ক করা দুষ্ট ব্যক্তির
সম্পূর্ণ বিপরীত ছিলেন (সুরা 107 – ক্ষুদ্র দয়া)
2 সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয় 3 এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
সুরা আল-মাউন 107: 2-3
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
সুরা আল-মাউন 107:7
সুরা আদ্ব-দ্বোহার
(সুরা 93 – সকালের সময়) মধ্যে বর্ণিত অভিজ্ঞতাগুলোর একটি খাঁটি উদাহরণ রূৎ I
7 তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন। 8 তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন। 9 সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না; 10 সওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না। 11 এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন।
সুরা আদ্ব-দ্বোহা 93:7-11
রূতের গল্পে শাশুড়ি নাওমির অভিজ্ঞতাগুলো সুরা আল-শিরাহতে (সুরা 94 –স্বস্তি)
দেওয়া নীতিগুলোর একটি স্পষ্ট চিত্রণ
1 আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি? 2 আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা, 3 যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ। 4 আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি। 5 নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। 6 নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
সুরা আশ-শিরাহ 94:1-6
বোয়স যে ভাবে বিশ্বাসী শরণার্থী রূৎকে পরীক্ষা করে তা সুরা-আল-মুমতাহিনার উপরে
প্রয়োগ করার একটি উদাহরণ (সুরা 60 – সে যাকে পরীক্ষা করতে হবে)
মুমিনগণ, যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
সুরা আল-মুমতাহিনা 60:10
আজকের জন্য রূৎ এবং বোয়স
তাদের অসাধারণ প্রেমের ঘটনা
আপনাকে এবং আমাকে আল্লাহ প্রদত্ত একটি রহস্যময় এবং আধ্যাত্মিক প্রেমের চিত্র I রূৎ
এবং বোয়সের গল্প আন্ত-সাংস্কৃতিক এবং
নিষিদ্ধ প্রেম, অভিবাসন এবং একটি শক্তিশালী ও দুর্বল মহিলার মধ্যে সম্পর্কের সাথে
সম্পর্কিত – আজকের #মীটু যুগে প্রযোজ্য I এটি প্রাচীন যিহূদি-আরব সম্পর্কের সাথে
সম্পর্কিত I স্বাস্থ্যকর বিবাহ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তা এটি আমাদের জন্য একটি
ব্লুপ্রিন্ট হয়ে ওঠে I যে কোনো উপায়ের মাধ্যমে রূৎ এবং বোয়সের প্রেম কাহিনীটি জানা
দরকার I
বাইবেল/কিতাবে রূতের বইয়ের মধ্যে তাদের প্রেম লিপিবদ্ধ আছে I এটি একটি ক্ষুদ্র বই – কেবল 2400 শব্দাবলী দীর্ঘ – এবং পড়া ভাল (এখানে) I এটি প্রায় 1150 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে স্থাপিত হয়েছে, লিপিবদ্ধ সমস্ত প্রেমের গল্পগুলোর মধ্যে এটিকে প্রাচীনতম করেছে I এটি বেশ কয়েকটি ছবিতে তৈরী হয়েছে I
হলিউড ছবি
রূতের প্রেম কাহিনীকে চিত্রিত করে
রূতের
প্রেম কাহিনী
নাওমি এবং তার পতি, উভয় যিহূদি, সাথে তাদের দুই পুত্র খরার থেকে পলায়ন করতে ইস্রায়েল ছেড়ে দেয় এবং নিকটস্থ মোয়াব দেশে (আজকের যর্দ্দন) স্থায়ীভাবে বাস করে I স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করার পরে দুই ছেলে মারা যায়, যেমন নাওমির পতি দুই পুত্রবধুর সাথে তাকে একা রেখে যায় I নাওমি তার জন্ম স্থান ইস্রায়েলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার পুত্রবধুদের মধ্যে একজন, রূৎ তার সঙ্গী হতে চায় I দীর্ঘ অনুপস্থিতির পরে, নাওমি এক দুস্থ বিধবা রূপে তার জন্ম স্থান বেৎলেহামে ফিরে আসে সঙ্গে থাকে রূৎ, এক যুবতী এবং দুর্বল মোয়াবী (আরব) অভিবাসী I
রূৎ এবং বোয়সের
সাক্ষাতকার
কোনো উপার্জন ছাড়াই, রূৎ
ক্ষেতে স্থানীয় ফসল সংগ্রহকারী দলের ফেলে রাখা শস্য সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়ে I সামাজিক
নিরাপত্তার একটি জাল হিসাবে নবী মুসার (পিবিইউএইচ)
শরিয়া আইন, ফসল সংগ্রহকারীদের আদেশ দিয়েছিল তাদের ক্ষেতে কিছু শস্য
পেছনে ছেড়ে যেতে যাতে দরিদ্র খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে I এলোমেলোভাবে মনে হবে, রূৎ
নিজর মনে করে বোয়স নামে এক ধনী জমির মালকের জমিতে শস্য তুলছে I বোয়স অন্যদের মধ্যে
রূৎকে তার কর্মী দলের দ্বারা পেছনে ফেলে যাওয়া শস্য সংগ্রহ করার জন্য কঠিন পরিশ্রম
করতে লক্ষ্য করেন I তিনি তার কর্মী সর্দারকে নির্দেশ দেন ক্ষেতে অতরিক্ত শস্য
পেছনে ছেড়ে যেতে যাতে সে আরও বেশি সংগ্রহ করতে পারে I এটি করার মাধ্যমে বোয়স সুরা
আল-মানে দুষ্ট ব্যক্তির বিপরীত চিত্র তুলে ধরেছেন এবং সুরা আদ্ব-দ্বোহার পরিকল্পনা
অনুযায়ী রূৎ তার চাহিদা পূরণ করেছে I
রূৎ এবং বোয়স সাক্ষাৎ করে I তাদের সাক্ষাৎকারকে চিত্রিত করতে অনেক শিল্পকর্ম
করা হয়েছে
যেহেতু সে তার ক্ষেতে
প্রচুরভাবে সংগ্রহ করতে পারে, রূৎ ফেলে রাখা শস্য সংগ্রহ করতে বোয়সের ক্ষেতে
প্রত্যেক দিন ফিরে আসে I বোয়স, সর্বদা সুরক্ষক, সুনিশ্চিত করে যে রূৎ তার দলের
কারোর দ্বারা নিগৃহীত বা শ্লীলতাহানি না হয় I রূৎ এবং বোয়স একে অপরের প্রতি
আকর্ষিত হয়, তবে বয়স, সামাজিক মর্যাদা, এবং জাতিগত পার্থ্যকের কারণে, কোনো পদক্ষেপ
নেয় না I এখানে নাওমি ঘটক হিসাবে পদার্পণ করে I সে রূৎকে তার ফসল সংগ্রহের উৎসবের
পরে সাহসিকতার সাথে রাত্রে বোয়সের পাশে শুতে নির্দেশ দেয় I বোয়স এটিকে এক বিবাহ
প্রস্তাব বলে বুঝতে পারে এবং তাকে বিবাহ করতে চায় I
আত্মীয় উদ্ধারক
তবে পরিস্থিতি তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ভাবাসার তুলনায় বেশি জটিল I নাওমি বোয়সের
এক আত্মীয়, আর রূৎ তার পুত্রবধু বলে, বোয়স এবং রূৎ বিবাহ সুত্রে জ্ঞাতি/আত্মীয় I
বোয়সকে অবশ্যই তাকে একজন ‘আত্মীয় উদ্ধারক’ হিসাবে বিবাহ করতে হবে I এর অর্থ
হ’ল যে মুসার (পিবিইউএইচ) ব্যবস্থার অধীনে তিনি তাকে তার ‘প্রথম স্বামীর (নাওমির
পুত্র) ‘নামে’ বিবাহ করবেন এবং সেই মতন তার ব্যবস্থা করবেন I এর অর্থ হবে যে বোয়স
নাওমির পরিবারের ক্ষেতগুলো ক্রয় করবেন I বোয়সের কাছে তা ব্যয়বহুল প্রমাণিত হলেও
সবচেয়ে বড় বাধা ছিল না I সেখানে আর একজন নিকট আত্মীয় ছিল যার কাছে নাওমির পরিবারের
ক্ষেতগুলো ক্রয় করার প্রথম অধিকার ছিল (এবং সেইভাবে রূৎকে বিবাহ করার) I সুতরাং
বোয়সের সাথে রূতের বিয়ে নাওমি ও রূতের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব অন্য একজন চেয়েছিল কিনা
তা নিয়ে ঝুলে পড়েছিল I শহরের প্রবীনদের একটি জনসভায় এই প্রথম-লাইন বিয়েটিকে প্রত্যাখ্যান
করেছিল যেহেতু এটি তার নিজস্ব সম্পত্তিকে ঝুঁকিতে ফেলেছিল I বোয়াস এইভাবে নাওমির
পারিবারিক সম্পত্তি কিনতে এবং ছাড়িয়ে নিতে এবং রূৎকে বিবাহ করতে স্বাধীন ছিল I অনেক
কঠিন বছরের পরে নাওমি এখন স্বস্তি পেয়েছে, সুরা আশ-শিরাহ এই নীতিটি বর্ণনা করে
I
ধনী ও শক্তিশালী বোয়স যে শৌর্য
এবং শ্রদ্ধার সাথে এই নিঃস্ব বিদেশী মহিলা রূতের সাথে আচরণ করেছিলেন, তা আজকের
আমাদের #মীটু দিনগুলোতে সাধারণ হয়রানি ও শোষনের বিপরীতে একটি মডেল I পারিবারিক
লাইনের ঐতিহাসিক প্রভাব যা এই রোমাঞ্চ এবং
বিবাহ উৎপন্ন করেছিল, প্রত্যেক সময় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যাকে আমরা আমাদের
ডিভাইসে তারিখটি নোট করে রাখি, তা এই প্রেমকে একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার দেয় I তবে রূৎ
এবং বোয়সের প্রেম কাহিনী এমনকি আবারও মহত্তর প্রেমের একটি চিত্র – যার মধ্যে
আপনাকে এবং আমাকে আমন্ত্রণ করা হয় I
কিতাব/বাইবেল রূতের মতন আমাদের
বর্ণনা করে যখন এটি বলে:
23 আমি তার জমিতে বহু বীজ বপন করব| লো-রুহামাকে আমি কৃপা দেখাবো| লো-অম্মিকে, আমি বলব, ‘তুমি আমার লোক’ এবং তারা আমাকে বলবে, ‘আপনি আমাদের ঈশ্বর|”‘
হোশেয় 2:23
পুরনো নিয়মের ভাববাদী হোশেয়
(প্রায় 750 খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) আল্লাহকে আমাদের কাছে তাঁর প্রেমের সাথে পৌঁছাতে তার
নিজস্ব ভগ্ন বিবাহে পুনর্মিলনকে ব্যবহার করেছিলেন I রূতের মতন যে একজন প্রেম-রহিত অবস্থায়
সেই দেশে প্রবেশ করেছিল, কিন্তু তখন বোয়সের দ্বারা তাকে প্রেম দর্শানো হয়েছিল,
তিনি তাঁর প্রেমকে আমাদের মধ্যে এমনকি তাদেরও দেখাতে চান যারা তাঁর প্রেমের থেকে
অনেক দুরে অনুভব করে I এটিকে ইঞ্জিলের (রোমীয় 9:25) মধ্যে উদ্ধৃত করা হয়েছে যাতে
দেখানো যায় কিভাবে আল্লাহ তাঁর কাছ থেকে দুরে থাকা ব্যক্তিদের ভালবাসতে ব্যাপকভাবে
পৌঁছায় I
তাঁর প্রেমকে কিভাবে দেখান যায়? ঈসা আল মসীহ, বোয়াস এবং রূতের সেই বংশধর, একজন মানুষ হিসাবে আমাদের ‘আত্মীয়’, ঠিক যেমন রূতের কাছে বোয়াস ছিলেন I তিনি আল্লাহর কাছে আমাদের পাপের ঋণ পরিশোধ করেছিলেন যখন তিনি ক্রুশের উপরে ক্রুশারোপিত হলেন, এবং এইরূপে তিনি
14 খ্রীষ্ট আমাদের জন্যে নিজেকে দিলেন, যাতে সমস্ত মন্দ থেকে আমাদের উদ্ধার করতে পারেন, যাতে আমরা সত্ কর্মে আগ্রহী ও পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে কেবল তাঁর হই৷
তীত 2:14
ঠিক যেমন বোয়াস একজন
‘আত্মীয়-উদ্ধারক’ ছিলেন যিনি রূতের উদ্ধারের জন্য এক মুল্য দিয়েছিলেন, যীশুও
আমাদের ‘আত্মীয়-উদ্ধারক’ যিনি আমাদের মুক্তি দিতে মূল্য প্রদান করলেন (তাঁর জীবনের
সাহায্যে) I
আমাদের
বিবাহ সমূহের জন্য একটি মডেল
যেভাবে ঈসা আল মসীহ (এবং
বোয়াস) মুক্তি দিতে মূল্য দিলেন এবং তার পরে তার কনের মডেলগুলো জিতলেন কিভাবে আমরা
আমাদের বিবাহ সমূহকে তৈরী করতে পারি I কিতাব/বাইবেল ব্যাখ্যা করে কিভাবে আমরা আমাদের
বিবাহ সমূহকে প্রতিষ্ঠিত করি I
21 স্বেচ্ছায় তোমরা একে অপরের কাছে নত থাক৷ খ্রীষ্টের প্রতি তোমাদের শ্রদ্ধার জন্যে তা কর৷ 22 বিবাহিতা নারীরা, তোমরা য়েমন প্রভুর অনুগত তেমনি তোমাদের স্বামীদের অনুগত থাক৷ 23 কারণ স্বামী তার স্ত্রীর মস্তকস্বরূপ য়েমন খ্রীষ্ট তাঁর মণ্ডলীর মস্তক, তিনি তো তাঁর দেহেরও ত্রাণকর্তা৷ 24 তাই মণ্ডলী য়েমন খ্রীষ্টের অনুগত, তেমনি স্ত্রীরা, তোমরা সব বিষয়ে স্বামীর অনুগত থেকো৷ 25 স্বামীরা, তোমরাও তোমাদের স্ত্রীদের অনুরূপ ভালবাসো, য়েমন খ্রীষ্ট তাঁর মণ্ডলীকে ভালবেসেছেন ও তার জন্য নিজের প্রাণ উত্সর্গ করেছেন৷ 26 মণ্ডলীকে পবিত্র করার জন্য খ্রীষ্ট মৃত্যুভোগ করলেন৷ সুসমাচারের বাক্যরূপ জলে ধুয়ে তাকে পরিষ্কার করলেন, যাতে তিনি তা নিজেকে উপহার দিতে পারেন৷ 27 খ্রীষ্ট তাকে পরিষ্কার করলেন যাতে সে নিজেকে একজন জ্যোতির্মযী বধূ হিসাবে পবিত্র ও অনিন্দনীয়ভাবে উপহার দিতে পারে, যাতে তার কোন কলঙ্ক বা কুজন বা কোন অসম্পূর্ণতা না থাকে৷ 28 স্বামীরা য়েমন নিজেদের দেহকে ভালবাসে তেমনি তারা য়েন তাদের স্ত্রীকে ভালবাসে৷ য়ে কেউ তার স্ত্রীকে ভালবাসে, সে নিজেকেই ভালবাসে৷ 29 কারণ কেউ তার নিজের দেহকে ঘৃণা করে না, বরং নিজের দেহকে খাদ্য ইত্যাদি দিয়ে পুষ্ট করে তোলে এবং ভাল করে তার যত্ন নেয়৷ অনুরূপভাবে খ্রীষ্ট মণ্ডলীকে আহার দেন ও তার যত্ন করেন, 30 কারণ আমরা তাঁর দেহেরই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ৷ 31 শাস্ত্রে য়েমন বলছে: ‘এইজন্য মানুষ তার বাবা-মাকে ছেড়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হবে ও তারা উভয়ে এক দেহ হবে৷’ 32 এই নিগূঢ় সত্য মহান; আর আমি বলি এটা খ্রীষ্ট ও তাঁর মণ্ডলীর উদ্দেশ্যে প্রয়োজ্য৷ 33 যাইহোক, তোমরা প্রত্যেকে নিজেদেরস্ত্রীকে ভালবাসবে য়েমন তোমরা নিজেদের ভালবাস; আর স্ত্রীরও উচিত তার স্বামীকে শ্রদ্ধা করা৷
ইফীষিয় 5:21-33
যেমনভাবে বোয়স এবং রূৎ প্রেম ও
শ্রদ্ধার উপরে তাদের বিবাহকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, এবং ঈসার যত্ন পতিদের জন্য তাদের
পত্নীদের আত্মত্যাগের সাথে ভালবাসার একটি নমুনা, যাতে আমরা এই একই মুল্য সমূহের
উপরে আমাদের বিবাহগুলোকে নির্মাণ করতে ভালভাবে কাজ করি I
আপনার
এবং আমার জন্য একটি বিবাহের আমন্ত্রণ
যেমন সমস্ত প্রেম কাহিনীগুলোর
মধ্যে, কিতাব/বাইবেল একটি বিবাহের সাথে শেষ হয় I ঠিক যেমনভাবে বোয়াস তাদের বিবাহের
রাস্তা খুলতে রূৎকে মুক্তি দিতে যে মূল্য প্রদান করলেন, ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ
মূল্য প্রদান আমাদের বিবাহের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করেছে I সেই বিবাহটি রূপক নয়
বরং প্রকৃত এবং যারা তার বিবাহের আমন্ত্রণ স্বীকার করছে তাদের বলা হয় ‘খ্রীষ্টের
কনে’ I যেমন এটি বলে:
7 এস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, আর তাঁর মহিমা করি, কারণ মেষশাবকের বিবাহের দিন এল৷ তাঁর বধূও বিবাহের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে৷
প্রকাশিত বাক্য 19:7
যারা মুক্তির সম্বন্ধে যীশুর উপহার পায় তারা তার ‘কনে’ হয় I এই স্বর্গীয় বিবাহ আমাদের সকলের কাছে দেওয়া হয়েছে I তার বিবাহে আসতে আপনার এবং আমার জন্য এই আমন্ত্রণের সাথে বাইবেল শেষ হয় I
17 আত্মা ও বধূ বলছেন, ‘এস!’ য়ে একথা শোনে সেও বলুক, ‘এস!’ আর য়ে পিপাসিত সেও আসুক৷ য়ে চায় সে এসে বিনামূল্যে জীবন জল পান করুক৷
প্রকাশিত বাক্য 22:17
রূৎ এবং বোয়সের মধ্যে সম্পর্ক প্রেমের একটি নমুনা যা আজকের দিনে এখনও নিজেকে অনুভূত করছে I এটি আল্লাহর স্বর্গীয় প্রেমের একটি চিত্র I তিনি তাঁর কনে রূপে সকলকে বিবাহ করবেন যারা তাঁর বিবাহ প্রস্তাবকে স্বীকার করে I যে কোনো বিবাহ প্রস্তাবের মতন, আপনার প্রস্তাবটি গ্রহণ করা উচিত কিনা তা দেখার জন্য তার প্রস্তাবকে ওজন করা উচিত I এখানে ‘পরিকল্পনার’ সাথে আরম্ভ করুন যাকে হজরত আদমের সাথে শুরুতে স্থাপন করা হয়েছিল, এখানে দেখতে কিভাবে হজরত ইব্রাহিম পরিকল্পনাটিকে আগে থেকেই দেখেছিলেন, এখানে কিভাবে নবী মুসা/মোসেস দেখেছিলেন কিভাবে উদ্ধারকর্তা মূল্য প্রদান করবেন, এবং এখানে দেখতে কিভাবে এটি বহুপূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যাতে আমরা জানতে পারি প্রকৃতপক্ষে এটি আল্লাহ/ঈশ্বরের প্রস্তাব I
আমরা কাবার (318 হিজরার মধ্যে) কালো পাথরের অন্তর্হিত হওয়ার ঘটনাকে ব্যবহার করে এই বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই প্রশ্নটিকে বিস্তৃতভাবে পরীক্ষা করব I
যারা ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ ক্রুশের উপরে মৃত্যুকে অস্বীকার করে তারা সাধারণত আন-নিসা 157 আয়াতটি উদ্ধৃত করে I
আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি। সুরা আন-
নিসা 4:157
ঈসা আল মসীহকে কি হত্যা করা হয়েছিল?
লক্ষ্য করুন এটি বলে না যে ঈসা আল মসীহ মারা যান নি I এটি বলে যিহূদিরা ‘তাকে হত্যা করে নি…’ যা আলাদা I ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ করে যিহূদিরা নবীকে গ্রেফতার করে, এবং প্রধান যাজক কাফায়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তবে
28 এরপর তারা যীশুকে কায়াফার বাড়ি থেকে রাজ্যপালের প্রাসাদে নিয়ে গেল৷ তখন ভোর হয়ে গিয়েছিল৷ তারা নিজেরা রাজ্যপালের প্রাসাদের ভেতরে য়েতে চাইল না, পাছে অশুচিহয়ে পড়ে, কারণ তারা নিস্তারপর্বের ভোজ খেতে চাইছিল৷
যোহন 18:28
পীলাত রোমের দেশাধ্যক্ষ্য ছিলেন I রোমের দখলে থাকাতে, যিহূদিদের প্রাণদণ্ড দেওয়ার কর্ত্তৃত্ব ছিল না I পীলাত তখন নবীকে তার রোমীয় সৈন্যদের কাছে সমর্পণ করলেন I
16 তখন পীলাত যীশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করে মারবার জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেন৷শেষ পর্যন্ত তারা যীশুকে হাতে পেল৷
যোহন 19:16
অতএব রোম সরকার এবং রোমীয় সৈন্যরা তাকেই ক্রুশে দিয়েছিল – যিহূদিরা নয় I যিহূদি নেতাদের কাছে নবীর শিষ্যদের অভিযোগ এই ছিল যে
13 না! ঈশ্বরই একাজ করেছেন৷ তিনি অব্রাহামের, ইসহাকের ও যাকোবের ঈশ্বর, আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, তিনিই তাঁর দাস যীশুকে মহিমান্বিত করেছেন৷ এই যীশুকেই আপনারা মৃত্যুদণ্ডের জন্য শত্রুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন৷ সেদিন পীলাত যখন তাঁকে ছেড়ে দেবেন বলে মনস্থ করেছিলেন, তখন আপনারা তাঁকে অগ্রাহ্য করেছিলেন৷ আপনারা বলেছিলেন, যীশুকে আপনারা চান না৷
প্রেরিত 3:13
যিহূদিরা তাকে রোমীয়দের কাছে সমর্পণ করল এবং তারা তাকে ক্রুশবিদ্ধ করল I ক্রুশে তার মৃত্যুর পরে, তার দেহকে একটি সমাধিতে রাখা হল
41 যীশু সেখানে ক্রুশ বিদ্ধ হয়েছিলেন, তার কাছে একটি বাগান ছিল, সেই বাগানে একটি নতুন কবর ছিল সেখানে আগে কাউকে কখনও কবর দেওযা হয় নি৷ 42 এই কবরটি নিকটেই ছিল, যীশুর দেহ তাঁরা সেই কবরেব মধ্যে রাখলেন, কারণ ইহুদীদের বিশ্রামের দিনটি শুরু হতে চলেছিল৷
যোহন 19:41-42
আন-নিসা 157 ব্যক্ত করে যে যিহূদিরা ঈসা আল মসীহকে ক্রুশবিদ্ধ করে নি I সেটি সত্য I রোমীয়রা করেছিল I
সুরা মারইয়াম এবং নবীর মৃত্যু
ঈসা আল মসীহ মারা গেছেন কিনা তা সুরা মারইয়াম পরিস্কার করে দিয়েছেন I
33 আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হব। 34 এই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। সত্যকথা, যে সম্পর্কে লোকেরা বিতর্ক করে।
সুরা মারইয়াম 19:33-34
এটি পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করে যে ঈসা আল মসীহ তার মৃত্যু সম্পর্কে আগে থেকেই দেখেছিলেন এবং বলেছিলেন, যেমন ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ করে I
‘পরিবর্তে যুদার হত্যা’ তত্ত্ব
একটি বহু প্রচারিত তত্ত্ব আছে যে যুদাকে ঈসা আল মসীহর মতন দেখতে রূপান্তর করা হয়েছিল I তখন যিহূদিরা যুদাকে (যাকে এখন ঈসা আল মসীহর মতন দেখতে) গ্রেফতার করল, রোমীয়রা যুদাকে (তখনও ঈসার সাদৃশ্য) ক্রুশবিদ্ধ করল, এবং যুদাকে (তখনও ঈসার মতন দেখতে) কবর দেওয়া হল I এই তত্বের মধ্যে ঈসা আল মসীহ না মারা গিয়ে সরাসরিভাবে স্বর্গে গিয়েছিলেন I যদিও না কোরআন আর নাতো ইঞ্জিলের কোথাও এই ধরণের বিস্তৃত ছকের কোনো বর্ণনা আছে, এটিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে I তাই এই তত্ত্বটিকে আমাদের পরীক্ষা করা যাক I
ঐতিহাসিক নথির মধ্যে ঈসা আল মসীহ
ধর্মনিরপেক্ষ ইতিহাস ঈসা আল মসীহ এবং তার মৃত্যুর প্রতি বিভিন্ন উল্লেখ সমূহকে লিপিবদ্ধ করে I আমাদের দুটির প্রতি দেখা যাক I রোমীয় ঐতিহাসিক তাসিতাস ঈসা আল মসীহর প্রতি উল্লেখ করেছিলেন যখন লিপিবদ্ধ করছিলেন কিভাবে রোম সম্রাট নীরো 65 খ্রীষ্টাব্দে নবী ঈসা আল মসীহর প্রথম অনুগামীদের উপরে অত্যাচার করেছিলেন I তাসিতাস লিখলেন:
‘নীরো.. সাধারণত খ্রীষ্টান নামে অভিহিত ব্যক্তিদের উপরে অত্যন্ত তীব্র অত্যাচারের সাহায্যে শাস্তি দিলেন, যাদেরকে তাদের বিশালতার জন্য ঘৃণা করা হত I খ্রীষ্টাস নামটির প্রতিষ্ঠাতাকে, পন্তিয়াস পীলাতের দ্বারা মৃত্যু দেওয়া হয়েছিল, যিনি তিবিরিযাস অঞ্চলের যিহূদিয়া প্রদেশের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনধি ছিলেন; তবে অনিষ্টকর কুসংস্কার, এক সময়ের জন্য অবদমিত হয়ে আবার সহসা প্রাদুর্ভূত হয়েছিল, না কেবল যিহূদিয়া জুড়ে, যেখান থেকে অপকর্মটির উৎপত্তি হয়েছিল, বরং রোমের শহর জুড়েও’ তাসিতাস.
আন্নালস XV. 44
তাসিতাস সুনিশ্চিত করেন যে ঈসা আল মসীহ ছিলেন:
1) একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি;
2) পন্তিয়াস পীলাতের দ্বারা প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত;
3) নবী ঈসা আল মসীহর মৃত্যুর পরে তার অনুগামীরা যিহূদিয়াতে (যিরূশালেম) তাদের আন্দোলন আরম্ভ করেছিল I
4) 65 খ্রীষ্টাব্দের (নীরোর সময়কাল) মধ্যে তারা যিহূদিয়া থেকে রোমে ছড়িয়ে পড়েছিল যার জন্য রোম সম্রাট অনুভব করল এদেরকে থামাতে হবে I
প্রথম শতাব্দীর যিহূদি ইতিহাস সম্বন্ধে যোসেফাস একজন যিহূদি সামরিক নেতা/ইতিহাসবিদ লেখক ছিলেন I এইরকম করতে গিয়ে তিনি এই বাক্যগুলো দিয়ে ঈসা আল মসীহর জীবনকে আবৃত করেছিলেন:
‘এই সময়ে সেখানে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন … যীশু … উত্তম, এবং গুণী I আর যিহূদিদের মধ্য থেকে এবং অন্য জাতিদের থেকে অনেক লোকেরা তার শিষ্য হয়েছিল I পীলাত তাকে ক্রুশে ও মারা যাবার জন্য দোষী করেছিলেন I এবং যারা তার শিষ্য হয়েছিল তারা তার শিষ্যত্ব পরিত্যাগ করে নি I তারা সংবাদ দিয়েছিল যে তিনি তার ক্রুশবিদ্ধের পরে তৃতীয় দিনে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং যে তিনি জীবিত ছিলেন’
যোসেফাস 90 খ্রীষ্টাব্দ আন্তিকুইটিস XViii 33
যোসেফাস সুনিশ্চিত করেন যে:
1) ঈসা আল মসীহর অস্তিত্ব ছিল,
2) তিনি একজন ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন,
3) রোমীয় দেশাধ্যক্ষ্য পীলাত তার প্রাণদণ্ড দিয়েছিলেন.
4) তার শিষ্যরা ঠিক তার পরে ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থান সম্পর্কে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন I
এই ঐতিহাসিক নথি সমূহ থেকে এটি মনে হয় যে তার শিষ্যদের দ্বারা রোমীয় জগতের কাছে ঘোষিত তার পুনরুত্থান সহ নবীর মৃত্যু একটি সুপরিচিত, অবিতর্কিত ঘটনা ছিল I
ঐতিহাসিক পৃষ্ঠভূমি – বাইবেল থেকে
এখানে বাইবেলের মধ্যে প্রেরিতের বইতে এইভাবে ঘটনাটিকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যখন শিষ্যরা যিরূশালেমে, মন্দিরে, তার ক্রুশবিদ্ধের কয়েক সপ্তাহ পরে ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থান সম্বন্ধে ঘোষণা করল
তর ও য়োহন যখন লোকদের সাথে কথা বলছিলেন, তখন মন্দির থেকে ইহুদী যাজকরা, মন্দিরের রক্ষীবাহিনীর সেনাপতি ও সদ্দূকীরা তাঁদের কাছে এসে হাজির হল৷ 2 পিতর ও য়োহন লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন ও মৃতদের মধ্য থেকে যীশুর পুনরুত্থানের বিষয়ে লোকদের কাছে বলছিলেন বলে ঐ লোকেরা বিরক্ত হয়েছিল৷ 3 তারা পিতর ও য়োহনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল ও পরের দিন পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখল; কারণ তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল৷ 4 কিন্তু অনেকে যাঁরা পিতর ও য়োহনের মুখ থেকে সেই শিক্ষা শুনেছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই যীশুর উপর বিশ্বাস করল৷ যাঁরা বিশ্বাস করল, সেই বিশ্বাসীদের মধ্যে পুরুষ মানুষই ছিল প্রায় পাঁচ হাজার৷ 5 পরের দিন তাদের ইহুদী নেতারা, সমাজপতি ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা সকলে জেরুশালেমে জড়ো হলেন৷ 6 সেখানে হানন মহাযাজক, কাযাফা, য়োহন, আলেকসান্দার ও মহাযাজকের পরিবারের সব লোক ছিলেন৷ 7 পিতর ও য়োহনকে তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে ইহুদী নেতারা প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কোন্ শক্তিতে বা অধিকারে এসব কাজ করছ?’ 8 তখন পিতর পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে তাঁদের বললেন, ‘মাননীয় জন-নেতৃবৃন্দ ও সমাজপতিরা: 9 একজন খোঁড়া লোকের উপকার করার জন্য যদি আজ আমাদের প্রশ্ন করা হয় য়ে সে কিভাবে সুস্থ হল, 10 তাহলে আপনারা সকলে ও ইস্রায়েলের সকল লোক একথা জানুক, য়ে এটা সেই নাসরতীয় যীশু খ্রীষ্টের শক্তিতে হল! যাকে আপনারা ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করেছিলেন, ঈশ্বর তাকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন৷ হ্যাঁ, তাঁরই মাধ্যমে এই লোক আজ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে৷ 11 যীশু হলেন‘সেই পাথর যাকে রাজমিস্ত্রিরা অর্থাত্ আপনারা অগ্রাহ্য় করে সরিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিনিই এখন কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠেছেন৷’ 12 যীশুই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি মানুষকে উদ্ধার করতে পারেন৷ জগতে তাঁর নামই একমাত্র শক্তি যা মানুষকে উদ্ধার করতে পারে৷’ 13 পিতর ও য়োহনের নির্ভীকতা দেখে ও তাঁরা য়ে লেখাপড়া না জানা সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পেরে পর্ষদ আশ্চর্য হয়ে গেল৷ তখন তারা বুঝতে পারল য়ে পিতর ও য়োহন যীশুর সঙ্গে ছিলেন৷ 14 য়ে লোকটি সুস্থ হয়েছিল, সে পিতর ও য়োহনের সঙ্গে আছে দেখে পর্ষদ কিছুই বলতে পারল না৷ 15 তারা পিতর ও য়োহনকে সভাকক্ষ থেকে বাইরে য়েতে বলল৷ তাঁরা বাইরে গেলে নেতৃবর্গ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, 16 ‘এই লোকদের নিয়ে কি করা যায়? কারণ এটা ঠিক য়ে ওরা য়ে উল্লেখয়োগ্য অলৌকিক কাজ করেছে তা জেরুশালেমের সকল লোক জেনে গেছে; আর আমরাও একথা অস্বীকার করতে পারি না৷ 17 কিন্তু একথা য়েন লোকদের মধ্যে আর না ছড়ায়, তাই এস আমরা এদের ভয় দেখিয়ে সাবধান করে দিই, য়েন এই লোকের নামের বিষয় উল্লেখ করে তারা কোন কথা না বলে৷’
প্রেরিত 4:1-17
17 এরপর মহাযাজক এবং তাঁর সঙ্গীরা অর্থাত্ সদ্দূকী দলের লোকেরা ঈর্ষায় জ্বলে উঠল৷ 18 তারা প্রেরিতদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে আটকে দিল; 19 কিন্তু রাতের বেলায় প্রভুর এক দূত সেই কারাগারের দরজা খুলে দিলেন৷ তিনি তাদের পথ দেখিয়ে কারাগারের বাইরে নিয়ে গিয়ে বললেন, 20 ‘যাও মন্দিরের মধ্যে দাঁড়িয়ে তোমরা লোকদের এই নতুন জীবনের সকল বার্তা শোনাও৷’ 21 প্রেরিতেরা আজ্ঞা অনুসারে ভোর বেলায় মন্দিরে গিয়ে শিক্ষা প্রচার করতে লাগলেন৷এদিকে মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা, ইহুদী সমাজের গন্যমান্য লোকদের এক মহাসভা ডাকল; আর প্রেরিতদের সেখানে নিয়ে আসার জন্য কারাগারে লোক পাঠালো৷ 22 কিন্তু সেই লোকেরা কারাগারে এসে কারাগারের মধ্যে প্রেরিতদের দেখতে পেল না৷ তাই তারা ফিরে গিয়ে বলল, 23 ‘আমরা দেখলাম কারাগারের তালা বেশ ভালভাবেই বন্ধ আছে, দরজায় দরজায় পাহারাদাররা দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে আমরা কাউকে দেখতে পেলাম না, দেখলাম কারাগার খালি পড়ে আছে৷’ 24 মন্দির রক্ষীবাহিনীর প্রধান ও প্রধান যাজকেরা এই কথা শুনে হতবুদ্ধি হয়ে ভাবতে লাগল, ‘এর পরিণতি কি হবে?’ 25 সেই সময় একজন এসে তাদের বলল, ‘শুনুন! য়ে লোকদের আপনারা কারাগারে রেখেছিলেন, দেখলাম তাঁরা মন্দিরের মধ্যে দাঁড়িয়ে লোকদের শিক্ষা দিচ্ছেন৷’ 26 তখন রক্ষীবাহিনীর প্রধান তার লোকদের নিয়ে সেখানে গেল ও প্রেরিতদের নিয়ে এল৷ তারা কোনরকম জোর করল না, কারণ তারা লোকদের ভয় করতে লাগল, পাছে তারা পাথর ছুঁড়ে তাদের মেরে ফেলে৷ 27 তারা প্রেরিতদের নিয়ে এসে ইহুদী নেতাদের সামনে দাঁড় করালে মহাযাজক প্রেরিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন৷ 28 তিনি বললেন, ‘ঐ মানুষটির বিষয়ে কোন শিক্ষা দিতে আমরা তোমাদের দৃঢ়ভাবে নিষেধ করেছিলাম৷ ভেবে দেখ তোমরা কি করেছ? তোমরা তোমাদের শিক্ষায় জেরুশালেম মাতিয়ে তুলেছ, আর সেই লোকের মৃত্যুর জন্য সব দোষ আমাদের ওপর চাপাতে চাইছ৷’ 29 তখন পিতর ও অন্য প্রেরিতেরা এর উত্তরে বললেন, ‘মানুষের হুকুম মানার চেয়ে বরং ঈশ্বরের আদেশ আমাদের অবশ্যই পালন করতে হবে৷ 30 আপনারা যীশুকে হত্যা করেছিলেন, তাঁকে বিদ্ধ করে ক্রুশে টাঙ্গিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সেই পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন৷ 31 সেই যীশুকে ঈশ্বর নেতা ও ত্রাণকর্তারূপে উন্নত করে নিজের ডান দিকে স্থাপন করেছেন, যাতে ইহুদীরা তাদের মন ফিরায় ও তিনি তাদের পাপের ক্ষমা দিতে পারেন৷ 32 আর আমরা এসব ঘটতে দেখেছি, বলতে পারি য়ে এসব সত্য৷ পবিত্র আত্মাও দেখাচ্ছেন য়ে এসব সত্য৷ যাঁরা তাঁর বাধ্য তাদের তিনি পবিত্র আত্মা দান করেছেন৷’ 33 মহাসভার সভ্যরা এসব কথা শুনে প্রচণ্ড রেগে উঠল, আর তারা প্রেরিতদের হত্যা করতে চাইল৷ 34 কিন্তু সেই মহাসভার একজন সভ্য, গমলীয়েল ইনি ব্যবস্থার শিক্ষক, যাকে সকলে মান্য করত, তিনি উঠে দাঁড়িয়ে ঐ প্রেরিতদের কিছু সময়ের জন্য সভা থেকে বাইরে নিয়ে য়েতে বললেন৷ 35 পরে তিনি তাদের বললেন, ‘হে ইস্রায়েলীরা, এই লোকদের নিয়ে তোমরা যা করতে যাচ্ছ সে বিষয়ে সাবধান৷ 36 কারণ এর কিছু আগে থুদা নামে একজন লোক নিজেকে মহান বলে দাবী করেছিল৷ প্রায় চারশো লোক তার অনুসারী হয়েছিল; আর সে নিহত হলে তার অনুগামীরা সব য়ে যার পালিয়ে গেল, তার কোন চিহ্নই রইল না৷ 37 থুদার পরে আদমসুমারীর সময় গালীলীয় যিহূদার উদয় হয়, সেও বেশ কিছু লোককে তার দলে টানে; পরে সেও নিহত হয়, আর তার অনুগামীরাও ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়৷ 38 তাই বর্তমানে এই অবস্থা দেখে আমি তোমাদের বলছি: এই লোকেদের থেকে দূরে থাক, তাদের ছেড়ে দাও, কারণ তাদের এই পরিকল্পনা অথবা এই কাজ যদি মানুষের থেকে হয় তবে তা ব্যর্থ হবে৷ 39 কিন্তু যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে হয়ে থাকে, তাহলে তোমরা তা বন্ধ করতে পারবে না৷ হয়তো দেখবে য়ে তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ৷’ তখন তারা এই পরামর্শ গ্রহণ করল৷ 40 তারা প্রেরিতদের ভেতরে ডেকে এনে চাবুক মারল, যীশুর নামে একটি কথাও বলতে নিষেধ করে তাদের ছেড়ে দিল৷ 41 প্রেরিতেরা মহাসভার সভাস্থল থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন, আর যীশুর নামের জন্য তাঁরা য়ে নির্য়াতন ও অপমান সহ্য করার য়োগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, এই কথা ভেবে আনন্দ করতে লাগলেন৷
প্রেরিত 5:17-41
লক্ষ্য করুন কিভাবে যিহূদি নেতারা তাদের বার্তাকে থামাতে বিরাট প্রচেষ্টা করল I আজকের সরকারের মতন যারা নতুন আন্দোলন সম্পকে ভীত তারা গ্রেফতার করল, ভয় দেখাল, প্রহার করল এবং অবশেষে তাদের থামাতে চেষ্টা করতে শিষ্যদের হত্যা করল (কতিপয়কে) I এই শিষ্যরা তাদের বার্তাকে যিরূশালেমে ঘোষণা করল – সেই একই নগর যেখনে অল্প কয়েক সপ্তাহ পূর্বে ঈসা আল মসীহর চেহারায় কাউকে প্রকাশ্যে প্রাণদণ্ড দিয়ে কবর দেওয়া হয়েছিল I কিন্তু কাকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছিল? নবীকে? বা তার মতন দেখতে তৈরী করা যুদাকে?
এখন আমাদের বিকল্পগুলোকে দেখা যাক এবং দেখি কি অর্থ হয় I
ঈসা আল মসীহর দেহ এবং সমাধিটি
সমাধিটির সম্বন্ধে দুটি বিকল্প আছে I হয় সমাধিটি খালি ছিল বা তখনও এটিতে নবীর মতন দেখতে একটি দেহ রয়েছিল I আর কোনো বিকল্প নেই I
আমরা তত্বটিকে মেনে নি যে যুদাসকে নবীর মতন দেখতে তৈরী করা হয়েছিল, তার বদলে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, এবং তারপরে তার দেহকে (নবীর সাদৃশ্যে) কবরে রাখা হয়েছিল I এখন পরবর্তী ঘটনাগুলোর সম্বন্ধে ভাবুন যাকে আমরা ইতিহাসের ঘটনা থেকে জানি I যোসেফাস, তাসিতাস, এবং প্রেরিতের কার্য সকল আমাদের বলে যে শিষ্যরা তাদের বার্তাকে যিরূশালেমে আরম্ভ করেছিল এবং কর্ত্তৃপক্ষরা সেখানে ক্রুশবিদ্ধের (যুদাসের যাকে নবীর মত দেখতে ছিল – যেহেতু আমরা তত্ত্বটিকে মেনে নিয়েছি) পরে শিষ্যদের বার্তার বিরধিতায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল I তবে এই তত্বটি স্বীকার করে যে যুদাস মৃত থেকেছিল I এই তত্বের মধ্যে, দেহ কবরে (তবে তখনও নবীর চেহারায় রুপান্তর করা হয়েছিল) থেকেছিল I শিষ্যরা, সরকার, তাসিতাস, যোসেফাস – প্রত্যেকে ভুলকরে ভাববে দেহটি নবীর ছিল তবে আসলে এটি যুদাসের (যীশুর মতন দেখতে) মৃত দেহ ছিল I
এটি একটি প্রশ্ন উত্থাপন করে I রোমীয় এবং যিহূদি নেতাদের কেন যিরূশালেমে একটি পুনরুত্থানের গল্পকে থামাতে এই ধরণের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় যদি এই দেহটি তখনও কবরের মধ্যে ছিল, নবীর মৃত্যু থেকে উত্থানের বার্তা সম্পর্কে শিষ্যদের প্রকাশ্য বার্তার ঠিক পাশে? যদি যুদাসের দেহ (ঈসা আল মসীহর মতন দেখতে) তখনও কবরের মধ্যে ছিল তবে কর্ত্তৃপক্ষদের পক্ষে এটি একটি সরল বিষয় হোত এই দেহটিকে প্রত্যেককে দেখাতে এবং এইভাবে বন্দী, অত্যাচার এবং অবশেষে তাদের শহীদ না করে শিষ্যদের (যারা বলল যে তিনি উত্থিত হয়েছেন) খন্ডন করতে পারত I তাদের এইরকম না করার কারণ ছিল যে সেখানে দেখাবার জন্য কোনো দেহ ছিল না – সমাধিটি খালি ছিল I
কালো পাথর, কাবা এবং মক্কা ও মদিনার মসজিদ চিত্রণ হিসাবে
930 খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে (318 হিজরী) কালো পাথরটি (আল-হাজারু আল-আস্বাদ) একটি শিত্তে গোষ্ঠির দ্বারা সেই সময়ের আব্বাসিদ শাসকদের বিরোধিতায় মক্কাতে কাবার থেকে চুরি করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল I কাবাকে ফেরত দেওয়ার পূর্বে 23 বছর ধরে এটিকে রেখে দেওয়া হয়েছিল I কালো পাথর হারিয়ে যেতে পারে I
এইরকম একটি পরিস্থিতির কল্পনা করুন যেখানে একটি গোষ্ঠী প্রকাশ্যে ভিড়ের সামনে ঘোষণা করে যে মক্কার মহান মসজিদে (আল-মসজিদ আল-হারাম) কাবার পূর্ব কোনের কালো পাথরটি আর নেই I তাদের বার্তাটি এতটাই বিশ্বাসযোগ্য ছিল যে মসজিদে তীর্থযাত্রীরা বিশ্বাস করতে আরম্ভ করল যে কালো পাথরটি হারিয়ে গেছে I পবিত্র দুই মসজিদের (খাদিম আল- হার্মায়ান আস-সারিফায়্ন) প্রহরীরা এই ধরণের একটি বার্তার বিরূদ্ধে লড়তে পারত? বার্তাটি যদি মিথ্যা হত এবং কালো পাথর তখনও কাবার মধ্যে থাকত তবে প্রহরীদের পক্ষে এই বার্তাটিকে বন্ধ করার সর্বোত্তম উপায় হোত প্রকাশ্যে দেখানো যে কালো পাথরটি তখনও কাবাতে ছিল এবং এটি কয়েক শতাব্দী ধরে রয়েছে I তখন এই ধারনাটি তৎক্ষনাত অযোগ্য হয়ে পড়ত I মক্কার মসজিদে কালো পাথরটির সানিধ্য এটিকে সম্ভব করে তোলে I বিপরীত দিকে, প্রহরীরা যদি এই ধারণাকে খন্ড করতে কালো পাথরটিকে না দেখাতে পারে, তবে এটি দেখায় যে কালো পাথরটি সত্যই 318 হিজরীতে হারিয়ে গেছে I
যাইহোক, এই গোষ্ঠী যদি মদিনার ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ মসজিদ (আল-মসজিদ আন-নবাবী) থেকে ঘোষণা করে যে কালো পাথরটিকে মক্কার কাবা (450 কিলো মিটার দুরে) থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তবে দুই পবিত্র মসজিদের প্রহরীদের পক্ষে আরও কঠিন হয় তাদের গল্পকে খণ্ডন করতে যেহেতু মদিনার লোকদের কালো পাথরটিকে দেখানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে যা বহু দুরে রয়েছে I
এটির সম্পর্কে বিরোধের সাথে কোনো পবিত্র বস্তুর ঘনিষ্ঠতা পরীক্ষা করা নিকটবর্তী হওয়ার ফলে এটিকে খণ্ডন করা বা এর সম্বন্ধে দাবিকে যাচাই করা সহজ করে তোলে I
যিহূদি নেতারা পুনরুত্থানের বার্তাটির বিরোধিতা করেছিলেন একটি দেহ দিয়ে এটির খণ্ডন করেন নি
এই নীতিটি যিরূশালেমে যুদাস/ঈসার দেহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য I যে সমাধিটিতে যুদাসের আপাত দেহটি (ঈসার মতন দেখতে) রাখা ছিল তা মন্দির থেকে মাত্র কয়েক মিটার দুরে ছিল যেখানে ঈসা আল মসীহর শিষ্যরা ভিড়কে উচ্চৈস্বরে সম্বোধন করছিল যে নবী মৃত থেকে উত্থাপিত হয়েছেন I যিহূদি নেতাদের পক্ষে শুধুমাত্র দেহটিকে (ঈসার মতন দেখতে) সমাধির মধ্যে দেখিয়ে তাদের পুনরুত্থানের বার্তাকে অযোগ্য প্রমানিত করা সহজ ছিল I এটি একটি ঘটনা যে পুনরুত্থানের বার্তা (যেটিকে তখনও সমাধিতে থাকা একটি দেহের সাহায্যে খণ্ডন করা যায়) সমাধির কাছেই আরম্ভ হয়েছিল যেখানে প্রত্যেকের দ্বারা স্বাক্ষ্যপ্রমাণকে দেখান যেতে পারত I যেহেতু যিহূদি নেতারা একটি দেহ দেখিয়ে তাদের বার্তাকে খণ্ডন করেনি সেইহেতু সেখানে দেখানোর জন্য কোনো দেহ ছিল না I
যিরূশালেমে পুনরুত্থানের বার্তাকে কয়েক সহস্র বিশ্বাস করেছিল
এই সময়ে যিরূশালেমে ঈসা আল মসীহর শারীরিক পুনরুত্থানের বিশ্বাসে কয়েক সহস্র পরিবর্তিত হয়েছিল I আপনি যদি ভিড়ের মধ্যে একজন হতেন পিতরকে শুনতেন, আশ্চর্য বোধ করছি তার বার্তা যদি সত্য হত, তবে আপনি কি অন্তত মধ্যাহ্নভোজের একটি বিরতি নিয়ে সমাধিতে গিয়ে নিজে একবার দেখে আসতেন না যে সেখানে তখনও কোনো দেহ ছিল কিনা? যুদাসের দেহ (নবী ঈসা আল মসীহর মতন দেখতে) যদি সমাধির মধ্যে তখনও থাকত তবে প্রেরিতদের বার্তাকে কেউ বিশ্বাস করত না I তবে ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে যে তারা যিরূশালেমে আরম্ভ করে কয়েক সহস্র অনুগামীদের লাভ করল I সেটি সম্ভব হয়ে থাকবে নবীর মতন দেখতে একটি দেহের সাহায্যে যা তখনও যিরূশালেমের চারিপাশে ছিল I যুদাসের দেহ সমাধিতে থাকা অবাস্তবতার দিকে নিয়ে যায় I এর কোনো অর্থ হয় না I
যুদাসের দেহ তত্ব খালি সমাধির ব্যখ্যা করতে পারে না I
যুদাসের এই তত্বের সমস্যা হ’ল ঈসা আল মসীহর ন্যায় চেহারায় রূপান্তরিত হওয়া এবং পরে ক্রুশবিদ্ধ করা এবং তার স্থানে সমাধি দেওয়া, যেটি একটি অধিকৃত সমাধি দিয়ে শেষ হয় I তবে খালি সমাধি শিষ্যদের পক্ষে একমাত্র ব্যাখ্যায়, মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে পেন্টেকোষ্টে, নবীর পুনরুত্থানের উপরে ভিত্তিশীল একটি আন্দোলন আরম্ভ করতে সক্ষম হয় সেই একই নগরে যেখানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল I Paragraph
সেখানে কেবল দুটিমাত্র বিকল্প ছিল, এক নবীর মতন দেখতে যুদাসের দেহের সাহায্যে যা সমাধিতে রয়ে গেছে, আর একটি খালি সমাধির সাথে ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থান I যেহেতু সমাধিতে থাকা দেহ অবাস্তবতার দিকে নিয়ে যায়, তাহলে ঈসা আল মসীহ অবশ্যই রোমীয়দের হাতে মারা গিয়ে থাকবে এবং সমাধি থেকে পুনরুত্থিত হয়ে থাকবেন যেমন পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, তার জীবনের উপহার আমাদেরকে দিয়েছেন I
সুরা আল-বালাদ (সুরা 90 – নগর)
একটি নগর ব্যাপী স্বাক্ষ্যকে উল্লেখ করে এবং সুরা আন-নছর (সুরা 110 – স্বর্গীয়
সমর্থন) লোকেদের ভিড়ের কল্পনা করে যা ঈশ্বরের প্রকৃত এক আরাধনায় আসে I
1 আমি এই নগরীর শপথ করি 2 এবং এই নগরীতে আপনার উপর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।
সুরা আল-বালাদ 90:1-2
1 যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় 2 এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, 3 তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
সুরা আন-নছর 110:1:3
ঈসা আল মসীহর
পিবিইউএইচ পুনরুত্থানের ঠিক 50 দিন পরে সুরা আল-বালাদ এবং সুরা আন-নছর এর মধ্যে
আটক দর্শন সত্য হ’ল I নগরটি ছিল যিরূশালেম, এবং ঈসা আল মসীহর শিষ্যরা স্বাধীন লোক
ছিল যারা সেই নগরের প্রত্যক্ষ্যদর্শী ছিল, তবে এটি সদাপ্রভুর আত্মা ছিল লোকেদের
ভিড়ের বিরুদ্ধে সেই নগরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল যা উৎসব, প্রশংসা এবং ক্ষমার উৎপন্ন করল I
সেই দিনটি আজ আমাদের দ্বারাও অভিজ্ঞতা লাভ
করতে পারে, যা আমরা এই অনন্য দিনের ইতিহাসকে বুঝতে পেরে আমরা শিখি I
19 তাই তোমরা যাও, তোমরা গিয়ে সকল জাতির মানুষকে আমার শিষ্য কর৷ পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার নামে বাপ্তিস্ম দাও৷ 20 আমি তোমাদের য়েসব আদেশ দিয়েছি, সেসব তাদের পালন করতে শেখাও আর দেখ যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন আমি সর্বদাইতোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি৷’
মথি 28:19-20
তিনি তাদের সঙ্গে সর্বদা থাকতে
প্রতিশ্রুতি দিলেন, তবুও তিনি তাঁর স্বর্গে আরোহণের সময় তিনি তাদের ছেড়ে দিলেন I
তাঁর আরোহণের পরে কিভাবে তিনি এখনও তাদের (এবং আমাদের সঙ্গেও) সঙ্গে থাকতে পারেন
I
একটু পরে যা ঘটল তার মধ্যে উত্তর আসে I তাঁর গ্রেফতারের ঠিক পূর্বে তিনি সহায়কের আগমনের সম্বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিলেন I তাঁর পুনরুত্থানের 50 দিন পরে (এবং তাঁর আরোহণের 10 দিন পরে) এই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়েছিল I দিনটিকে পেন্টেকোষ্টের দিন বা পেন্টেকোষ্ট রবিবার বলা হয় I একটি উল্লেখযোগ্য দিন হিসাবে এটিকে উদযাপন করা হয়, তবে সেই দিন যা ঘটেছিল কেবল তাই নয় বরং কখন এবং কেন ঘটেছিল তা আল্লাহর চিহ্নকে প্রকাশ করে, এবং আপনার জন্য একটি শক্তিশালী বরদান I
পেন্টেকোষ্টে
কি ঘটেছিল
সম্পূর্ণ ঘটনাগুলোকে বাইবেলের প্রেরিতের কার্যের অধ্যায় 2 এর মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে I সেই দিন, ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ প্রথম অনুগামীদের উপরে অবতরণ করেছিল এবং তারা উচ্চৈস্বরে পৃথিবীর চারিদিকের ভাষায় কথা বলতে আরম্ভ করল I এটি এমন ধরণের একটি উত্তেজনা সৃষ্টি করল যে যিরূশালেমে থাকাকালীন কয়েক হাজার লোক কি ঘটছে দেখতে সেই সময়ে বেরিয়ে এল I জমা হওয়া ভিড়ের সামনে, পিতর প্রথম সুসমাচারের বার্তা বলল এবং ‘সেই দিন তাদের সংখ্যার সাথে তিন হাজার যুক্ত হ’ল’ (প্রেরিতের কার্য 2:41) I সুসমাচার অনুসরণকারীদের সংখ্যা সেই পেন্টেকোষ্টের রবিবারের দিন থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে I
পেন্টেকোষ্টের সারাংশ সম্পূর্ণ
নয় I কারণ, নবীর ঠিক অন্যান্য ঘটনাগুলোর মতন, পেন্টেকোষ্ট সেই একই দিনে
একটি উৎসব রূপে ঘটেছিল যা নবী মুসার
পিবিইউএইচ সময়ে তাওরাতের সঙ্গে ঘটেছিল I
রবিবার ‘প্রথম ফলের’ ঠিক 50
দিন পরে তাওরাত যিহূদিদের পেন্টেকোষ্ট (50 এর জন্য ‘পেন্টে’) উদযাপন করার
প্রয়োজন করেছিল I এটিকে প্রথমে সপ্তাহের পর্ব বলা হত যেহেতু এটিকে সাত
সপ্তাহের দ্বারা গণনা করা হয় I 1500 বছর ধরে যিহূদিরা ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ সময়
পর্যন্ত সপ্তাহের পর্ব পালন করে আসছিল I কারণ সেখানে পিতরের বার্তা শুনতে সমস্ত
পৃথিবী থেকে লোকেরা সেই দিন ছিল যে দিন পবিত্র আত্মা যিরূশালেমে অবতরণ করেছিল
হুবহু এই কারণেই তারা সেখানে তাওরাতের পেন্টেকোষ্ট উদযাপন করতে উপস্থিত ছিল I আজকে যিহূদিরা পেন্টেকোষ্ট উদযাপন করতে থাকে তবে
এটিকে সাভুয়োত বলে ডাকে I
আমরা তাওরাতের মধ্যে পড়ি
কিভাবে সপ্তাহের পর্ব কে উদযাপন করা হত:
16 সপ্তম সপ্তাহ পরে রবিবারে (অর্থাত্ 50 দিন পরে) তোমরা প্রভুর কাছে একটি নতুন শস্য নৈবেদ্য আনবে| 17 ঐ দিনে তোমাদের বাড়ী থেকে দুুকরো রুটি নিয়ে আসবে| ঐ রুটি দোলনীয় নৈবেদ্যর জন্য নির্দিষ্ট হবে| ঐ রুটি তৈরী করার জন্য খামির এবং 16 কাপ ময়দা ব্যবহার কর| এটাই হবে তোমাদের প্রথম শস্য থেকে প্রভুর কাছে দেওয়া উপহার|
লেবীয় 23:16-17
পেন্টেকোষ্টের
যথার্ততা: আল্লাহর থেকে চিহ্ন
পেন্টেকোষ্টের একটি নির্দিষ্ট সময় আছে যখন পবিত্র আত্মা লোকেদের উপরে অবতরণ করেছিল যেহেতু এটি তাওরাতের সপ্তাহ পর্বের (বা পেন্টেকোষ্ট) মতন সেই একটি দিনে ঘটল I নিস্তারপর্বের উৎসবে ঈসা আল মসীহর ক্রুশারোপন ঘটা, তাঁর পুনরুত্থান প্রথম ফসল উৎসবে ঘটা, এবংসপ্তাহের পর্বে পবিত্র আত্মার এই আগমন, আমাদের কাছে আল্লাহর থেকে স্পষ্ট চিহ্ন I বছরে এত দিনগুলো থাকলেও কেন ক্রুশারোপন, পুনরুত্থান, এবং তার পরে পবিত্র আত্মার আগমন তাওরাতের তিনটি বসন্ত উৎসবগুলোর প্রত্যেকটি দিনে যথাযথভাবে ঘটে, এটি কি তার পরিকল্পনা আমাদের দেখান ছাড়া নয়?
পবিত্র আত্মার আগমনের
চিহ্নগুলোকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে, পিতর নবী যোয়েলের একটি ভবিষ্যদ্বাণীর দিকে
নির্দেশ করেন যা পূর্বাভাষ দেয় যে একদিন ঈশ্বরের
আত্মা সকল লোকেদের উপরে ঢালা হবে I ওই পেন্টেকোষ্টের দিনের ঘটনাগুলো
ভবিষ্যদ্বাণীটিকে পূর্ণ করল I
আমরা দেখেছি কিভাবে নবীরা আমাদের কাছে প্রকাশ করেছিলেন আমাদের আত্মিক তৃষ্ণার প্রকৃতিকে যা আমাদেরকে পাপের দিকে নিয়ে যায় I নবীরা পূর্বাভাষও দিয়েছিলেন এক নতুন নিয়মের আগমন সম্বন্ধে যেখানে ব্যবস্থাকে আমাদের হৃদয়ের অভ্যন্তরে লেখা হবে, না কেবল পাথরের ফলকে বা বইতে I কেবলমাত্র আমাদের হৃদয়ে লেখার সাহায্যেই আমরা ব্যবস্থাকে অনুসরণ করতে শক্তি এবং সামর্থ্য পাব I বিশ্বাসীদের মধ্যে বাস করতে ওই পেন্টেকোষ্টের দিনে পবিত্র আত্মার আগমন এই প্রতিশ্রুতির পরিপূর্ণতা I
সুসমাচার যে শুভ সংবাদ তার একটি কারণ হ’ল যে এটি উত্তম জীবন যাপন করতে শক্তি জোগায় I আল্লাহ এবং লোকেদের মধ্যে মিলন হ’ল এখন একটি জীবন I ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার নিবাসের মাধ্যমে এই মিলন অনুষ্ঠিত হয় – যেটি প্রেরিতের কার্যের 2 -এর পেন্টেকোষ্টের রবিবার দিনে শুরু হয়েছিল I এটি এমন শুভ সংবাদ যে জীবনকে এক ভিন্ন স্তরে ব্যতীত করা যেতে পারে, তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কের মধ্যে I পবিত্র আত্মা আমাদেরকে এক প্রকৃত আন্তরিক নির্দেশ দেয় – ঈশ্বরের থেকে নির্দেশ I বাইবেল এটিকে এইভাবে ব্যাখ্যা করে:
13 খ্রীষ্টেতে তোমরা তোমাদের পরিত্রাণের জন্য সেই সুসমাচারের সত্য বার্তা শুনেছিলে এবং তোমরা খ্রীষ্টে বিশ্বাস করেছিলে; আর তোমাদের পবিত্র আত্মা দান করে ঈশ্বর তোমাদের ওপর তাঁর নিজের মালিকানার ছাপ দিয়েছেন৷ 14 ঈশ্বর তাঁর নিজস্ব লোকদের যা কিছু দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই পবিত্র আত্মা হল তার জামিনস্বরূপ, আর যাঁরা ঈশ্বরের লোক তারা এর মাধ্যমে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে৷ এ সবকিছুর একমাত্র লক্ষ্য হল তাঁর মহিমায় প্রশংসা য়োগ করা৷
ইফীষিয় 1:13-14
11 ঈশ্বর যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন, আর ঈশ্বরের আত্মা যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন তবে তিনি তোমাদের মরণশীল দেহকে জীবনময় করবেন৷ ঈশ্বরই যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত করেছেন, তাঁর য়ে আত্মা তোমাদের মধ্যে আছে তিনি সেই আত্মার দ্বারা তোমাদের দেহকে সঞ্জীবিত করবেন৷
রোমীয় 8:11
23 কেবল গোটা বিশ্ব নয়, আমরাও যাঁরা পবিত্র আত্মাকে উদ্ধারের জন্য প্রথম ফলরূপে পেয়েছি, আমাদের দেহের মুক্তিলাভের প্রতীক্ষায় অন্তরে আর্তনাদ করছি৷
রোমীয় 8:23
ঈশ্বরের অন্তর্নিহিত আত্মা
একটি দ্বিতীয় প্রথম ফল, কারণ আত্মা একটি পূর্বস্বাদ – একটি গ্যারান্টি – ‘ঈশ্বরের
সন্তানে’ আমাদের রুপান্তরের সম্পূর্ণতা I
সুসমাচার এক অতুন জীবন প্রদান করে ব্যবস্থাকে পালন করতে চেষ্টা করা-কিন্তু ব্যর্থ হওয়ার দ্বারা নয় I নাতো সম্পত্তি, মর্যাদা, সম্পদ, এবং পৃথিবীতে অন্য সমস্ত অতিবাহিত আনন্দের মাধ্যমে এটি একটি প্রাচুর্যময় জীবন, যেটিকে সুলেমান এত খালি দেখতে পেয়েছিল I পরিবর্তে, ইঞ্জিল আমাদের হৃদয়ের মধ্যে ঈশ্বরের অন্তর্নিহিত আত্মার দ্বারা এক নতুন এবং প্রাচুর্যময় জীবন প্রদান করে I আল্লাহ যদি অন্তরে থাকতে চান, আমাদের ক্ষমতা এবং নির্দেশ দিতে – সেটিকে শুভ সংবাদ হতেই হবে! তাওরাতের পেন্টেকোষ্ট খামিরের সাথে সেঁকা সুক্ষ রুটির উদযাপনের সাথে এই আসন্ন প্রাচুর্যময় জীবন চিত্রিত হয়েছে I পুরনো এবং নতুন পেন্টেকোষ্টের মধ্যে সূক্ষতা একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে আমাদের প্রাচুর্যময় জীবন পাওয়ার জন্য এটি আল্লাহর পরিকল্পনা I
আল কিতাব (বাইবেল) আক্ষরিকভাবে
‘বইকে’ বোঝায় I বাইবেল ইতিহাসের প্রথম রচনা যাকে বই আকারে স্থাপন করা হয়েছে
যা আমরা আজ দেখি I বাইবেল একট বিশ্ব স্বীকৃত বই যা এর পরিধির মধ্যে সমস্ত লোক এবং
পৃথিবীর জাতিদের অন্তর্ভুক্ত করে I এই হিসাবে, এই মহান বইটিকে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত
ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে I অনেক জাতিগণের উপরে বাইবেলের গভীর প্রভাব রয়েছে, এবং
গ্রহের সর্বাধিক পঠিত বই I তবে এই বইটি একটি জটিল গল্প সহ আবারও এক দীর্ঘ বই I তাই
আমাদের মধ্যে অনেকে এই বইয়ের বিষয়টিকে জানে না বা বোঝে না I এই নিবন্ধটি এই
ক্লাসিক বইয়ের গল্পকে ব্যাখ্যা করতে বাইবেলের বই থেকে একটি বাক্য গ্রহণ করবে – ঈসা
আল মসীহর (পিবিইউএইচ) কার্য I
আমাদের ভবিষ্যতের একটি প্রকৃত সমস্যার সমাধান করতে বাইবেলকে দেওয়া হয়েছিল I এই
সমস্যাটিকে সুরা আল-মুজাদালাহতে (সুরা 58 – আবেদনকারী মহিলা) ব্যাখ্যা করা হয়েছে
যা আসন্ন বিচারের দিনের দিকে দেখে
6 সেদিন স্মরণীয়; যেদিন আল্লাহ তাদের সকলকে পুনরুত্থিত করবেন, অতঃপর তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যা তারা করত। আল্লাহ তার হিসাব রেখেছেন, আর তারা তা ভুলে গেছে। আল্লাহর সামনে উপস্থিত আছে সব বস্তুই। 7 আপনি কি ভেবে দেখেননি যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, আল্লাহ তা জানেন। তিন ব্যক্তির এমন কোন পরামর্শ হয় না যাতে তিনি চতুর্থ না থাকেন এবং পাঁচ জনেরও হয় না, যাতে তিনি ষষ্ঠ না থাকেন তারা এতদপেক্ষা কম হোক বা বেশী হোক তারা যেখানেই থাকুক না কেন তিনি তাদের সাথে আছেন, তারা যা করে, তিনি কেয়ামতের দিন তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
সুরা আল-মুজাদালাহ 58:6-7
সুরা আল-মুজাদালাহ আমাদের বলে যে এমন কোনো গোপনতা নেই
যা আল্লাহ আমাদের সম্পর্কে জানেন না, এবং তিনি আমাদের বিচার করতে তার জ্ঞান
ব্যবহার করবেন I
সুরা আল-কেয়ামাহ (সুরা 75 –
পুনরুত্থান) এই দিনটিকে ‘পুনরুত্থান দিন’ বলে ডাকে এবং এছাড়াও সাবধান করে কিভাবে
মানুষকে তার জীবনের জন্য জবাব দিতে সামনে নিয়ে আসা হবে I
10 সে দিন মানুষ বলবেঃ পলায়নের জায়গা কোথায় ? 11 না কোথাও আশ্রয়স্থল নেই। 12 আপনার পালনকর্তার কাছেই সেদিন ঠাঁই হবে। 13 সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে যা সামনে প্রেরণ করেছে ও পশ্চাতে ছেড়ে দিয়েছে। 14 বরং মানুষ নিজেই তার নিজের সম্পর্কে চক্ষুমান। 15 যদিও সে তার অজুহাত পেশ করতে চাইবে।
সুরা আল-কেয়ামাহ 75:10-15
তাহলে আমরা কি করব আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য এবং
কাজকর্মগুলোর জন্য আমরা যদি লজ্জিত হই? বাইবেলের বার্তা তাদের জন্য যারা এই
উদ্বিগ্নতা বহন করে I
বইটির বার্তা
আমরা নবী ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ শেষ সপ্তাহকে পরীক্ষা করলাম I ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ করে যে তিনি ষষ্ঠ দিনে – শুভ শুক্রবারে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন, এবং তাঁকে পরের রবিবারে আবার জীবনে ওঠানো হয়েছিল I এটিকে তাওরাত এবং গীতসংহিতা ও নবীদের উভয়ের মধ্যে পূর্বাভাষ করা গিয়েছিল I কিন্তু কেন এটি ঘটল এবং আজকে আপনার এবং আমার জন্য এটির অর্থ কি? এখানে আমরা বুঝতে চাই ঈসা আল মসীহর দ্বারা আমাদেরকে কি দেওয়া হয়েছে এবং আমরা কিভাবে করুণা এবং ক্ষমা পেতে পারি I এটি আমাদেরকে এমনকি ইব্রাহিমের মুক্তিপণকে বুঝতে সাহায্য করবে যাকে সুরা আস-সাফফাত (সুরা 37), সুরা আল ফাতিয়া (সুরা 1 – উদ্ঘাটক) এর মধ্যে বর্ণিত করা হয়েছে, যখন এটি আল্লাহকে ‘আমাদেরকে সরল পথ দেখাতে’ বলে পাশাপাশি উপলব্ধি দিতে কেন ‘মুসলিমের’ অর্থ ‘একজন যে সমর্পণ করে’, এবং কেন ধর্মকর্ম পালন যেমন বুদু, যাকাত এবং হালাল খাওয়া ভাল তবে বিচারের দিনের জন্য নিজেদের মধ্যে অপর্যাপ্ত ভাল উদ্দেশ্য I
খারাপ সংবাদ – আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের সম্বন্ধে নবীরা কি বলে
তাওরাত শিক্ষা দেয় যে যখন আল্লাহ মানবজাতিকে সৃষ্টি করলেন তিনি
27 তাই ঈশ্বর নিজের মতোই মানুষ সৃষ্টি করলেন| মানুষ হল তাঁর ছাঁচে গড়া জীব| ঈশ্বর তাদের পুরুষ ও স্ত্রীরূপে সৃষ্টি করলেন|
আদিপুস্তক 1:27
“প্রতিমূর্তি” শারীরিক অর্থে বোঝায় না, তবে বরং সেই অর্থে যাতে আমাদেরকে তৈরী করা হয় তাঁকে প্রতিফলিত করতে এমনভাবে যাতে আমরা আবেগপূর্ণভাবে, মানসিকভাবে, সামাজিকভাবে, এবং আত্মিকভাবে কার্যকলাপ করি I তাঁর সাথে সম্পর্কের মধ্যে হতে আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছিল I আমরা এই সম্পর্ককে নিচের স্লাইডের মধ্যে দেখতে পারি I সৃষ্টিকর্তাকে, অসীম শাসক হিসাবে, উপরে রাখা হয়েছে যেখানে পুরুষ এবং স্ত্রীকে স্লাইডের নিচে রাখা হয়েছে যেহেতু আমরা সীমিত প্রাণী I সংযোগকারী তীরের দ্বারা সম্পর্ককে দেখানো হয়েছে I
তাঁর প্রতিমূর্তিতে, লোকেদেরকে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে হতে তৈরী করা হয়েছিল
আল্লাহ চরিত্রের দিক দিয়ে সিদ্ধ – তিনি পবিত্র I এই কারণে যাবুর বলে
4 হে ঈশ্বর, মন্দ লোকরা আপনার কাছে থাকুক, এ আপনি চান না| দুষ্ট লোকরা আপনার উপাসনা করে না| 5 বোকারা আপনার কাছে আসতে পারে না| লোকদের মন্দ কাজ করাকে আপনি ঘৃণা করেন|
গীতসংহিতা 5:4-5
আদম অবাধ্যতার একটি কার্য করেছিল – কেবলমাত্র একটি – আর ঈশ্বরের পবিত্রতায় তার বিচারের প্রয়োজন হয়েছিল I তাওরাত এবং কোরআন লিপিবদ্ধ করে যে আল্লাহ তাকে মরণশীল করলেন এবং তাঁর উপস্থিতি থেকে বিতাড়িত করলেন I সেই একই পরিস্থিতি আমাদের জন্য বিদ্যমান I যখন আমরা পাপ করি বা অমান্য করি তখন আমরা যে কোনো উপায়ে আল্লাহকে অসম্মান করি যেহেতু আমরা প্রতিমূর্তি অনুসারে কাজ করি না যাতে আমাদের তৈরী করা হয়েছে I আমাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় I এর ফলে পাথরের মতন শক্ত এক বাধার সৃষ্টি হয় যা আমাদের এবং সৃষ্টিকর্তার মধ্যে আসে I
আমাদের এবং পবিত্র ঈশ্বরের মধ্যে আমাদের পাপ এক শক্ত বাধা সৃষ্টি করে
ধর্মীয় যোগ্যতার দ্বারা পাপের বাধাকে বিদ্ধ করা
আমাদের মধ্যে অনেকে আমাদের এবং আল্লাহর মধ্যে এই বাধাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমূহ বা কার্যাবলীর দ্বারা বিদ্ধ করতে চেষ্টা করে যা বাধাকে ভাঙতে যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করে I প্রার্থনা, উপবাস, হাজ্জ, মসজিদে যাওয়া, যাকাত, ভিক্ষা দান, সেই পথগুলো যার দ্বারা আমরা বাধাকে বিদ্ধ করতে যোগ্যতা অর্জন করতে চাই যাকে পরে চিত্রিত করা হয়েছে I আশা হ’ল যে ধর্মীয় যোগ্যতা কিছু পাপকে বাতিল করবে I আমাদের অনেক কাজগুলো যদি যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করে আমরা আমাদের পাপগুলোকে বাতিল করতে এবং করুণা ও ক্ষমা পেতে আশা করি I
ভাল কার্য সমুহ করার দ্বারা আল্লাহর সামনে যোগ্যতা অর্জন করতে এই বাধাকে বিদ্ধ করতে আমরা চেষ্টা করি
কিন্তু পাপ বাতিল করতে কতটা যোগ্যতা আমাদের প্রয়োজন? আমাদের কি আশ্বাস যে আমাদের যোগ্যতাপূর্ণ কাজগুলো পাপ বাতিল করতে এবং বাধাকে বিদ্ধ করতে পর্যাপ্ত হবে যা আমাদের এবং আমাদের সৃষ্টিকর্তার মধ্যে এসেছে? আমরা কি জানি যে আমাদের ভাল উদ্দেশ্যগুলো পর্যাপ্ত হবে? আমাদের কাছে কোন আশ্বাস নেই আর তাই আমরা যতটা সম্ভব পারি চেষ্টা করি করতে এবং আশা করি বিচারের দিনে এটি পর্যাপ্ত হবে I
কার্যকলাপ সমূহের দ্বারা যোগ্যতা অর্জন করার পাশাপাশি, ভালো উদ্দেশ্যের জন্য প্রচেষ্টায়, আমাদের মধ্যে অনেকে পরিষ্কার থাকতে কঠিন পরিশ্রম করে I প্রার্থনার পূর্বে আমরা অধ্যবসায়ের সাথে বুদু অনুষ্ঠিত করি I অশুচিকারী লোকেদের থেকে, বস্তুগুলোর থেকে এবং খাদ্যের থেকে দুরে থাকতে আমরা কঠিন পরিশ্রম করি I কিন্তু নবী যিশাইয় প্রকাশ করলেন যে:
6 আমরা সবাই পাপের জন্য নোংরা হয়ে উঠেছি| এমন কি আমাদের ভাল কাজও অশুদ্ধ| আমাদের ভালো কাজগুলো রক্তে রঞ্জিত পোশাকের মত| আমরা সবাই মরা পাতার মত| আমাদের পাপ আমাদের বাতাসের মতো বয়ে নিয়ে চলেছে|
যিশাইয় 64:6
নবী আমাদের বলেন যে এমনকি যদি আমরা সমস্তকিছুকে এড়িয়ে চলি যা আমাদের অশুচি করে, আমাদের পাপ সমূহ আমাদের ‘ধার্মিক কার্যকলাপ’ আমাদের পরিষ্কার করতে ‘নোংরা নেকড়ার’ মতন অকেজো করে তুলবে I ওটি খারাপ সংবাদ I তবে এটি আরও খারাপ হয় I
ইঞ্জিল এই সত্যটিকে নিম্নলিখিত উপায়ে সংক্ষিপ্তসার করে:
কারণ পাপের বেতন মৃত্যু…
রোমীয় 6:23
“মৃত্যু” আক্ষরিক অর্থে ‘বিচ্ছিনতা’ I আমাদের আত্মা যখন আমাদের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয় আমরা শারীরিকভাবে মারা যাই I অনুরূপভাবে আমরা এমনকি এখন ঈশ্বরের থেকে আত্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং মৃত হয়েছি এবং তাঁর দৃষ্টিতে অশুচি I
এটি পাপের মূল্যের জন্য যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের আশার সমস্যাকে প্রকাশ করে I সমস্যা হল যে আমাদের কঠিন প্রচেষ্টা সমূহ, যোগ্যতাগুলো, ভালো উদ্দেশ্য সমূহ, এবং কাজগুলো, যদিও ভুল নয়, তবুও অপর্যাপ্ত কারণ আমাদের পাপের জন্য প্রতিদান (‘বেতন’) হ’ল ‘মৃত্যু’ I কেবলমাত্র মৃত্যুই এই প্রাচীরকে বিদ্ধ করে কারণ এটি ঈশ্বরের ন্যায়কে সন্তুষ্ট করে I হালাল খাদ্য খাওয়ার দ্বারা যোগ্যতা অর্জনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাগুলো ক্যান্সার (যার পরিণাম মৃত্যু) নিরাময়ের জন্য চেষ্টা করার মতন I হালাল খাদ্য খারাপ নয়, ভাল – এবং একজনের হালাল খাওয়া ভাল – কিন্তু এটি ক্যান্সার নিরাময় করবে না I ক্যান্সারের জন্য আপনার এক সম্পূর্ণ ভিন্ন চিকিৎসার প্রয়োজন যা ক্যান্সারের কোশিকাগুলোকে মারে I
তাই এমনকি আমাদের প্রচেষ্টা এবং ভাল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে যা ধর্মীয় যোগ্যতার জন্ম দেয় আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে আসলে মৃত এবং একটি মৃত দেহের মতন অশুচি I
আমাদের পাপের পরিণাম মৃত্যু – আল্লাহর সামনে আমরা অশুচি মৃত দেহের মতন
ইব্রাহিমকে সরল পথ দেখানো হয়েছিল I তিনি শুধুমাত্র ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির উপরে ভরসা করেছিলেন এবং ঈশ্বর পাপের জন্য মৃত্যুর মূল্যের যোগান দিয়েছিলেন
কোরআন এটির সম্বন্ধে সুরা আস-সাফফাতে (সুরা 37 – তারা যারা মাত্রা স্থাপন করে) বলে যেখানে এটি বলে:
107 আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু। 108 আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে, 109 ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। সুরা আস-
সাফফাত:107-109
আল্লাহ ‘মুক্তিপণ (মূল্য প্রদান করলেন) দিলেন’ আর ইব্রাহিম আশীর্বাদ, করুণা এবং ক্ষমা পেলেন যা ‘শান্তিকে’ অন্তর্ভুক্ত করেছিল I
শুভ সংবাদ: আমাদের স্বপক্ষে ঈসা আল মসীহর কাজ
সেখানে আমাদের সরল পথ দেখাতে সুরা আল-ফাতিয়ার (সুরা 1 – উদ্ঘাটন) অনুরোধ অনুসারে নবীর উদাহরণ
4যিনি বিচার দিনের মালিক। 5 আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। 6 আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, 7 সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।সুরা আল-
ফাতিহা 1:4-7
ইঞ্জিল ব্যাখ্যা করে যে এটি একটি চিত্র যা দেখায় আল্লাহ কিভাবে পাপের জন্য মূল্য প্রদান করেন এবং মৃত্যু ও অশুচিতার জন্য একটি সরল কিন্তু শক্তিশালী উপায়ে নিরাময় যোগান দেন I
23 কারণ পাপ য়ে মজুরি দেয়, সেই মজুরি হল মৃত্যু৷ কিন্তু ঈশ্বর অনুগ্রহ করে যা দান করেন সেই দান হল আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত
জীবন৷ রোমীয় 6:23
এতক্ষণ পর্যন্ত সব ‘খারাপ সংবাদ’ ছিল I তবে ‘ইঞ্জিল’ আক্ষরিক অর্থে ‘শুভ সংবাদ’ বোঝায় এবং সেটিকে ঘোষণা করার দ্বারা আমাদের এবং ঈশ্বরের মধ্যে এই বাধাকে বিদ্ধ করতে ঈসার মৃত্যু পর্যাপ্ত হয় আমরা দেখতে পারি কেন এটি শুভ সংবাদ যেমন দেখানো হয়েছে I
ইব্রাহিমকে সরল পথ দেখানো হয়েছিল I তিনি শুধুমাত্র ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির উপরে ভরসা করেছিলেন এবং ঈশ্বর পাপের জন্য মৃত্যুর মূল্যের যোগান দিয়েছিলেন
নবী ঈসা আল মসীহ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং পরে প্রথম ফল হিসাবে মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন যাতে করে তিনি আমাদেরকে এখন নতুন জীবন দান করেছেন I মৃত্যুর পাপের বন্দী হয়ে থাকার আমাদের আর কোনো দরকার নেই I
ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থান ‘প্রথম ফল’ ছিল I আমরা মৃত্যু থেকে মুক্ত হতে পারি এবং সেই একই পুনরুত্থানের জীবন পেতে পারি
তাঁর কোরবানী এবং পুনরুত্থানের মধ্যে ঈসা আল মসীহ ঈশ্বরের থেকে আমাদের বিচ্ছিন্নকারী পাপের বাধার মধ্যিখান দিয়ে দ্বারে পরিণত হলেন I এই জন্যই নবী বললেন:
9 আমিই দরজা৷ যদি কেউ আমার মধ্য দিয়ে ঢোকে তবে সে রক্ষা পাবে৷ সে ভেতরে আসবে এবং বাইরে গেলে তার চারণভূমি পাবে৷ 10 চোর কেবল চুরি, খুন ও ধ্বংস করতে আসে৷ আমি এসেছি, যাতে লোকেরা জীবন লাভ করে, আর য়েন তা পরিপূর্ণ ভাবেই লাভ করে৷’
যোহন 10:9-10
এইরূপে ঈসা আল মসীহ দ্বার হলেন যা পাপ এবং মৃত্যুর বাধাকে ভগ্ন করে
এই দ্বারের কারণে, আমরা এখন আমাদের পাপ বাধা হওয়ার পূর্বে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে পুনরায় অর্জন করতে পারি এবং করুণা এবং পাপের ক্ষমা পেতে আশ্বস্ত হতে পারি I
এক উন্মুক্ত দ্বারের সাহায্যে আমরা এখন আমাদের সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুনস্থাপিত হয়েছি
যেমন ইঞ্জিল ঘোষণা করে:
5 কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন আর ঈশ্বরের ও মানুষের মধ্যে কেবল একমাত্র পথ আছে, যার মাধ্যমে মানুষ ঈশ্বরের কাছে পৌঁছতে পারে৷ সেই পথ যীশু খ্রীষ্ট, যিনি নিজেও একজন মানুষ ছিলেন৷ 6 সমস্ত লোকদের পাপমুক্ত করতে যীশু নিজেকে উত্সর্গ করেছিলেন৷ যীশুর এই কাজ সঠিক সময়ে প্রমাণ করল য়ে ঈশ্বর চান য়েন সব লোক উদ্ধার পায়৷ 1 তিমথি 2:5-6
আপনার কাছে ঈশ্বরের উপহার
নবী ‘সকল লোকেদের’ জন্য ‘নিজেকে দিয়েছিলেন’ I তাই এটি অবশ্যই আপনাকে তথা আমাকে অন্তর্ভুক্ত করে I তাঁর মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে তিনি একজন মধ্যস্থতাকারী হয়ে মূল্য প্রদান করেছেন এবং আমাদের জীবন প্রদান করেছেন I এই প্রদত্ত জীবনটি কিরকম?
23 কারণ পাপ য়ে মজুরি দেয়, সেই মজুরি হল মৃত্যু৷ কিন্তু ঈশ্বর অনুগ্রহ করে যা দান করেন সেই দান হল আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন৷
রোমীয় 6:23
লক্ষ্য করুন এটিকে কিভাবে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে I এটিকে দেওয়া হয়েছে এক … ‘উপহার’ হিসাবে I উপহার সম্পর্কে চিন্তা করুন I এতে কিছু এসে যায় না উপহারটি কি, যদি এটি প্রকৃতপক্ষে একটি উপহার হয় এটি এমনকিছু যার জন্য আপনি কাজ করেন না এবং যোগ্যতার দ্বারা অর্জন করেন না I যদি আপনি এটিকে অর্জন করতেন তবে উপহারটি আর একটি উপহার হত না – এটি একটি মজুরি হত! সেই একই ভাবে আপনি যোগ্য হতে বা ঈসা আল মসীহর কোরবানীকে অর্জন করতে পারেন না I এটিকে এক উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছে I এটি ততটাই সরল I
আর উপহারটি কি? এটি ‘অনন্ত জীবন’ I তার অর্থ যে পাপ আপনাকে এবং আমাকে মৃত্যুতে নিয়ে এসেছে তার মূল্য এখন চুকিয়ে দেওয়া হয়েছে I ঈশ্বর আপনাকে এবং আমাকে অধিক ভালবাসেন I এটি ততটাই শক্তিশালী I
অতএব অপনি এবং আমি কিভাবে অনন্ত জীবন পাব? আবার, উপহার সম্পর্কে চিন্তা করুন I কেউ যদি আপনাকে একটি উপহার দিতে চায় আপনি অবশ্যই এটিকে ‘গ্রহণ করবেন’ I যে কোনো সময় এক উপহার দিলে সেখানে কেবলমাত্র দুটি বিকল্প হয় I হয় উপহারটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয় (“না ধন্যবাদ আপনাকে”) বা এটিকে গ্রহণ করা হয় (“আপনার উপহারের অন্য ধন্যবাদ I আমি এটিকে গ্রহণ করব”) I অতএব এই উপহারটিকেও অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে I এটিকে কেবল মানসিকভাবে বিশ্বাস করতে, অধ্যয়ন করতে বা বুঝতে পারা যায় না I উপকার পেতে গেলে, যে কোনো উপহারকে আপনাকে অবশ্যই ‘গ্রহণ করতে হবে’ I
12 কিন্তু কিছু লোক তাঁকে গ্রহণ করল এবং তাঁকে বিশ্বাস করল৷ যাঁরা বিশ্বাস করল তাদের সকলকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দান করলেন৷ 13 ঈশ্বরের এই সন্তানরা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন শিশুর মতো জন্ম গ্রহণ করে নি৷ মা-বাবার দৈহিক কামনা-বাসনা অনুসারেও নয়, ঈশ্বরের কাছ থেকেই তাদের
এই জন্ম৷ যোহন 1:12-13
আসলে ইঞ্জিল ঈশ্বরের সম্পর্কে বলে যে
ঈশ্বর আমাদের উদ্ধারকর্তা, যিনি সকল লোকেদের চান উদ্ধার হতে …
1 তিমথি 2:3-4
তিনি একজন উদ্ধারকর্তা এবং তাঁর ইচ্ছা যে ‘সকল লোকেরা’ তাঁর উপহার গ্রহণ করুক এবং পাপ ও মৃত্যু থেকে রক্ষা পাক I এটি যদি তাঁর ইচ্ছা হয়, তবে তাঁর উপহার গ্রহণ করতে হলে শুধুমাত্র তাঁর ইচ্ছার প্রতি সমর্পণ করতে হবে – ‘মুসলিম’ শব্দটির বিশেষ অর্থ – একজন যে সমর্পণ করে I
কিভাবে আমরা এই উপহারটি পাই? ইঞ্জিল বলে যে
12 এক্ষেত্রে ইহুদী ও অইহুদীদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, একই প্রভু সকলের প্রভু৷ যত লোক তাঁকে ডাকে সেই সকলের ওপর তিনি প্রচুর আশীর্বাদ ঢেলে দেন৷
রোমীয় 10:12
লক্ষ্য করুন যে এই প্রতিশ্রুতি ‘প্রত্যেকের’ জন্য I যেহেতু তিনি মৃত্যু থেকে উঠলেন ঈসা আল মসীহ এমনকি এখনও জীবিত I অতএব আপনি যদি তাঁকে ডাকেন তিনি শুনবেন এবং তাঁর উপহার আপনাকে দেবেন I আপনি তাঁকে ডাকুন এবং তাঁকে বলুন I আপনি হয়ত কখনও এইরকম করেন নি I নিচে একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে I কোনো যাদু মন্ত্র নয় I এটি কোনো নির্দিষ্ট কথা নয় যা শক্তি দিতে পারে I এটি ইব্রাহিমের যেমন ছিল সেইরকম বিশ্বাস যাকে আমরা এই উপহারটি দেওয়ার জন্য ঈসা আল মসীহর উপরে রাখতে পারি I তাঁকে বিশ্বাস করার সাথে সাথে তিনি আমাদের কথা শুনবেন এবং উত্তর দেবেন I ইঞ্জিল শক্তিশালী, তবুও এত সহজও বটে I যদি আপনি এটিকে উপযোগী পান, এই নির্দেশনাকে অনুসরণ করতে স্বচ্ছন্দ অনুভব করুন I Quote
প্রিয় নবী এবং ঈসা আল মসীহ I আমি বুঝতে পেরেছি যে আমার পাপের কারণে আমি আমার সৃষ্টিকর্তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি I যদিও আমি কঠিনভাবে চেষ্টা করি, আমার প্রচেষ্টাগুলো এই বাধাকে বিদ্ধ করে না I তবে আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনার মৃত্যু আমার সমস্ত পাপ ধুতে এবং আমাকে শুদ্ধ করতে একটি কোরবানী ছিল I আমি জানি যে আপনি আপনার কোরবানীর পরে মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন তাই আমি বিশ্বাস করি যে আপনার কোরবানী পর্যাপ্ত ছিল এবং তাই আমি আপনার কাছে সমর্পণ করি I আমি আপনার কাছে যাচনা করি দয়া করে আমার পাপের থেকে শুদ্ধ করুন এবং আমার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মধ্যস্থতা করুন যাতে করে আমি অনন্ত জীবন পেতে পারি I আমার এই সমস্ত করার জন্য ঈসা আল মসীহ, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং এখন এমনকি আপনি আমার জীবনে ক্রমাগত পথ প্রদর্শন করতে থাকবেন যাতে আমি আপনাকে আমার প্রভু হিসাবে অনুসরণ করতে পারি I
সুরা আল-হাক্কক্কাহ (সুরা 69 – বাস্তবতা) বর্ণনা করে কীভাবে বিচারের দিনটি এক তুরীর বিফোটের সাথে উদঘাটিত হবে
13 যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে-একটি মাত্র ফুৎকার 14 এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে ও চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হবে,15 সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে। 16 সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে। 17 এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে। 18 সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না।
সুরা আল-হাক্কক্কাহ 69:13-18
সুরা কাফ
(সুরা 50) এছাড়াও একটি
দিনের বর্ণনা করে যখন আল্লাহর তূরী ফুঁকে যাবে আর আমাদের ডান ও বাম দিকের
তত্ত্বাবধায়ক দেবদূতরা আমাদের কাজ ও যোগ্যতার রেকর্ড প্রকাশ করবে I এই আয়াতগুলো
পড়ে:
16 আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী। 17 যখন দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমল গ্রহণ করে। 18 সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে। 19 মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে। 20 এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে এটা হবে ভয় প্রদর্শনের দিন। 21 প্রত্যেক ব্যক্তি আগমন করবে। তার সাথে থাকবে চালক ও কর্মের সাক্ষী। 22 তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ন। 23 তার সঙ্গী ফেরেশতা বলবেঃ আমার কাছে যে, আমলনামা ছিল, তা এই।
সুরা কাফ 50:16-23
আয়াত 20 বলে
যে তুরীর সাবধানবাণী ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে (কোরআনের প্রকাশনের আগে) I কখন
এটিকে দেওয়া হয়েছিল? এটিকে ঈসা আল মসীহর
(পিবিইউএইচ) দ্বারা দেওয়া হয়েছিল যখন তিনি ইঞ্জিলের মধ্যে ভবিষ্যদ্বাণী
করলেন যে পৃথিবীতে তাঁর প্রত্যার্বর্তন স্বর্গের তুরীর দ্বারা ঘোষিত হবে:
31 লাবন বলল, “মহাশয়, আপনাকে আমাদের আলযে স্বাগত জানাই| আপনার এখানে দাঁড়িয়ে থাকার দরকার নেই| আপনাদের বিশ্রামের জন্যে আমি সমস্ত বন্দোবস্ত করছি এবং আপনাদের উটগুলোর জন্যে আমাদের বাড়ীতে জায়গা আছে|”
মথি 24:31
এর পরে কি
ঘটে? সুরা কাফ বর্ণনা করে এক দেবদূত আমাদের ডান দিকে এবং বাম দিকে, আমাদের
কাজকর্মগুলো রেকর্ড করছে যেহেতু আল্লাহ আমাদের ঘাড়ের শিরার থেকে নিকটতম, ইঞ্জিল
আমাদের বলে যে আমাদের কাজকর্মের এই রেকর্ডগুলো এত ব্যাপক যে তারা আসলে ‘বই’ I
এটিকে একটি দর্শনে বর্ণনা করা হয়েছে যাকে যোহন,
ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ একজন শিষ্য, পেয়েছিলেন এবং ইঞ্জিলের শেষ বইয়ের মধ্যে
লিখেছিলেন I যেমন এটিকে লেখা হয়েছে:
11 পরে আমি এক বিরাট শ্বেত সিংহাসন ও তার ওপর যিনি বসে আছেন তাঁকে দেখলাম৷ তাঁর সামনে থেকে পৃথিবী ও আকাশ বিলুপ্ত হল এবং তাদের কোন অস্তিত্ব রইল না৷ 12 আমি দেখলাম, ক্ষুদ্র অথবা মহান সমস্ত মৃত লোক সেই সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে৷ পরে কয়েকটি গ্রন্থ খোলা হল এবং আরও একটি গ্রন্থ খোলা হল৷ সেই গ্রন্থটির নাম জীবন পুস্তক৷ সেই গ্রন্থগুলিতে মৃতদের প্রত্যেকের কাজের বিবরণ লিপিবদ্ধ ছিল এবং সেই অনুসারে তাদের বিচার হল৷ 13 য়ে সব লোক সমুদ্রগর্ভে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল সমুদ্র তাদের সঁপে দিল, আর মৃত্যু ও পাতাল নিজেদের মধ্যে য়ে সব মৃত ব্যক্তি ছিল তাদের সমর্পণ করল৷ তাদের কৃতকর্ম অনুসারে তাদের বিচার হল৷ 14 পরে মৃত্যু ও পাতাল আগুনের হ্রদে ছুঁড়ে ফেলা হল৷ এই আগুনের হ্রদই হল আসলে দ্বিতীয় মৃত্যু৷ 15 জীবন পুস্তকে যাদের নাম লেখা দেখতে পাওয়া গেল না, তাদের সকলকে আগুনের হ্রদে ছুঁড়ে ফেলা হল৷
প্রকাশিত বাক্য 20:11-15
এটি ঘোষণা
করে যে সকলের বিচার হবে ‘তাদের কাজ অনুসারে’ যেমন এই ‘বইয়ের’ মধ্যে
লিপিবদ্ধ করা হয়েছে I তাই আমরা প্রার্থনার পরে আমাদের ডান দিক এবং বাম দিকের
দেবদুতদের শুভেচ্ছা জানাই এবং কাজকর্মের রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা পাওয়ার
আশা করি I
জীবন পুস্তক
কিন্তু লক্ষ্য করুন সেখানে আর একটি পুস্তক আছে, যাকে ‘জীবনের পুস্তক’ বলা হয়, যেটি ভাল-মন্দ যোগ্যতার নথি-ধারণকারী বইয়ের থেকে আলাদা I এটি ব্যক্ত করে ‘যে কেউ’ যাদের নাম জীবন পুস্তকে পাওয়া যাবে না তাদেরকে আগুনের হ্রদে (জাহান্নামের জন্য আর একটি মেয়াদ) নিক্ষেপ করা হবে I তাই, এমনকি যদিও আমাদের ডান দিকে দেবদূতের দ্বারা লিপিবদ্ধ ভালো গুনগুলোর তালিকা খুব দীর্ঘ হয়, এবং দেবদূতের দ্বারা লিপিবদ্ধ আমাদের বাম দিকে পাপগুলোর তালিকা খুব সংক্ষিপ্ত হয় – এমনকি তবুও – আপনার নাম যদি ‘জীবন পুস্তকে’ না থাকে আমরা তখনও জাহান্নামের জন্য দোষী সাব্যস্ত হব I এই ‘জীবন পুস্তক’ কি এবং কিভাবে এই পুস্তকে আমাদের নাম লিপিবদ্ধ হয়?
তাওরাত এবং কোরআন উভয়ই ব্যক্ত করে যে যখন হজরত আদম পাপ করল, আল্লাহ তাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছিলেন এবং তাকে মরণশীল করেছিলেন I এর অর্থ হ’ল যে সে (এবং আমরা তার সন্তান) জীবনের স্রোত থেকে বিছিন্ন হয়েছিল I এটাই কারণ যে আমরা মরণশীল এবং একদিন আমরা মারা যাব I নবী ঈসা আল মসীহ পিবিইউএইচ এই জীবনকে আমাদের কাছে পুনস্থাপন করতে এসেছিলেন যাতে আমাদের নামকে জীবন পুস্তকের মধ্যে প্রবেশ করাতে পারা যায় I যেমন তিনি ঘোষণা করলেন
24 ‘আমি তোমাদের সত্যি বলছি; য়ে কেউ আমার কথা শোনে, আর যিনি আমায় পাঠিয়েছেন তাঁর ওপর বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন লাভ করে এবং সে অপরাধী বলে বিবেচিত হবে না৷ সে মৃত্যু থেকে জীবনে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে৷
যোহন 5:24
নবী ইব্রাহিম পিবিইউএইচ কিভাবে জীবনের এই বরদানকে আগে থেকেই দেখছিলেন, এবং কেন ঈসা আল মসীহ আমাদের জীবন দিতে পারেন তা এখানে বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে I সুরা কাফ আমাদের সাবধান করে যে
আমরা নবী ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ শেষ সপ্তাহকে পরীক্ষা করলাম I ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ করে যে তিনি ষষ্ঠ দিনে – শুভ শুক্রবারে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন, এবং তাঁকে পরের রবিবারে আবার জীবনে ওঠানো হয়েছিল I এটিকে তাওরাত এবং গীতসংহিতা ও নবীদের উভয়ের মধ্যে পূর্বাভাষ করা গিয়েছিল I কিন্তু কেন এটি ঘটল এবং আজকে আপনার এবং আমার জন্য এটির অর্থ কি? এখানে আমরা বুঝতে চাই ঈসা আল মসীহর দ্বারা আমাদেরকে কি দেওয়া হয়েছে এবং আমরা কিভাবে করুণা এবং ক্ষমা পেতে পারি I এটি আমাদেরকে এমনকি ইব্রাহিমের মুক্তিপণকে বুঝতে সাহায্য করবে যাকে সুরা আস-সাফফাত (সুরা 37), সুরা আল ফাতিয়া (সুরা 1 – উদ্ঘাটক) এর মধ্যে বর্ণিত করা হয়েছে, যখন এটি আল্লাহকে ‘আমাদেরকে সরল পথ দেখাতে’ বলে পাশাপাশি উপলব্ধি দিতে কেন ‘মুসলিমের’ অর্থ ‘একজন যে সমর্পণ করে’, এবং কেন ধর্মকর্ম পালন যেমন বুদু, যাকাত এবং হালাল খাওয়া ভাল তবে বিচারের দিনের জন্য নিজেদের মধ্যে অপর্যাপ্ত ভাল উদ্দেশ্য I
খারাপ সংবাদ – আল্লাহর সঙ্গে
আমাদের সম্পর্কের সম্বন্ধে নবীরা কি বলে
তাওরাত শিক্ষা
দেয় যে যখন আল্লাহ মানবজাতিকে সৃষ্টি করলেন তিনি
27 তাই ঈশ্বর নিজের মতোই মানুষ সৃষ্টি করলেন| মানুষ হল তাঁর ছাঁচে গড়া জীব| ঈশ্বর তাদের পুরুষ ও স্ত্রীরূপে সৃষ্টি করলেন|
আদিপুস্তক 1:27
“প্রতিমূর্তি”
শারীরিক অর্থে বোঝায় না, তবে বরং সেই অর্থে যাতে আমাদেরকে তৈরী করা হয় তাঁকে
প্রতিফলিত করতে এমনভাবে যাতে আমরা আবেগপূর্ণভাবে, মানসিকভাবে, সামাজিকভাবে, এবং
আত্মিকভাবে কার্যকলাপ করি I তাঁর সাথে সম্পর্কের মধ্যে হতে আমাদেরকে সৃষ্টি করা
হয়েছিল I আমরা এই সম্পর্ককে নিচের স্লাইডের মধ্যে দেখতে পারি I সৃষ্টিকর্তাকে,
অসীম শাসক হিসাবে, উপরে রাখা হয়েছে যেখানে পুরুষ এবং স্ত্রীকে স্লাইডের নিচে রাখা
হয়েছে যেহেতু আমরা সীমিত প্রাণী I সংযোগকারী তীরের দ্বারা সম্পর্ককে দেখানো হয়েছে I
তাঁর প্রতিমূর্তিতে, লোকেদেরকে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে হতে তৈরী করা হয়েছিল
আল্লাহ চরিত্রের
দিক দিয়ে সিদ্ধ – তিনি পবিত্র I এই কারণে যাবুর বলে
4 হে ঈশ্বর, মন্দ লোকরা আপনার কাছে থাকুক, এ আপনি চান না| দুষ্ট লোকরা আপনার উপাসনা করে না| 5 বোকারা আপনার কাছে আসতে পারে না| লোকদের মন্দ কাজ করাকে আপনি ঘৃণা করেন|
গীতসংহিতা 5:4-5
আদম অবাধ্যতার একটি কার্য করেছিল – কেবলমাত্র একটি – আর ঈশ্বরের পবিত্রতায় তার বিচারের প্রয়োজন হয়েছিল I তাওরাত এবং কোরআন লিপিবদ্ধ করে যে আল্লাহ তাকে মরণশীল করলেন এবং তাঁর উপস্থিতি থেকে বিতাড়িত করলেন I সেই একই পরিস্থিতি আমাদের জন্য বিদ্যমান I যখন আমরা পাপ করি বা অমান্য করি তখন আমরা যে কোনো উপায়ে আল্লাহকে অসম্মান করি যেহেতু আমরা প্রতিমূর্তি অনুসারে কাজ করি না যাতে আমাদের তৈরী করা হয়েছে I আমাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় I এর ফলে পাথরের মতন শক্ত এক বাধার সৃষ্টি হয় যা আমাদের এবং সৃষ্টিকর্তার মধ্যে আসে I
আমাদের এবং পবিত্র ঈশ্বরের মধ্যে আমাদের পাপ এক শক্ত বাধা সৃষ্টি করে
ধর্মীয় যোগ্যতার দ্বারা পাপের
বাধাকে বিদ্ধ করা
আমাদের মধ্যে
অনেকে আমাদের এবং আল্লাহর মধ্যে এই বাধাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমূহ বা কার্যাবলীর
দ্বারা বিদ্ধ করতে চেষ্টা করে যা বাধাকে ভাঙতে যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করে I
প্রার্থনা, উপবাস, হাজ্জ, মসজিদে যাওয়া, যাকাত, ভিক্ষা দান, সেই পথগুলো যার দ্বারা আমরা বাধাকে বিদ্ধ করতে
যোগ্যতা অর্জন করতে চাই যাকে পরে চিত্রিত করা হয়েছে I আশা হ’ল যে ধর্মীয় যোগ্যতা
কিছু পাপকে বাতিল করবে I আমাদের অনেক কাজগুলো যদি যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করে আমরা
আমাদের পাপগুলোকে বাতিল করতে এবং
করুণা ও ক্ষমা পেতে আশা করি I
ভাল কার্য সমুহ করার দ্বারা আল্লাহর সামনে যোগ্যতা অর্জন করতে এই বাধাকে বিদ্ধ করতে আমরা চেষ্টা করি
কিন্তু পাপ
বাতিল করতে কতটা যোগ্যতা আমাদের প্রয়োজন? আমাদের কি আশ্বাস যে আমাদের যোগ্যতাপূর্ণ
কাজগুলো পাপ বাতিল করতে এবং বাধাকে বিদ্ধ করতে পর্যাপ্ত হবে যা আমাদের এবং আমাদের
সৃষ্টিকর্তার মধ্যে এসেছে? আমরা
কি জানি যে আমাদের ভাল উদ্দেশ্যগুলো পর্যাপ্ত হবে? আমাদের কাছে কোন আশ্বাস
নেই আর তাই আমরা যতটা সম্ভব পারি চেষ্টা করি করতে এবং আশা করি বিচারের দিনে এটি
পর্যাপ্ত হবে I
কার্যকলাপ
সমূহের দ্বারা যোগ্যতা অর্জন করার পাশাপাশি, ভালো উদ্দেশ্যের জন্য প্রচেষ্টায়, আমাদের মধ্যে অনেকে
পরিষ্কার থাকতে কঠিন পরিশ্রম করে I প্রার্থনার পূর্বে আমরা অধ্যবসায়ের সাথে বুদু
অনুষ্ঠিত করি I অশুচিকারী লোকেদের থেকে, বস্তুগুলোর থেকে এবং খাদ্যের থেকে দুরে
থাকতে আমরা কঠিন পরিশ্রম করি I কিন্তু নবী যিশাইয় প্রকাশ করলেন যে:
6 আমরা সবাই পাপের জন্য নোংরা হয়ে উঠেছি| এমন কি আমাদের ভাল কাজও অশুদ্ধ| আমাদের ভালো কাজগুলো রক্তে রঞ্জিত পোশাকের মত| আমরা সবাই মরা পাতার মত| আমাদের পাপ আমাদের বাতাসের মতো বয়ে নিয়ে চলেছে|
যিশাইয় 64:6
নবী আমাদের বলেন
যে এমনকি যদি আমরা সমস্তকিছুকে এড়িয়ে চলি যা আমাদের অশুচি করে, আমাদের পাপ সমূহ
আমাদের ‘ধার্মিক কার্যকলাপ’ আমাদের পরিষ্কার করতে ‘নোংরা নেকড়ার’ মতন অকেজো করে
তুলবে I ওটি খারাপ সংবাদ I তবে এটি আরও খারাপ হয় I
ইঞ্জিল এই
সত্যটিকে নিম্নলিখিত উপায়ে সংক্ষিপ্তসার করে:
কারণ পাপের বেতন মৃত্যু…
রোমীয় 6:23
“মৃত্যু” আক্ষরিক অর্থে ‘বিচ্ছিনতা’ I আমাদের
আত্মা যখন আমাদের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয় আমরা শারীরিকভাবে মারা যাই I অনুরূপভাবে
আমরা এমনকি এখন ঈশ্বরের থেকে আত্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং মৃত হয়েছি এবং তাঁর
দৃষ্টিতে অশুচি I
এটি পাপের
মূল্যের জন্য যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের আশার সমস্যাকে প্রকাশ করে I সমস্যা
হল যে আমাদের কঠিন প্রচেষ্টা সমূহ, যোগ্যতাগুলো, ভালো উদ্দেশ্য সমূহ, এবং কাজগুলো, যদিও ভুল নয়, তবুও
অপর্যাপ্ত কারণ আমাদের পাপের জন্য প্রতিদান (‘বেতন’) হ’ল ‘মৃত্যু’ I কেবলমাত্র
মৃত্যুই এই প্রাচীরকে বিদ্ধ করে কারণ এটি ঈশ্বরের ন্যায়কে সন্তুষ্ট করে I হালাল
খাদ্য খাওয়ার দ্বারা যোগ্যতা অর্জনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাগুলো ক্যান্সার (যার
পরিণাম মৃত্যু) নিরাময়ের জন্য চেষ্টা করার মতন I হালাল খাদ্য খারাপ নয়, ভাল – এবং
একজনের হালাল খাওয়া ভাল – কিন্তু এটি ক্যান্সার নিরাময় করবে না I ক্যান্সারের জন্য
আপনার এক সম্পূর্ণ ভিন্ন চিকিৎসার প্রয়োজন যা ক্যান্সারের কোশিকাগুলোকে মারে I
তাই এমনকি
আমাদের প্রচেষ্টা এবং ভাল
উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে যা ধর্মীয় যোগ্যতার জন্ম দেয় আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার
দৃষ্টিতে আসলে মৃত এবং একটি মৃত দেহের মতন অশুচি I
আমাদের পাপের পরিণাম মৃত্যু – আল্লাহর সামনে আমরা অশুচি মৃত দেহের মতন
ইব্রাহিমকে সরল পথ দেখানো হয়েছিল I তিনি শুধুমাত্র ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির উপরে ভরসা করেছিলেন এবং ঈশ্বর পাপের জন্য মৃত্যুর মূল্যের যোগান দিয়েছিলেন
কোরআন এটির সম্বন্ধে সুরা আস-সাফফাতে (সুরা 37 – তারা
যারা মাত্রা স্থাপন করে) বলে যেখানে এটি বলে:
107 আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু। 108 আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে, 109 ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
সুরা আস-সাফফাত:107-109
আল্লাহ ‘মুক্তিপণ (মূল্য প্রদান
করলেন) দিলেন’ আর ইব্রাহিম আশীর্বাদ, করুণা এবং ক্ষমা পেলেন যা ‘শান্তিকে’
অন্তর্ভুক্ত করেছিল I
শুভ সংবাদ: আমাদের স্বপক্ষে
ঈসা আল মসীহর কাজ
সেখানে আমাদের
সরল পথ দেখাতে সুরা আল-ফাতিয়ার (সুরা
1 – উদ্ঘাটন) অনুরোধ অনুসারে নবীর উদাহরণ
4যিনি বিচার দিনের মালিক। 5 আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। 6 আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, 7 সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
সুরা আল-ফাতিহা 1:4-7
ইঞ্জিল ব্যাখ্যা
করে যে এটি একটি চিত্র যা দেখায় আল্লাহ কিভাবে পাপের জন্য মূল্য প্রদান করেন এবং
মৃত্যু ও অশুচিতার জন্য একটি সরল কিন্তু শক্তিশালী উপায়ে নিরাময় যোগান দেন I
23 কারণ পাপ য়ে মজুরি দেয়, সেই মজুরি হল মৃত্যু৷ কিন্তু ঈশ্বর অনুগ্রহ করে যা দান করেন সেই দান হল আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন৷
রোমীয় 6:23
এতক্ষণ পর্যন্ত
সব ‘খারাপ সংবাদ’ ছিল I তবে ‘ইঞ্জিল’ আক্ষরিক অর্থে ‘শুভ সংবাদ’ বোঝায় এবং সেটিকে
ঘোষণা করার দ্বারা আমাদের এবং ঈশ্বরের মধ্যে এই বাধাকে বিদ্ধ করতে ঈসার মৃত্যু
পর্যাপ্ত হয় আমরা দেখতে পারি কেন এটি শুভ সংবাদ যেমন দেখানো হয়েছে I
ইব্রাহিমকে সরল পথ দেখানো হয়েছিল I তিনি শুধুমাত্র ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির উপরে ভরসা করেছিলেন এবং ঈশ্বর পাপের জন্য মৃত্যুর মূল্যের যোগান দিয়েছিলেন
নবী ঈসা আল মসীহ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং পরে প্রথম ফল হিসাবে মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন যাতে করে
তিনি আমাদেরকে এখন নতুন জীবন দান করেছেন I মৃত্যুর পাপের বন্দী হয়ে থাকার আমাদের
আর কোনো দরকার নেই I
ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থান ‘প্রথম ফল’ ছিল I আমরা মৃত্যু থেকে মুক্ত হতে পারি এবং সেই একই পুনরুত্থানের জীবন পেতে পারি
তাঁর কোরবানী
এবং পুনরুত্থানের মধ্যে ঈসা আল মসীহ ঈশ্বরের থেকে আমাদের বিচ্ছিন্নকারী পাপের
বাধার মধ্যিখান দিয়ে দ্বারে পরিণত হলেন I এই জন্যই নবী বললেন:
9 আমিই দরজা৷ যদি কেউ আমার মধ্য দিয়ে ঢোকে তবে সে রক্ষা পাবে৷ সে ভেতরে আসবে এবং বাইরে গেলে তার চারণভূমি পাবে৷ 10 চোর কেবল চুরি, খুন ও ধ্বংস করতে আসে৷ আমি এসেছি, যাতে লোকেরা জীবন লাভ করে, আর য়েন তা পরিপূর্ণ ভাবেই লাভ করে৷’
যোহন 10:9-10
এইরূপে ঈসা আল মসীহ দ্বার হলেন যা পাপ এবং মৃত্যুর বাধাকে ভগ্ন করে
এই দ্বারের
কারণে, আমরা এখন আমাদের পাপ বাধা হওয়ার পূর্বে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আমাদের
সম্পর্ককে পুনরায় অর্জন করতে পারি এবং করুণা এবং পাপের
ক্ষমা পেতে আশ্বস্ত হতে
পারি I
এক উন্মুক্ত দ্বারের সাহায্যে আমরা এখন আমাদের সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুনস্থাপিত হয়েছি
যেমন ইঞ্জিল
ঘোষণা করে:
5 কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন আর ঈশ্বরের ও মানুষের মধ্যে কেবল একমাত্র পথ আছে, যার মাধ্যমে মানুষ ঈশ্বরের কাছে পৌঁছতে পারে৷ সেই পথ যীশু খ্রীষ্ট, যিনি নিজেও একজন মানুষ ছিলেন৷ 6 সমস্ত লোকদের পাপমুক্ত করতে যীশু নিজেকে উত্সর্গ করেছিলেন৷ যীশুর এই কাজ সঠিক সময়ে প্রমাণ করল য়ে ঈশ্বর চান য়েন সব লোক উদ্ধার পায়৷
1 তিমথি 2:5-6
আপনার কাছে ঈশ্বরের উপহার
নবী ‘সকল
লোকেদের’ জন্য ‘নিজেকে দিয়েছিলেন’ I তাই এটি অবশ্যই আপনাকে তথা আমাকে অন্তর্ভুক্ত
করে I তাঁর মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে তিনি একজন মধ্যস্থতাকারী হয়ে মূল্য
প্রদান করেছেন এবং আমাদের জীবন প্রদান
করেছেন I এই প্রদত্ত জীবনটি কিরকম?
23 কারণ পাপ য়ে মজুরি দেয়, সেই মজুরি হল মৃত্যু৷ কিন্তু ঈশ্বর অনুগ্রহ করে যা দান করেন সেই দান হল আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন৷
রোমীয় 6:23
লক্ষ্য করুন
এটিকে কিভাবে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে I এটিকে দেওয়া হয়েছে এক … ‘উপহার’
হিসাবে I উপহার সম্পর্কে চিন্তা করুন I এতে কিছু এসে যায় না উপহারটি কি, যদি এটি
প্রকৃতপক্ষে একটি উপহার হয় এটি এমনকিছু যার জন্য আপনি কাজ করেন না এবং যোগ্যতার
দ্বারা অর্জন করেন না I যদি আপনি এটিকে অর্জন করতেন তবে উপহারটি আর একটি
উপহার হত না – এটি একটি মজুরি হত! সেই একই ভাবে আপনি যোগ্য হতে বা ঈসা আল মসীহর
কোরবানীকে অর্জন করতে পারেন না I এটিকে এক উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছে I এটি ততটাই
সরল I
আর উপহারটি কি?
এটি ‘অনন্ত জীবন’ I তার অর্থ যে পাপ আপনাকে এবং আমাকে মৃত্যুতে নিয়ে এসেছে
তার মূল্য এখন চুকিয়ে দেওয়া হয়েছে I ঈশ্বর আপনাকে এবং আমাকে অধিক ভালবাসেন I এটি
ততটাই শক্তিশালী I
অতএব অপনি এবং
আমি কিভাবে অনন্ত জীবন পাব? আবার, উপহার সম্পর্কে চিন্তা করুন I কেউ যদি আপনাকে একটি
উপহার দিতে চায় আপনি অবশ্যই এটিকে ‘গ্রহণ করবেন’ I যে কোনো সময় এক উপহার দিলে
সেখানে কেবলমাত্র দুটি বিকল্প হয় I হয়
উপহারটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয় (“না ধন্যবাদ আপনাকে”) বা এটিকে গ্রহণ করা হয় (“আপনার
উপহারের অন্য ধন্যবাদ I আমি এটিকে গ্রহণ করব”) I অতএব এই উপহারটিকেও অবশ্যই
গ্রহণ করতে হবে I এটিকে কেবল মানসিকভাবে বিশ্বাস করতে, অধ্যয়ন করতে বা বুঝতে পারা
যায় না I উপকার পেতে গেলে, যে কোনো উপহারকে আপনাকে অবশ্যই ‘গ্রহণ করতে হবে’ I
12 কিন্তু কিছু লোক তাঁকে গ্রহণ করল এবং তাঁকে বিশ্বাস করল৷ যাঁরা বিশ্বাস করল তাদের সকলকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দান করলেন৷ 13 ঈশ্বরের এই সন্তানরা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে কোন শিশুর মতো জন্ম গ্রহণ করে নি৷ মা-বাবার দৈহিক কামনা-বাসনা অনুসারেও নয়, ঈশ্বরের কাছ থেকেই তাদের এই জন্ম৷
যোহন 1:12-13
আসলে ইঞ্জিল
ঈশ্বরের সম্পর্কে বলে যে
ঈশ্বর আমাদের উদ্ধারকর্তা, যিনি সকল লোকেদের চান উদ্ধার হতে …
1 তিমথি 2:3-4
তিনি একজন
উদ্ধারকর্তা এবং তাঁর ইচ্ছা যে ‘সকল লোকেরা’ তাঁর উপহার গ্রহণ করুক এবং পাপ ও
মৃত্যু থেকে রক্ষা পাক I এটি যদি তাঁর ইচ্ছা হয়, তবে তাঁর উপহার গ্রহণ করতে হলে
শুধুমাত্র তাঁর ইচ্ছার প্রতি সমর্পণ করতে হবে – ‘মুসলিম’ শব্দটির বিশেষ অর্থ –
একজন যে সমর্পণ করে I
কিভাবে আমরা এই
উপহারটি পাই? ইঞ্জিল বলে যে
12 এক্ষেত্রে ইহুদী ও অইহুদীদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, একই প্রভু সকলের প্রভু৷ যত লোক তাঁকে ডাকে সেই সকলের ওপর তিনি প্রচুর আশীর্বাদ ঢেলে দেন৷
রোমীয় 10:12
লক্ষ্য করুন যে এই প্রতিশ্রুতি ‘প্রত্যেকের’ জন্য I যেহেতু তিনি মৃত্যু থেকে উঠলেন ঈসা আল মসীহ এমনকি এখনও জীবিত I অতএব আপনি যদি তাঁকে ডাকেন তিনি শুনবেন এবং তাঁর উপহার আপনাকে দেবেন I আপনি তাঁকে ডাকুন এবং তাঁকে বলুন I আপনি হয়ত কখনও এইরকম করেন নি I নিচে একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে I কোনো যাদু মন্ত্র নয় I এটি কোনো নির্দিষ্ট কথা নয় যা শক্তি দিতে পারে I এটি ইব্রাহিমের যেমন ছিল সেইরকম বিশ্বাস যাকে আমরা এই উপহারটি দেওয়ার জন্য ঈসা আল মসীহর উপরে রাখতে পারি I তাঁকে বিশ্বাস করার সাথে সাথে তিনি আমাদের কথা শুনবেন এবং উত্তর দেবেন I ইঞ্জিল শক্তিশালী, তবুও এত সহজও বটে I যদি আপনি এটিকে উপযোগী পান, এই নির্দেশনাকে অনুসরণ করতে স্বচ্ছন্দ অনুভব করুন I
প্রিয় নবী এবং ঈসা আল মসীহ I আমি বুঝতে পেরেছি যে আমার পাপের কারণে আমি আমার সৃষ্টিকর্তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছি I যদিও আমি কঠিনভাবে চেষ্টা করি, আমার প্রচেষ্টাগুলো এই বাধাকে বিদ্ধ করে না I তবে আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনার মৃত্যু আমার সমস্ত পাপ ধুতে এবং আমাকে শুদ্ধ করতে একটি কোরবানী ছিল I আমি জানি যে আপনি আপনার কোরবানীর পরে মৃত্যু থেকে উঠেছিলেন তাই আমি বিশ্বাস করি যে আপনার কোরবানী পর্যাপ্ত ছিল এবং তাই আমি আপনার কাছে সমর্পণ করি I আমি আপনার কাছে যাচনা করি দয়া করে আমার পাপের থেকে শুদ্ধ করুন এবং আমার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মধ্যস্থতা করুন যাতে করে আমি অনন্ত জীবন পেতে পারি I আমার এই সমস্ত করার জন্য ঈসা আল মসীহ, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং এখন এমনকি আপনি আমার জীবনে ক্রমাগত পথ প্রদর্শন করতে থাকবেন যাতে আমি আপনাকে আমার প্রভু হিসাবে অনুসরণ করতে পারি I
নবী মুসার পিবিইউএইচ তাওরাত ঈসা আল মসীহর সম্বন্ধে পুর্বজ্ঞান প্রকাশিত করেছিলেন চিহ্ন সমূহের মাধ্যমে যেগুলোকে নবীর আগমনের প্রতি নমুনাকৃত করা হয়েছিল I মুসার অনুগমনকারী নবীরা ফিরিস্তির দ্বারা ঈশ্বরের পরিকল্পনাকে দেখিয়েছিলেন I ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত দায়ূদ পিবিইউএইচ, মসীহর আগমন সম্বন্ধে গীতসংহিতা 2 এর মধ্যে প্রায় 1000 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে প্রথমে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন I তারপরে গীতসংহিতা 22 এর মধ্যে তিনি একজনের সম্বন্ধে একটি বার্তা পেলেন যার হাত ও পাকে অত্যাচারে ‘বিদ্ধ’ করা হয়েছে এবং তারপরে ‘মৃত্যুর ধুলিতে শুইয়ে রাখা হয়েছে’, তবে পরবর্তীকালে অর্জিত এক মহান বিজয় ‘পৃথিবীর সমস্ত পরিবারকে’ প্রভাবিত করবে I এটি কি ঈসা আল মসীহর আসন্ন ক্রুশারোপন এবং পুনরুত্থান সম্পর্কে একটি ভবিষ্যদ্বাণী ছিল? সুরা সাবা (সুরা 34) এবং সুরা আন- নমল (সুরা 27) এর বক্তব্যের মধ্যে একবার দেখব কিভাবে আল্লাহ যাবুরের (অর্থাৎ গীতসংহিতা 22) মধ্যে দায়ূদকে অনুপ্রাণিত করলেন I
গীতসংহিতা 22 এর ভবিষ্যদ্বাণী
আপনি এখানে পুরো গীতসংহিতা 22টি পড়তে পারেন I নিচে একটি টেবিল রয়েছে যেখানে গীতসংহিতা 22 এর পাশাপাশি ঈসা আল মসীহর শিষ্যদের (সঙ্গী) দ্বারা প্রত্যক্ষ্য করা ক্রুশারোপন এবং পুনরুত্থানের বিবরণ রয়েছে I পাঠ্যগুলো রঙ মেলানো তাই সাদৃশ্যগুলো সহজেই দেখা যায় I
1000 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে লিখিত – গীত
সংহিতা 22
(মথি 27:31-48) .. তারপর
তারা তাঁকে (যীশুকে) ক্রুশে দিতে নিয়ে চলল) … 39 যে সকল লোক সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করছিল তারা মাথা নাড়তে নাড়তে তার দিকে অপমান করল
40 এবং বলল, “… নিজেকে
রক্ষা কর!ক্রুশ
থেকে নেমে এস, যদি
তুমি ঈশ্বরের পুত্র হও!”
41 সেই একই রূপে প্রধান যাজকরা, ব্যবস্থার
শিক্ষকরা এবং প্রাচীনরা তাঁর
প্রতি বিদ্রূপ করল I 42 “সে
অন্যদের রক্ষা করত,”তারা
বলল, “কিন্তু
সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না! ও তো ইস্রায়েলের রাজা! এখন
ক্রুশ থেকে নেমে আসুক,
আর আমরা ওর উপর বিশ্বাস করব I43 ও
ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস রাখে I এখন তিনি ওকে উদ্ধার করুন যদি তিনি ওকে চান,…45প্রায়
নয় ঘটিকার সময় যীশু চীৎকার করে উঠলেন…“আমার
ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর, কেন আমায় পরিত্যাগ করেছ?“…48 তাদের মধ্যে একজন তৎক্ষনাত দৌড়িয়ে গেল আর একটি স্পঞ্জ
নিয়ে এল I সে তাতে সিরকা ভরল, এটিকে একটি নলের উপরে রাখল,এবং
যীশুকে পান করতে দিল Iমার্ক15: 16-2016
সেনারা যীশুকে নিয়ে গেল… তারা
তাঁকে বেগুনি কাপড় পরাল,
তারপরে একটি কাঁটার মুকুট গেঁথে তার উপরে
পরাল I18 আর তারা তাঁকে বলতে আরম্ভ করল, “নমস্কার, যিহূদিরাজ!” 19 বার বার তারা একটি নল দ্বারা তাঁর মাথার উপরে আঘাত করল
এবং তাঁর উপরে থুতু দিল I তাদের হাঁটু পেতে, তারা তাঁকে প্রণাম করল I20 আর যখন তারা তাঁকে বিদ্রূপ করল, তারা তাঁর থেকে বেগুনিকাপড়
খুলে নিল এবং তাঁর নিজের কাপড় তাঁর উপরে পরিয়ে দিল I পরে ক্রুশে দেবার জন্য তারা
তাঁকে বাইরে নিয়ে গেল…37এক
উচ্চ রবের সাথে, যীশু শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করলেন I (যোহন19:34)তারা তাঁর পা ভাঙল না..., বিদ্ধ
করল যীশুর কুক্ষিদেশে একটি বরশা দিয়ে, তাহাতে অমনি রক্ত ও জলের প্রবাহ নিয়ে এল.…তারা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করল… (যোহন 20:25) [থোমা] আমি
যদি তাঁর হাতে প্রেরেক চিহ্ন না দেখি,…”…যোহন 19:23-24 যখন
সেনারা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করল, তারা
নিলতাঁর
বস্ত্র সকল, তাদের
প্রত্যেকের জন্য একটি করে, সেগুলোকে চার ভাগে ভাগ করল,বাকি
ছিল আঙরাখাটি…এটিকে
চিরব না”, তারা
বলল,”এস আমরা
গুলিবাঁট করে দেখি কে এটি পায়“…
1 ঈশ্বর
আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমাকে পরিত্যাগ করেছ?আমার রক্ষার থেকে কেন এত দুরে থাক, আমার যন্ত্রণার আর্তনাদ
থেকে কেন এত দুরে থাক? 2 হে
আমার ঈশ্বর, আমি দিবসে আহ্বান করি, কিন্তু তুমি উত্তর দাও না, রাত্রিতেও,
কিন্তু, আমার কোনো বিশ্রাম পাই না …7
যারা আমাকে দেখে সকলে আমাকে ঠাট্টা
করে;
তারা তাদের মাথা নেড়ে,অপমান
করে I
8 “ও
সদাপ্রভুর উপরে নির্ভর করে,”তারা
বলে , “সদাপ্রভু ওকে রক্ষা করুন,কেননা তিনি উহাতে প্রীত”9 তথাপি তুমি
জঠর থেকে আমাকে উদ্ধার করলে;
এমনকি আমার মাতার স্তন পানের সময়ে তুমি আমার বিশ্বাস
জন্মালে I
10 গর্ভ
থেকে আমি তোমার উপরে নিক্ষিপ্ত;
আমার মাতৃজঠর থেকে তুমিই আমার ঈশ্বর I 11 আমার থেকে দুরে থেক না,
কেননা সঙ্কট আসন্ন, আর সাহায্যকারী কেউ
নেই I 12 অনেক
বৃষ আমাকে বেষ্টন করেছে;
বলবান বলদেরা আমাকে ঘিরেছে I
13 গর্জনকারী
সিংহ যেন তাদের শিকারীকে ছিড়ে ফেলতে আমার বিরুদ্ধে তাদের মুখ খুলে হা করেছে I
14 আমি
জলের ন্যায় সেচিত হয়েছি, এবং আমার সমুদয় অস্থি সন্ধিচ্যুত হয়েছে I
আমার হৃদয় মোমের ন্যায় হয়েছে;
এটি আমার মধ্যে গলিত হয়েছে I
15 আমার মুখ
খোলার ন্যায় শুষ্ক হয়েছে,
এবং আমার জিহ্বা তালুতে লেগে আটকে গেছে;
তুমি আমাকে মৃত্যুর ধুলিতে রেখেছ I 16 কুকুরেরা আমাকে ঘিরেছে,দুরাচারীদের
এক মন্ডলী আমাকে বেষ্টন করেছে; তারা আমার হস্তপদ বিদ্ধ করেছে I 17 আমার অস্থি সকল
প্রদর্শনীতে রয়েছে;
লোকেরা আমার প্রতি দৃষ্টি করে চেয়ে থাকে I
18 তারা
নিজেদের মধ্যে আমার বস্ত্র বিভাগ করে এবং আমার পরিচ্ছদের জন্য গুলিবাঁট করে I
ক্রুশবিদ্ধ সম্পর্কে সুসমাচারের বিবরণের তুলনায় গীত সংহিতা 22
যারা ক্রুশারোপনকে প্রতক্ষ্য করেছিল সেই প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের দৃষ্টিকোণ থেকে ইঞ্জিল লেখা হয়েছে I গীতসংহিতা 22 একজন যে এটিকে অনুভব করেছে তার দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়েছে I গীতসংহিতা 22 এবং ঈসা আল মসীহর ক্রুশারোপনের মধ্যে এই সাদৃশ্যকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? এটিকি কাকতলীয় যে বিবরণগুলো এত হুবহু মেলে যে জামাকাপড় দুটি ভাগ করা হবে (সেলাই করা পোশাকগুলোর সেলাই বরাবর বিভক্ত ছিল এবং সেনাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল) আর গুলিবাঁট করা হয়েছে (সেলাইবিহীন পোশাক ছিঁড়ে ফেললে নষ্ট হয়ে যাবে তাই তারা এটির জন্য জুয়া খেলল) I ক্রুশারোপনের আবিষ্কারের পূর্বে গীতসংহিতা 22 লেখা হয়েছিল কিন্তু এটি এর নির্দিষ্ট বিবরণ দেয় (হস্তপদ বিদ্ধ করা, অস্থি-সন্ধি থেকে অস্থি বেরিয়ে আসা, – প্রসারিত হয়ে শিকারীর মতন ঝুলতে থাকে) I এর অতিরিক্ত যোহনের সুসমাচার লিপিবদ্ধ করে যে যখন যীশুর কুক্ষিদেশে বর্শার খোঁচা দেওয়া হল তখন রক্ত ও জল বইতে লাগল I সংকেত দেয় যে এক তরল পদার্থ তাঁর হৃদয় যন্ত্রের চারিদিকে তৈরী হয় I ঈসা আল মসীহ এইরূপে হৃদপিণ্ডের উপর আঘাতে মারা যান I এটি গীতসংহিতা 22 এর “আমার হৃদয় মোমে পরিণত হয়েছে’ উক্তির সঙ্গে মেলে I গীতসংহিতা 22 এর মধ্যে অনুবাদিত হিব্রু শব্দ ‘বিদ্ধ’ যার আক্ষরিক অর্থ ‘একটি সিংহের ন্যায়’ I অন্য কথায়, হাত এবং পাকে বিদ্ধ করার সময়ে তাদেরকে একটি সিংহ যেমন করে সেইরকমভাবে থেঁতলান ও বিকৃত করা হয়েছিল I
অবিশ্বাসীরা
উত্তর দেয় যে ইঞ্জিলের প্রত্যক্ষ্যদর্শীর নথির সঙ্গে গীতসংহিতা 22 এর সাদৃশ্য এই
কারণে হতে পারে ঈসার শিষ্যরা ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে ‘খাপ খায়’ এইরকম ঘটনাগুলো তৈরী
করেছিল I ওটা কি সাদৃশ্যকে ব্যাখ্যা করতে পারে?
গীতসংহিতা 22 এবং ঈসা আল মসীহর
উত্তরাধিকার
তবে উপরোক্ত
টেবিলের গীতসংহিতা 22 আয়াত 18 এর সঙ্গে শেষ হয় না – এটি চলতে থাকে I এখানে লক্ষ্য
করুন শেষে এটি কতটা জয়যুক্ত – ম্র্ত্যুর পরে!
26 দরিদ্র লোকরা খেয়ে তৃপ্ত হবে| তোমরা যারা প্রভুকে খুঁজছ, তারা তাঁর প্রশংসা কর! তোমাদের অন্তঃকরণ চিরজীবি হউক! 27 তোমরা, সুদূর দেশগুলির জনগণ, প্রভুকে মনে রেখো এবং তাঁর কাছে ফিরে এস! য়ে সব মানুষ বিদেশে থাকে তারাও য়েন প্রভুরই উপাসনা করে| 28 কেন? কারণ প্রভুই রাজা| তিনি সব জাতিকে শাসন করেন| 29 বলিষ্ঠ এবং সুদেহী লোকেরা আহারান্তে ঈশ্বরের কাছে প্রণিপাত করবে| বস্তুতঃ সকলে যারা মারা যাবে এবং যারা ইতিমধ্যেই মারা গেছে তারা সকলেই ঈশ্বরের কাছে অবনত হবে! 30 এবং ভবিষ্যতে আমাদের উত্তরপুরুষরা প্রভুর সেবা করবে| লোকে চিরদিন তাঁর কথা বলবে| 31 প্রত্যেকটি প্রজন্ম তাদের শিশুদের কাছে ঈশ্বর য়ে ভাল জিনিসগুলি করেছেন সে সম্পর্কে বলবে|
গীত সংহিতা 22:26-31
এটি এই ব্যক্তির
মৃত্যুর বিশদ সম্পর্কে কথা বলছে না I ওটিকে গীসংহিতার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছিল I
নবী দায়ূদ পিবিইউএইচ এখন আরও ভবিষ্যতের দিকে দেখছেন এবং এই ব্যক্তির মৃত্যুর
প্রভাবকে ‘উত্তরপুরুষ’ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের’ উপরে সম্বোধন করছেন (আয়াত 30) I
অর্থাৎ ঈসা আল মসীহর পরে আমরা 2000 বছর বেঁচে আছি I দায়ূদ আমাদের বলছেন যে
‘উত্তরপুরুষ’ এই ‘হস্তপদ বিদ্ধ’ মানুষটিকে অনুসরণ করে, যে এই ধরণের এক ভয়ংকর
মৃত্যু বরণ করেন তাঁকে ‘সেবা’ করবে এবং ‘তাঁর সম্বন্ধে বলা হবে’ I আয়াত 27 সীমাটির
সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করে – এরা ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্তে’ এবং ‘জাতিগণের সকল
পরিবারের’ মধ্যে যাবে এবং তাদেরকে ‘সদাপ্রভুর দিকে ফেরাবে’ I আয়াত 29 সংকেত দেয়
কিভাবে তারা ‘যারা নিজেদেরকে (আমাদের সবাই) জীবিত রাখতে পারে না’ একদিন তাঁর সামনে
জানু পাতবে I এই মানুষটির ধার্মিকতাকে লোকেদের কাছে ঘোষণা করা হবে যারা তাঁর মৃত্যুর
সময়ে তখনও জীবিত (‘এখনও অজাত’) ছিল না I
ইঞ্জিলটিকে
গীতসংহিতা 22 এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তৈরী করা হয়েছিল কিনা এর সাথে এই শেষের কোনো
সম্পর্ক নেই কেননা এটি এখন আরও অধিক পরবর্তী ঘটনাগুলোর সম্বন্ধে আলোচনা করছে –
যেগুলো আমাদের সময়ের I প্রথম শতাব্দীর ইঞ্জিল লেখকরা ঈসা আল মসীহর মৃত্যুর প্রভাব
আমাদের সময়ের মধ্যে তৈরী করতে পারেন নি I অবিশ্বাসীদের যৌক্তিকতা ঈসা আল মসীহর
দীর্ঘমেয়াদী, বিশ্বব্যাপী উত্তরাধিকারের ব্যাখ্যা দেয় না যা গীতসংহিতা 22 সঠিকভাবে
3000 বছর পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I
কোরআন – আল্লাহর দ্বারা প্রদত্ত দায়ূদের পূর্বজ্ঞান
গীতসংহিতা 22 এর শেষে এই জয়যুক্ত প্রশংসা একদম তাই যা কোরআনের
সুরা সাবা এবং আন-নমল (সাবা 34 পিপড়া 27)বোঝায় যখন এটি দায়ূদের অনুপ্রাণিত
গীতসংহিতার সম্বন্ধে বলে যে:
আমি দাউদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম এই আদেশ মর্মে যে, হে পর্বতমালা, তোমরা দাউদের সাথে আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং হে পক্ষী সকল, তোমরাও। আমি তাঁর জন্য লৌহকে নরম করে
ছিলাম।সুরা সাবা 34:10
আমি দাউদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম এই আদেশ মর্মে যে,
হে পর্বতমালা,
তোমরা দাউদের সাথে
আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং হে পক্ষী সকল, তোমরাও। আমি তাঁর
জন্য লৌহকে নরম করে ছিলাম।
আমি অবশ্যই দাউদ ও সুলায়মানকে জ্ঞান দান করেছিলাম। তাঁরা বলে ছিলেন, আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আমাদেরকে তাঁর অনেক মুমিন বান্দার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।সুরা আন-
নমল 27:15
আমি অবশ্যই দাউদ ও সুলায়মানকে জ্ঞান দান করেছিলাম। তাঁরা বলে ছিলেন,
আল্লাহর প্রশংসা,
যিনি আমাদেরকে তাঁর
অনেক মুমিন বান্দার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
যেমন এটি বলে. আল্লাহ দায়ূদকে জ্ঞান ও
অনুগ্রহ দিয়েছিলেন ভবিষ্যতকে দেখতে এবং ওই জ্ঞানের সাহায্যে তিনি গীতসংহিতার মধ্যে
লিপিবদ্ধ প্রশংসার গীত গেয়েছিলেন I
এখন সুরা আল-ওয়াকিয়া (সুরা 56 –অপরিহার্য)
এর মধ্যে উত্থিত প্রশ্নটির সম্বন্ধে এখন বিবেচনা করুন I
অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়।এবং তোমরা তাকিয়ে থাক,তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়,তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ?
সুরা আল-ওয়াকিয়া 56:83-87
মৃত্যুর থেকে প্রাণকে কে ডাকতে পারে? আল্লাহর থেকে মানুষের
কার্যকে আলাদা করতে এই চ্যালেঞ্জটি দেওয়া হয়েছে I তবুও সুরা আল-ওয়াকিয়া ঠিক তাই যা
গীতসংহিতা 22 বর্ণনা করে – এবং এটি ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ কার্যকে পূর্বাভাষ বা
ভবিষ্যদ্বাণী করার দ্বারা এইরকম করে I
গীতসংহিতা 22 এর তুলনায় ঈসা আল মসীহর ক্রুশারোপনের ফলাফল সম্বন্ধে কেউ এর থেকে ভাল ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না I পৃথিবীর ইতিহাসে আর কে আছে যে তাঁর মৃত্যুর পাশাপাশি তাঁর জীবনের উত্তরাধিকার সম্বন্ধে বিস্তৃত বিবরণকে যা তাঁর জন্মের 1000 বছর পূর্বে অদূর ভবিষ্যতে ঘটবে বলে দাবি করতে পারে? যেহেতু সুদুর ভবিষ্যত সম্পর্কে এত বিস্তৃতভাবে বলা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় সেইহেতু ঈসা আল মসীহর কোরবানী “ঈশ্বরের ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা এবং পুর্বজ্ঞানের” দ্বারা ছিল I
অন্যান্য নবীরা ঈসা আল মসীহর
কোরবানীর সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে
‘একটি পুত্র এক কুমারীর থেকে জন্মগ্রহণ করবে’ যাকে যিশাইয় 700 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে
ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং তিনি পাপ রহিত এক সিদ্ধ জীবন অতিবাহিত করবেন I
কেবলমাত্র এক সিদ্ধ জীবনকে অন্য কারোর জন্য কোরবানীতে উৎসর্গ করা যেতে পারে I ওই ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতায় ঈসা আল মসীহ জন্মগ্রহণ
করেছিলেন, সেই পবিত্র জীবন যাপন করেছিলেন
I
নবী যিশাইয়,
যিরমিয় এবং সখরিয় একজনের আগমন সম্বন্ধে এক ধারাবাহিক ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছিলেন
যাকে ঈসার জন্মের 500 বছর পূর্বে – সঠিকভাবে ঈসা নাম দিয়েছিলেন I সখরিয়
ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে একদিন লোকেদের পাপ অপসারিত হবে I ঈসা নিজেকে বলি হিসাবে
উৎসর্গ করেছিলেন আর তাই ‘একদিনে’ এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর পূর্ণতার মধ্য দিয়ে পাপের
প্রায়শ্চিত্ত হল I
নবী দানিয়েল মসীহর আগমনের জন্য ঠিক 480-বছরের একটি সময়
সূচীর সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ভবিষ্যদ্বাণীর সূচী অনুসারে ঈসা সঠিক সময়ে
উপস্থিত হয়েছিলেন I
মসীহর আগমনের পরে, নবী দানিয়েল লিখেছিলেন যে তাঁকে
‘বিচ্ছিন্ন করা হবে আর কিছুই থাকবে না’ I এটি ঈসা আল মসীহর আসন্ন মৃত্যুর সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যেমন
তাঁকে জীবন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন করা’ হয়েছিল I
নবী যিশাইয় অনেক বিস্তৃতভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন কিভাবে
মসীহ অত্যাচার, প্রত্যাখ্যান, আমাদের পাপের জন্য বিদ্ধ হয়ে, এক মেষশাবকের ন্যায়
বধ হয়ে, আমাদের পাপের নিমিত্ত তাঁর জীবন উৎসর্গীকৃত হয়ে, ‘জীবিতের দেশ থেকে
বিচ্ছিন্ন হবেন’, তবে পরে তিনি আবার ‘জীবন’ দেখবেন এবং বিজয়ী হবেন I এই সমস্ত
বিস্তৃত ভবিষ্যদ্বাণীগুলো পূর্ণ হয়েছিল যখন
ঈসা আল মসীহ ক্রুশারোপিত হলেন এবং মৃত্যু
থেকে উঠলেন I এ জাতীয় বিবরণগুলোকে 700 বছর পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করতে
পারা এক মহান চিহ্ন ছিল যে এটি আল্লাহর পরিকল্পনা ছিল I
নবী ইউনুস বিশাল মাছের ভেতরে থাকার সময়ে কবরের অভিজ্ঞতা
লাভ করেছিলেন I এই একটি চিত্র ছিল যাকে ঈসা আল মসীহ ব্যাখা করতেন যে সেই একই
ভাবে তিনিও মৃত্যুর অভিজ্ঞতা লাভ করবেন I
ঈসা আল মসীহ সখরিয়র একটি ভবিষ্যদ্বাণীকে উল্লেখ করেন যে
তিনি ‘মৃত্যুর বন্দিদের’ (যারা ইতিমধ্যেই মারা গেছে) মুক্ত করবেন I মৃত্যুতে প্রবেশ করা এবং সেখানে যারা
আটকে আছে তাদেরকে মুক্ত করার তাঁর মিশন সম্বন্ধে নবীদের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা
হয়েছিল I
এই অনেক ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর সাথে, নবীরা যারা কয়েকশত বছরের ব্যবধানে নিজেরা আলাদা হয়েছিল, বিভিন্ন দেশ সমূহে বাস করছিল, বিভিন্ন পৃষ্ঠভূমি ছিল, তবুও সকলে তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মাধ্যমে ঈসা আল মসীহর মহান বিজয়ের কিছু অংশের উপরে ভবিষ্যদ্বাণী করতে মনোনিবেশ করেছিল – এটিই স্বাক্ষ্য যে এটি আল্লাহর পরিকল্পনা অনুসারে ছিল I এই কারণে, ঈসা আল মসীহর শিষ্যদের নেতা পিতর, শ্রোতাদের বললেন:
18 কিন্তু ভাববাদীদের মাধ্যমে ঈশ্বর তাঁর খ্রীষ্টের দুঃখভোগের কথা যা জানিয়েছেন, সে সবই তিনি এইভাবে পূর্ণ করেছেন৷
প্রেরিতের কার্য 3:18
ঠিক তার
অব্যবহিত পরে পিতর এটি বললেন, তিনি তখন ঘোষণা করলেন:
19 তাই আপনারা মন-ফিরান এবং ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসুন, য়েন আপনাদের পাপ মুছে দেওযা হয়৷
প্রেরিতের কার্য 3:19
আমাদের জন্য আশীর্বাদের প্রতিশ্রুতি আছে যে আমরা আমাদের পাপ সমূহকে ‘মুছে ফেলতে পারি’ I আমরা এখানে দেখব এর অর্থ কি I
ইঞ্জিল ঘোষণা করে যে ক্রুশারোপন এবং নবী ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ পুনরুত্থান আল্লাহর পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল I নবীর ক্রুশারোপনের ঠিক 50 দিন পরে, পিতর যিনি তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে নেতা, প্রকাশ্যে ঈসা আল মসীহর সম্পর্কে এই ঘোষণা করলেন:
23 যীশুকে আপনাদের হাতে সঁপে দেওযা হল, আর আপনারা তাঁকে হত্যা করলেন৷ মন্দ লোকদের দিয়ে আপনারা তাঁকে ক্রুশের উপর পেরেক বিদ্ধ করলেন৷ ঈশ্বর জানতেন য়ে এসব ঘটবে; আর তাই ছিল ঈশ্বরের পরিকল্পনা, যা তিনি বহুপূর্বেই নিরূপণ করেছিলেন৷ 24 যীশু মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করলেন, কিন্তু ঈশ্বর সেই বিভীষিকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করলেন৷ ঈশ্বর যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে তুলে আনলেন৷ মৃত্যু যীশুকে তার কবলে রাখতে সক্ষম হল না৷
প্রেরিতের কার্য 2:23-24
পিতরের বার্তার পরে, কয়েক সহস্র বিশ্বাস করল এবং বার্তাটিকে সেই দিনের পৃথিবীর চতুর্দিকের বিরাট সংখ্যক লোকেদের দ্বারা আলিঙ্গন করা হ’ল – সকলে কোনো রকম বাধ্যতা ছাড়াই I ব্যাপক স্বীকৃতির কারণ ছিল তাওরাত এবং যাবুরের নবীদের রচনা সমূহ যা কয়েকশত বছর পূর্বে লেখা হয়েছিল I লোকেরা এই শাস্ত্র বাক্যগুলো পরীক্ষা করল দেখতে তারা কি বাস্তবিকই ঈসা আল মসীহর আগমন, মৃত্যু এবং পুনরুত্থান সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I এইগুলো আজকে উপলব্ধ সেই একই অপরিবর্তিত শাস্ত্র বাক্য যাকে আমরাও অনুসন্ধান করতে এবং দেখতে পারি এটি কি ‘ঈশ্বরের ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা এবং পুর্বজ্ঞান’ ছিল যেমন পিতর ঘোষণা করেছিলেন I ইঞ্জিলের প্রথম শ্রোতারা আদম এবং ছয় দিনের সৃষ্টির দিকে যতটা সম্ভব ফিরে তাওরাত থেকে যা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন তার কিছু সংক্ষিপ্ত বিবরণ আমরা এখানে দিয়েছি, যেমন তারা
“…প্রত্যেক দিন শাস্ত্র বাক্য পরীক্ষা করত…
প্রেরিতের কার্য 17:11
তারা সতর্কভাবে শাস্ত্র বাক্য পরীক্ষা
করত কারণ প্রেরিতদের বার্তা তাদের কাছে অদ্ভূত এবং নতুন ছিল I যে বার্তাগুলো
আমাদের কানে নতুন এবং অদ্ভূত তা প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমরা পক্ষপাতদুষ্ট I আমরা
সবাই এটি করি I তবে, এই বার্তাটি যদি আল্লাহর থেকে হত, এবং এবং তারা এটিকে
অস্বীকার করত, তবে সুরা আল-গাশিয়াহর সাবধানবাণী (সুরা 88 – অপ্রতিরোধ্য) তাদের
উপরে নেমে আসত I
তবে সেই মুখের সুবিধাপ্রাপ্তির সুবিধা এবং কাফেররা হ’ল, মহা আযাব দেবেন আল্লাহনিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।
সুরা আল-গাশিয়াহ 88:23-26
23 কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের
হয়ে যায়, 24 আল্লাহ
তাকে মহা আযাব দেবেন। 25 নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট, 26 অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ
আমারই দায়িত্ব।
তারা জানত যে এই অপরিচিত বার্তাটি আল্লাহর থেকে ছিল কিনা তা নির্ধারণ করার
সঠিক উপায়টি ছিল নবীদের রচনার বিরুদ্ধে এই বার্তাটি পরীক্ষা করা I এটি তাদের একটি
বার্তার অস্বীকার করার আল্লাহর শাস্তির থেকে নিরাপদ রাখত I আমরা তাদের উদাহরণ
অনুসরণ করতে বুদ্ধিমান হব এবং তাই
শাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে নবী ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের বার্তা
পূর্বের লেখায় পূর্ব নির্ধারিত ছিল কিনা
I আমরা তাওরাত দিয়ে আরম্ভ করি:
আল্লাহর পূর্বজ্ঞান তাওরাতের
শুরু থেকে এবং কোরআনের মধ্যে
প্রকাশিত হয়েছিল
তাওরাতের প্রথম
পাতা থেকে আমরা দেখতে পারি যে ঈসা আল মসীহর পিবিইউএইচ দিনগুলো এবং তাঁর বলিদান
আলাহর দ্বারা আগে থেকেই জানা ছিল I সমস্ত পবিত্র বইগুলোর (তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল
এবং কোরআন) মধ্যে কেবলমাত্র দুটি সপ্তাহ যেখানে সপ্তাহের প্রতিটি ধারাবাহিক
দিনের ঘটনা বর্ণিত হয় I তাওরাতের প্রথম দুটি অধ্যায়ে আল্লাহ ছয় দিনের মধ্যে কিভাবে সমস্তকিছু
সৃষ্টি করেছিলেন তার বিবরণ প্রথম এই ধরণের সপ্তাহ ছিল I লক্ষ্য করুন কোরআন কিভাবে সৃষ্টির ছয় দিনের উপরে জোর দেয়
I
নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র দৌড় স্বীয় আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।
সুরা আল-আ’রাফ 7:54
তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর।
সুরা আল-ফুরকান 25:59
আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক ও সুপারিশকারী নেই। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?
সুরা আস-সেজদাহ 32:4
আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।
সুরা কাফ 50:38
তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।
সুরা আল-হাদীদ 57:4
প্রতিদিনের ঘটনাবলীর বিবরণ সহ অন্য সপ্তাহটি নবী ঈসা আল মসীহর শেষ সপ্তাহ I অন্য কোনো নবীর সম্পর্কে, সে আব্রাহাম, মশি, দায়ূদ, এবং মোহম্মদ পিবিইউএইচ যেই হোন না কেন এক সম্পূর্ণ সপ্তাহের দৈনন্দিন কার্যকলাপকে বর্ণিত করা হয়নি I তাওরাতের শুরুতে সম্পূর্ণ সৃষ্টির সপ্তাহের বিবরণ এখানে দেওয়া হয়েছে I ঈসা আল মসীহর শেষ সপ্তাহের ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে আমরা গমন করেছি I এই টেবিলটি দুই সপ্তাহের প্রতিটি দিনের তুলনার জন্য পাশাপাশি রাখে I
সপ্তাহের
দিন
সৃজন সপ্তাহ
ঈসা আল মসীহর শেষ সপ্তাহ
দিন
1
সেখানে
অন্ধকার আর আল্লাহ বলেন, ‘দীপ্তি হোক’ আর এটি হ’ল I অন্ধকারের মধ্যে
দীপ্তি হয় I
মসীহ
যিরূশালেমে প্রবেশ করেন এবং বলেন “আমি জগতে জ্যোতি হিসাবে এসেছি …” অন্ধকারের
মধ্যে জ্যোতি আছে
দিন
2
আল্লাহ
পৃথিবীকে আকাশমন্ডল থেকে আলাদা করলেন
ঈসা
এক প্রার্থনার স্থান হিসাবে মন্দিরকে পরিষ্কার করার দ্বারা জগতের জিনিসগুলোকে
স্বর্গের থেকে আলাদা করেন
আদমকে একটি
অভিশাপ সহ ভাল মন্দ জ্ঞানের বৃক্ষ থেকে
দুরে থাকতে সাবধান করা হয় I
ঈসাকে একটি
গাছে পেরেকের দ্বারা বিদ্ধ এবং অভিশপ্ত করা
হয় I
(গালাতীয় 3:13)
কোনো প্রাণীকে
আদমের জন্য উপযুক্ত পাওয়া যায় না I আর
একজন ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল
নিস্তারপর্বের প্রাণীর
বলিদানগুলো পর্যাপ্ত ছিল না I এক ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল I (ইব্রীয় 10:4-5)
আল্লাহ আদমকে
গভীর নিদ্রার মধ্যে রাখেন
ঈসা মৃত্যুর
নিদ্রায় প্রবেশ করে
আল্লাহ আদমের
পার্শ্ব দিকে একটি ক্ষতর সৃষ্টি করেন
যার সাহায্যে তিনি হবাকে তৈরী করেন – আদমের বধু
ঈসার পার্শ্ব
দিকে এক ক্ষত সৃষ্টি করা হয় I তাঁর বলিদান থেকে ঈসা এক বধুকে জয় করে – তারা যার
মধ্যে থাকে I (প্রকাশিত বাক্য 21:9)
দিন
7
আল্লাহ কাজের
থেকে বিশ্রাম গ্রহণ করেন I দিনটিকে পবিত্র ঘোষণা করা হয়
ঈসা মৃত্যুর
মধ্যে বিশ্রাম গ্রহণ করেন
এই দুই সপ্তাহের জন্য প্রতিটি দিনের ঘটনাগুলো একে অপরের আয়নার চিত্রগুলোর মতন I তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে I এই সপ্তাহ দুটির উভয়ের শেষে, নতুন জীবনের প্রথম ফল ফুটতে এবং একটি নতুন সৃষ্টির মধ্যে বহুগুণিত হতে প্রস্তুত I আদম এবং ঈসা আল মসীহ একে অপরের বিপরীত চিত্র I কোরআন ঈসা আল মসীহ এবং আদমের সম্পর্কে কথা বলে:
ঈশ্বরের সামনে যীশুর সাদৃশ্য আদমের মতন; তিনি তাকে ধুলির থেকে সৃষ্টি করলেন, তারপর তাকে বললেন: “হও” আর সে হয়ে গেল I
সুরা আল-ইমরান 3:59
ইঞ্জিল আদমের সম্বন্ধে বলে যে
… আদম সেই ভাবী ব্যক্তির প্রতিরূপ
রোমীয় 5:14
এবং
21 কারণ একজন মানুষের মধ্য দিয়ে য়েমন মৃত্যু এসেছে, মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানও তেমনিভাবেই একজন মানুষের দ্বারা এসেছে৷ 22 কারণ আদমে য়েমন সকলের মৃত্যু হয়, ঠিক সেভাবে খ্রীষ্টে সকলেই জীবন লাভ করবে৷
1 করিন্থীয়ান 15:21-22
এই দুই সপ্তাহকে
তুলনা করার দ্বারা আমরা দেখি যে আদম ঈসা আল মসীহর এক বিপরীত প্রতিরূপ ছিল I
আল্লাহর কি পৃথিবীর সৃষ্টি করতে ছয় দিন নেওয়ার প্রয়োজন ছিল? তাহলে কেন তিনি সেই
পদ্ধতিতে সৃষ্টি করলেন যেভাবে তিনি করেছিলেন? কেন আল্লাহ সপ্তম দিনে বিশ্রাম গ্রহণ করলেন যখন তিনি ক্লান্ত
ছিলেন না? তিনি সমস্ত
কিছু সেই পদ্ধতি এবং শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে করলেন যাতে ঈসা আল মসীহর চূড়ান্ত
কার্যকলাপ সৃজন সপ্তাহের দৈনন্দিন
কার্যাবলীর মধ্যে প্রত্যাশিত হয় I ছয় দিন সম্পর্কে এটি বিশেষভাবে সত্য I আমরা প্রত্যক্ষভাবে
বাক্যগুলোর মধ্যে প্রতিরূপকে দেখতে পারি I উদাহারণস্বরূপ, শুধুমাত্র ‘ঈসা আল মসীহ’
মারা গেলেন’ বলার বদলে ইঞ্জিল বলে তিনি ‘শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করলেন’, আদমের একটি
প্রত্যক্ষ বিপরীত প্রতিরূপ যে ‘প্রাণবায়ু’ পেয়েছিল I এই ধরনের একই প্রতিরূপ শুরু
থেকে ‘পূর্ব জ্ঞানের’ সম্বন্ধে বলে, ঠিক যেমন পিতর ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থানের পরে
শুরু করলেন I
তাওরাতের মধ্যে পরবর্তী চিত্রগুলো
এরপরে তাওরাত
নির্দিষ্ট ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করে এবং বিধি সমূহ স্থাপন করে যা চিত্র রূপে কাজ করে যা নবী ঈসা আল মসীহর
আসন্ন কোরবানীর দিকে ইঙ্গিত দেয় I আল্লাহর
পরিকল্পনার পূর্ব জ্ঞানকে আমাদেরকে বুঝতে সাহায্য করতে এগুলোকে দেওয়া হয়েছিল I এই
মাইলস্টোন সমূহের কয়েকটির দিকে আমরা তাকিয়ে ছিলাম I নিচের টেবিলটি তার
সংক্ষিপ্তসার করে এই মহান চিহ্নগুলোর সাথে সংযুক্ত করে যাকে ঈসা আল মসীহর পূর্বে
কয়েক হাজার বছর ধরে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল I
তাওরাতের
চিহ্ন
কিভাবে
এটি ঈসা আল মসীহর আসন্ন কোরবানীর পরিকল্পনাকে প্রকাশ করে
আল্লাহ যখন
আদমের মুখোমুখি হলেন তার অবাধ্যতার পরে তিনি এক একক পুরুষ বংশধরের কথা বললেন যে
আসবে (কেবলমাত্র) এক স্ত্রীর (এইরূপে এক কুমারী জন্ম) থেকে I এই বংশধর শয়তানকে
চূর্ণ করবে তবে প্রক্রিয়ার মধ্যে স্বয়ং আঘাত পাবে I
মৃত্যুর এক
কোরবানীর দরকার ছিল I কাবিল শাকসবজির
(যার মধ্যে মন প্রাণ নেই) কোরবানী দিল তবে হাবিল এক প্রাণীর জীবন উৎসর্গ করল I
এটি আল্লাহর দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল I এটি ঈসা আল মসীহর কোরবানীর সম্বন্ধে
আল্লাহর পরিকল্পনাকে চিত্রিত করেছিল I
অবস্থানটির সাথে সাথে
চিত্রটি আরও বিশদ বিবরণ অর্জন করে
যেখানে নবী আব্রাহাম তার পুত্রের কোরবানী দিলেন যেটি সেই একই অবস্থান ছিল
যেখানে কয়েক হাজার বছর পরে ঈসা আল মসীহকে কোরবানী দেওয়া হবে, এবং নবী ইব্রাহিম
সেই ভবিষ্যতের কথা বলেছিলেন I পুত্রকে মরতে ছিল তবে শেষ মুহুর্তে মেষশাবকটিকে
বিকল্প করা হল যাতে পুত্র বাঁচতে পারে I এটি চিত্রিত করল কিভাবে ‘ঈশ্বরের
মেষশাবক’ ঈসা আল মসীহ নিজেকে কোরবানী দেবেন যাতে আমরা বেঁচে থাকতে পারি I
আল্লাহর
পরিকল্পনার আরও বিবরণ সমূহ প্রকাশিত হয় যখন মেষশাবকগুলোকে একটি নির্দিষ্ট দিনে
কোরবানী দেওয়া হয় – নিস্তারপর্বের দিনে I মিশরের ফরৌণ, যিনি একটি মেষশাবক
কোরবানী দেন নি মৃত্যুর অভিজ্ঞতা লাভ করলেন I তবে ইস্রায়েলীয়রা যারা মেষশাবকের
কোরবানী দিল তারা মৃত্যু থেকে রক্ষা পেল I কয়েকশত বছর পরে ক্যালেন্ডারের মধ্যে
ঠিক সেই একই দিনে ঈসা আল মসীহর কোরবানী দেওয়া হ’ল – নিস্তারপর্বের দিনে I
হারোণ প্রানীদের নির্দিষ্ট
বিধিগত কোরবানী প্রতিষ্ঠিত করলেন I ইস্রায়েলীয়রা যারা পাপ করত তারা তাদের পাপের
প্রায়শ্চিত্ত করতে কোরবানী দিতে পারত I তবে কোরবানী সংক্রান্ত মৃত্যুর প্রয়োজন
ছিল I লোকেদের পক্ষে কেবলমাত্র যাজকরা কোরবানী দিতে পারত I এটি ঈসা আল মসীহকে তাঁর যাজকের ভূমিকায় প্রত্যাশিত করেছিল যিনি কোরবানীর মধ্যে আমাদের জন্য তাঁর
জীবন দান করবেন I
যেহেতু নবী মশির
পিবিইউএইচ তাওরাত এত স্পষ্টভাবে নবী ঈসা আল মসীহর আগমন সম্পর্কে নির্দেশ করল তাই
এটি এর সম্পর্কে বলে:
বিষ্যতে য়ে সকল উত্কৃষ্ট বিষয় আসবে, বিধি-ব্যবস্থা হচ্ছে তারই অস্পষ্ট ছায়া মাত্র৷ বিধি-ব্যবস্থা ঐসব বিষয়ের বাস্তবরূপ নয়৷ তাই যাঁরা ঈশ্বরের উপাসনা করতে আসে, বছর বছর তারা একই রকম বলিদান বারবার করে, কিন্তু বিধি-ব্যবস্থা সেই লোকদের সিদ্ধি দিতে পারে না৷
ইব্রীয় 10:1
এবং ঈসা আল মসীহ
তাদেরকে সাবধান করলেন যারা তাঁর মিশনে বিশ্বাস করল না:
43 আমি আমার পিতার নামে এসেছি, তবু তোমরা আমায় গ্রহণ করো না; কিন্তু অন্য কেউ যদি তার নিজের নামে আসে তাকে তোমরা গ্রহণ করবে৷ 44 তোমরা কিভাবে বিশ্বাস করতে পারো? তোমরা তো একজন অন্য জনের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে চাও৷ আর য়ে প্রশংসা একমাত্র ঈশ্বরের কাছে থেকে আসে আর খোঁজ তোমরা করো না৷ 45 মনে করো না য়ে আমিই সেই ব্যক্তি য়ে পিতার কাছে তোমাদের ওপর দোষারোপ করব৷ তোমাদের সাহায্য করবেন বলে য়ে মোশির উপর তোমরা আশা রাখো তিনিই তোমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন৷ 46 তোমরা যদি মোশিকে বিশ্বাস করতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করতে, কারণ মোশি তা আমার বিষয়েই লিখেছেন৷ 47 তোমরা যখন মোশির লেখায় বিশ্বাস করো না, তখন আমি যা বলি তা কেমন করে বিশ্বাস করবে?’
যোহন 5:43-47
এছাড়াও ঈসা আল
মসীহ তাঁর অনুগামীদের তাদেরকে তাঁর মিশনকে বুঝতে সাহায্য করতে বললেন
4 তিনি তাঁদের বললেন, ‘আমি যখন তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, তখনই তোমাদের এসব কথা বলেছিলাম, আমার সম্বন্ধে মোশির বিধি-ব্যবস্থায়, ভাববাদীদের পুস্তকে ও গীতসংহিতায় যা কিছু লেখা হয়েছে তা পূর্ণ হতেই হবে৷’
লুক 24:44
নবী স্পষ্টভাবে বললেন যে কেবলমাত্র তাওরাত নয়, বরং ‘নবীদের এবং গীতসংহিতার’ লেখাগুলোও তাঁর সম্বন্ধে ছিল I আমরা এটিকে এখানে দেখব I যেখানে তাওরাত ঘটনাগুলোকে তাঁরা আগমনের চিত্র রূপে ব্যবহার করেছিলেন, এই পরবর্তী নবীরা তাঁর আসন্ন মৃত্যু এবং ফিরিস্তি হিসাবে পুনরুত্থান সম্বন্ধে সরাসরি লিখলেন
এখানে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে আমাদের কাছে ঈসা আল মসীহ দ্বারা প্রদত্ত অনন্ত জীবনের উপহারকে পাওয়া যাবে I
সুরা
আল-রা’দ (সুরা 13 – বজ্র) অবিশ্বাসীদের থেকে একটি সাধারণ চ্যালেঞ্জ বা সমালোচনা
বর্ণনা করে
যদি আপনি বিস্ময়ের বিষয় চান, তবে তাদের একথা বিস্ময়কর যে, আমরা যখন মাটি হয়ে যাব, তখনও কি নতুন ভাবে সৃজিত হব? এরাই স্বীয় পালনকর্তার সত্তায় অবিশ্বাসী হয়ে গেছে, এদের গর্দানেই লৌহ-শৃংখল পড়বে এবং এরাই দোযখী এরা তাতে চিরকাল
থাকবে।সুরা আর-রা’দ 13:5,7
5 যদি আপনি বিস্ময়ের বিষয়
চান, তবে
তাদের একথা বিস্ময়কর যে, আমরা যখন মাটি হয়ে যাব, তখনও
কি নতুন ভাবে সৃজিত হব? এরাই স্বীয় পালনকর্তার সত্তায় অবিশ্বাসী হয়ে গেছে, এদের
গর্দানেই লৌহ-শৃংখল পড়বে এবং এরাই দোযখী এরা তাতে চিরকাল থাকবে। 7 কাফেররা বলেঃ
তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? আপনার
কাজ তো ভয় প্রদর্শন করাই এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যে পথপ্রদর্শক হয়েছে।
এটি
দুটি খন্ডে আসে I সুরা আর-রা’দ 5 আয়াতের মধ্যে অবিশ্বাসীরা জিজ্ঞাসা করে
পুনরুত্থান কি কখনও ঘটবে I তদের দৃষ্টিকোণ থেকে, যেহেতু এটি আগে কখনও ঘটেনি, এটি
ভবিষ্যতে ঘটবে না I তারপরে তারা জিজ্ঞাসা করে কেন কোনো আশ্চর্যজনক চিহ্ন দেওয়া হল
না বৈধ করতে যে একটি পুনরুত্থান ঘটবে I এক প্রকৃত অর্থে তারা বলে, “এটিকে প্রমাণ
কর!”
সুরা
আল-ফুরকান (সুরা 25 – মাপদণ্ড) এই একই চ্যালেঞ্জকে একটু অল্প ভিন্নভাবে দেখায় I
তারা তো সেই জনপদের উপর দিয়েই যাতায়াত করে, যার ওপর বর্ষিত হয়েছে মন্দ বৃষ্টি। তবে কি তারা তা প্রত্যক্ষ করে না? বরং তারা পুনরুজ্জীবনের আশঙ্কা করে না।
সুরা আল-ফুরকান 25:40-41
40 তারা তো সেই জনপদের উপর দিয়েই
যাতায়াত করে, যার ওপর বর্ষিত হয়েছে মন্দ বৃষ্টি। তবে কি তারা তা
প্রত্যক্ষ করে না? বরং তারা
পুনরুজ্জীবনের আশঙ্কা করে না। 41 তারা যখন আপনাকে দেখে, তখন
আপনাকে কেবল বিদ্রুপের পাত্ররূপে গ্রহণ করে, বলে, এ-ই
কি সে যাকে আল্লাহ ‘রসূল’ করে প্রেরণ করেছেন?
আসন্ন
পুনরুত্থানের কোনো ভয় নেই, নাতো নবী পিবিইউএইচ থেকে I তারা পুনরুত্থান দেখানোর
দাবি করে I
সুরা
আল-ফুকরানও প্রকাশিত করে কিভাবে আল্লাহ অবিশ্বাসীদের দেখেন I
তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজেদের ভালও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনের ও তারা মালিক নয়।
সুরা আল-ফুরকান 25:3
তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না
এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজেদের ভালও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনের ও তারা মালিক নয়।
সুরা আল-ফুরকান প্রকাশ করে যে লোকেরা প্রায়শই মিথ্যা ঈশ্বরদের গ্রহণ করে I
কিভাবে কেউ জানে সত্যের চেয়ে মিথ্যা ঈশ্বর কি? আয়াত উত্তরটি দেয় I মিথ্যা ঈশ্বরেরা
‘মৃত্যু, নাতো জীবন আর নাতো পুনরুত্থানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে’ I একটি
পুনরুত্থানকে নিয়ন্ত্রণ করা = যা মিথ্যাকে সত্যের থেকে আলাদা করে I
বিশ্বাসীদের থেকে আল্লাহ এবং তাঁর প্রেরিতদের কি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হ’ল প্রমাণ
করতে উপেক্ষা করতে পারার থেকে কিসে ভয় করা উচিত, বা আল্লার থেকে অবিশ্বাসীদের
প্রতি সতর্কতা দেওয়া উচিত কিনা যাতে মিথ্যা নয় সত্যের আরাধনা করা যায়, পরিমাপের
মানদণ্ড একই – পুনরুত্থান I
পুনরুত্থানের জন্য প্রয়োজন চূড়ান্ত কর্ত্তৃত্ব এবং ক্ষমতা I নবী সকল আব্রাহাম
পিবিইউএইচ, মশি পিবিইউএইচ, দায়ূদ পিবিইউএইচ এবং মোহম্মদ পিবিইউএইচ – যদিও তারা
মহান ছিলেন – মৃত্যুর উপরে পুনরুত্থিত হন নি I মানুষদের মধ্যে সবথেকে জ্ঞানী –
সক্রেটিস, আইনস্টাইন, নিউটন, এবং শলোমন – কেউই হননি I গ্রীক, রোমীয়, বাইজেন্টাইন,
উমাইয়াদ, অব্বিসাদ, মামলুক এবং অটোমান সাম্রাজ্যের সিংহাসনে রাজত্বকারী কোনো
সম্রাটরা মৃত্যুকে পরাস্ত করে পুনরুত্থিত হননি I এটি চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ I এটি এমন
চ্যালেঞ্জ যার মুখোমুখি হতে ঈসা আল মসীহ পছন্দ করেছিলেন I
তিনি রবিবারের ভোরের আগে বিজয় অর্জন করেছিলেন I ভোর বেলায় মৃত্যুর উপরে তাঁর
বিজয় আপনার এবং আমার জন্যও একটি বিজয় ছিল I এই জগতের দুষ্টতার দ্বারা আমাদের বন্দী
হওয়ার আর কোনো প্রয়োজন নেই I যেমন সুরা আল-ফলক (সুরা 113 – দিবসভঙ্গ) অনুরোধ
করে:
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, ()
সুরা আল-ফালাক 113:1-3
1 বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, 2 তিনি যা সৃষ্টি
করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, 3 অন্ধকার রাত্রির
অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয় I
এখানে আমরা পর্যালোচনা করব কিভাবে এই নির্দিষ্ট ভোরকে কয়েকশ বছর আগে তাওরাতের
প্রথম ফলের উৎসবের পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, এবং কিভাবে ভোরের প্রভু এই
জগতের দুষ্টতা থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করে I
ভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: প্রভুর মনোনীত উত্সবগুলিকে তোমরা পবিত্র সভা বলে ঘোষণা কর| এইগুলি হল আমার নির্দিষ্ট ছুটির দিন: 3 “ছদিন ধরে কাজ কর, কিন্তু সপ্তম দিন কর্মবিরতির জন্য নির্দিষ্ট বিশ্রামপর্ব হবে বিশ্রামের বিশেষ দিন| তোমরা অবশ্যই কোন কাজ করবে না| এটা তোমাদের সকলের বাড়ীতেই প্রভুর জন্য বিশ্রামের দিন হবে| 4 “এগুলি হল প্রভুর মনোনীত নিস্তারপর্ব| তোমরা এগুলির জন্য মনোনীত সমযে পবিত্র সভার কথা ঘোষণা করবে| 5 প্রভুর নিস্তারপর্বের দিন হল প্রথম মাসের 14 দিনের দিন সূর্য়াস্তের সময়|
লেবীয় 23:1-5
এটি কি অদ্ভূত
নয় যে ক্রুশারোপন এবং নবী ঈসা আল মসীহর বিশ্রাম উভয়ই 1500 বছর পূর্বে নির্ধারিত
পবিত্র উৎসব দুটির সঙ্গে হুবহু মিলে যায় যেমন কালপঞ্জির মধ্যে দেখানো হয়েছে? কেন
এটি? উত্তরটি আমাদের সকলের
কাছে পৌঁছয়, এমনকি যেভাবে আমরা প্রত্যেক দিন একে অপরকে এখন শুভেচ্ছা জানাই I
ঈসা আল মসীহর
মৃত্যু নিস্তার পর্বের উৎসর্গের দিনে ঘটছিল (দিন 6) এবং তাঁর বিশ্রাম বিশ্রাম
বারের বিশ্রামের দিনে ঘটেছিল (দিন 7)
নবী ঈসা আল মসীহ
এবং তাওরাতের উৎসবগুলোর মধ্যে এই সমন্বয় চলতে থাকে I উপরের তাওরাত থেকে ফিরিস্তি
কেবল প্রথম দুটি উৎসব নিয়ে আলোচনা করেছিল I পরের উৎসবটিকে ‘প্রথম ফল’ বলা
হত এবং তাওরাত এটির সম্পর্কে এই নির্দেশ দিয়েছিল I
9 প্রভু মোশিকে বললেন, 10 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: আমি তোমাদের যে দেশ দেবো তাতে তোমরা প্রবেশ করবে| তোমরা এর শস্য ছেদন করলে শস্যের প্রথম আঁটি ইস্রায়েলেজকের কাছে আনবে| 11 যাজক প্রভুর সামনে সেই আঁটি দোলাবে যেন তোমাদের জন্য তা গ্রাহ্য হয়| যাজক রবিবার সকালে সেই শস্যের আঁটি দোলাবে| 12 “যে দিন তোমরা শস্যের আঁটি দোলাবে, সেদিন তোমরা একটি এক বছর বযসী পুরুষ মেষ উপহার দেবে| সেই মেষের মধ্যে যেন কোন দোষ না থাকে| ঐ মেষটি প্রভুর কাছে হোমবলির নৈবেদ্য হবে| 13 এছাড়া তোমরা অবশ্যই অলিভ তেল মেশানো 16 কাপ মিহি ময়দা শস্য নৈবেদ্য হিসাবে দেবে| এর সাথে দেবে1 কোযার্ট দ্রাক্ষারস| সেই নৈবেদ্যর গন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| 14 ঈশ্বরের কাছে তা নৈবেদ্য হিসাবে না আনা পর্য়ন্ত তোমরা অবশ্যই কোন নতুন শস্য অথবা ফল বা নতুন শস্য থেকে তৈরী রুটি খাবে না| তোমরা যেখানেই বাস কর না কেন এই বিধি তোমাদের বংশ পরম্পরায চলবে|
লেবীয় 23:9-11,14
অতএব
নিস্তারপর্বের ‘বিশ্রামবারের পরের দিন’ একটি তৃতীয় পবিত্র দিন ছিল I প্রত্যেক বছর এই দিনে মহা যাজক পবিত্র
মন্দিরে প্রবেশ করতেন এবং বসন্ত কালের বিশেষ প্রথম পণ্য শস্যকে সদাপ্রভুর সামনে উত্তোলিত করতেন I এটি শীত কালের মৃত্যুর পরে নতুন
জীবনের সুচনাকে তাত্পর্যপূর্ণ করত, সামনের প্রাচুর্যপূর্ণ ফসলের দিকে তাকিয়ে থাকত
যাতে লোকেরা খেয়েপরে তৃপ্ত হতে পারে I
প্তাহের প্রথম দিন, সেই স্ত্রীলোকেরা খুব ভোরে ঐ সমাধিস্থলে এলেন৷ তাঁরা য়ে গন্ধদ্রব্য ও মশলা তৈরী করেছিলেন তা সঙ্গে আনলেন৷ 2 তাঁরা দেখলেন সমাধিগুহার মুখ থেকে পাথরখানা একপাশে গড়িয়ে দেওযা আছে; 3 কিন্তু ভেতরে ঢুকে সেখানে প্রভু যীশুর দেহ দেখতে পেলেন না৷ 4 তাঁরা যখন অবাক বিস্ময়ে সেই কথা ভাবছেন, সেই সময় উজ্জ্বল পোশাক পরে দুজন ব্যক্তি হঠাত্ এসে তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন৷ 5 ভয়ে তাঁরা মুখ নীচু করে নতজানু হয়ে রইলেন৷ ঐ দুজন তাঁদের বললেন, ‘যিনি জীবিত, তোমরা তাঁকে মৃতদের মাঝে খুঁজছ কেন? 6 তিনি এখানে নেই, তিনি পুনরুত্থিত হয়েছন৷ তিনি যখন গালীলে ছিলেন তখন তোমাদের কি বলেছিলেন মনে করে দেখ৷ 7 তিনি বলেছিলেন, মানবপুত্রকে অবশ্যই পাপী মানুষদের হাতে ধরিয়ে দেওযা হবে, তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ হতে হবে; আর তিন দিনের দিন তিনি আবার মৃত্যুর মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন৷’ 8 তখন যীশুর সব কথা তাঁদের মনে পড়ে গেল৷ 9 তারপর তাঁরা সমাধিগুহা থেকে ফিরে এসে সেই এগারো জন প্রেরিতকে ও তাঁর অনুগামীদের এই ঘটনার কথা জানালেন৷ 10 এই স্ত্রীলোকেরা হলেন মরিয়ম মগ্দলীনী, য়োহানা আর যাকোবের মা মরিয়ম৷ তাঁদের সঙ্গে আরো কয়েকজন এই সব ঘটনা প্রেরিতদের জানালেন৷ 11 কিন্তু প্রেরিতদের কাছে সে সব প্রলাপ বলে মনে হল, তাঁরা সেই স্ত্রীলোকদের কথা বিশ্বাস করলেন না৷ 12 কিন্তু পিতর উঠে দৌড়ে সমাধিগুহার কাছে গেলেন৷ তিনি নীচু হয়ে ঝুঁকে পড়ে দেখলেন, কেবল যীশুর দেহে জড়ানো কাপড়গুলো সেখানে পড়ে আছে; আর যা ঘটেছে তাতে আশ্চর্য হয়ে ঘরে ফিরে গেলেন৷ 13 ঐ দিনই দুজন অনুগামী জেরুশালেম থেকে সাত মাইল দূরে ইম্মাযু নামে একটি গ্রামে যাচ্ছিলেন৷ 14 এই য়ে সব ঘটনাগুলি ঘটে গেল, য়েতে য়েতে তাঁরা সে বিষয়েই পরস্পর আলোচনা করছিলেন৷ 15 তাঁরা যখন এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন, এমন সময় যীশু নিজে এসে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে চলতে লাগলেন৷ 16 ঘটনাটি এমনভাবেই ঘটল যাতে তাঁরা যীশুকে চিনতে না পারেন৷ 17 যীশু তাঁদের বললেন, ‘তোমরা য়েতে য়েতে পরস্পর কি নিয়ে আলোচনা করছ?’তাঁরা থমকে দাঁড়ালেন, তাঁদের খুবই বিপন্ন দেখাচ্ছিল৷ 18 তাঁদের মধ্যে ক্লিয়পা নামে একজন তাঁকে বললেন, ‘জেরুশালেমের অধিবাসীদের মধ্যে আমাদের মনে হয় আপনিই একমাত্র লোক, যিনি জানেন না গত কদিনে সেখানে কি কাণ্ডটাই না ঘটে গেছে৷’ 19 যীশু তাঁদের বললেন, ‘কি ঘটেছে, তোমরা কিসের কথা বলছ?’ তাঁরা যীশুকে বললেন, ‘নাসরতীয় যীশুর বিষয়ে বলছি৷ তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ, যিনি তাঁর কথা ও কাজের শক্তিতে ঈশ্বর ও সমস্ত মানুষের চোখে নিজেকে এক মহান ভাববাদীরূপে প্রমাণ করেছেন৷ 20 কিন্তু আমাদের প্রধান যাজকরা ও নেতারা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেবার জন্য ধরিয়ে দিল, তারা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করে মারল৷ 21 আমরা আশা করেছিলাম য়ে তিনিই সেই যিনি ইস্রায়েলকে মুক্ত করবেন৷ কেবল তাই নয়, আজ তিন দিন হল এসব ঘটে গেছে৷ 22 আবার আমাদের মধ্যে কয়েকজন স্ত্রীলোক আমাদের অবাক করে দিলেন৷ তাঁরা আজ খুব ভোরে সমাধির কাছে গিয়েছিলেন; 23 কিন্তু সেখানে তাঁরা যীশুর দেহ দেখতে পান নি৷ সেখান থেকে ফিরে এসে তাঁরা আমাদের বললেন য়ে তাঁরা স্বর্গদূতদের দর্শন পেয়েছেন, আর সেই স্বর্গদূতেরা তাঁদের বলেছেন য়ে যীশু জীবিত৷ 24 এরপর আমাদের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন সেই সমাধির কাছে গিয়েছিলেন; আর তাঁরা দেখলেন স্ত্রীলোকেরা যা বলেছেন তা সত্য৷ কিন্তু তাঁরা যীশুকে সেখানে দেখতে পান নি৷’ 25 তখন যীশু তাঁদের বললেন, ‘তোমরা সত্যি কিছু বোঝ না, তোমাদের মন বড়ই অসাড়, তাই ভাববাদীরা যা কিছু বলে গেছেন তোমরা তা বিশ্বাস করতে পার না৷ 26 খ্রীষ্টের মহিমায় প্রবেশ লাভের পূর্বে কি তাঁর এইসব কষ্টভোগ করার একান্ত প্রযোজন ছিল না?’ 27 আর তিনি মোশির পুস্তক থেকে শুরু করে ভাববাদীদের পুস্তকে তাঁর বিষয়ে যা যা লেখা আছে, শাস্ত্রের সে সব কথা তাঁদের বুঝিয়ে দিলেন৷ 28 তাঁরা য়ে গ্রামে যাচ্ছিলেন তার কাছাকাছি এলে পর যীশু আরো দূরে যাবার ভাব দেখালেন৷ 29 তখন তাঁরা যীশুকে খুব অনুরোধ করে বললেন, ‘দেখুন, বেলা পড়ে গেছে, এখন সন্ধ্যা হয়ে এল, আপনি আমাদের এখানে থেকে যান৷’ তাই তিনি তাঁদের সঙ্গে থাকবার জন্য ভেতরে গেলেন৷ 30 তিনি যখন তাঁদের সঙ্গে খেতে বসলেন, তখন রুটি নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন৷ পরে সেই রুটি টুকরো টুকরো করে তাঁদের দিলেন৷ 31 সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের চোখ খুলে গেল, তাঁরা যীশুকে চিনতে পারলেন, আর তিনি সেখান থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন৷ 32 তখন তাঁরা পরস্পর বলাবলি করলেন, ‘তিনি যখন রাস্তায় আমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ও শাস্ত্র থেকে আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন আমাদের অন্তর কি আবেগে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে নি?’ 33 তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে উঠে জেরুশালেমে গেলেন৷ সেখানে তাঁরা সেই এগারোজন প্রেরিত ও তাদের সঙ্গে আরো অনেককে দেখতে পেলেন৷ 34 প্রেরিত ও অন্যান্য যাঁরা সেখানে ছিলেন তাঁরা বললেন, ‘প্রভু, সত্যি জীবিত হয়ে উঠেছেন৷ তিনি শিমোনকে দেখা দিয়েছেন৷’ 35 তখন সেই দুজন অনুগামীও রাস্তায় যা ঘটেছিল তা তাঁদের কাছে ব্যক্ত করলেন৷ আর যীশু যখন রুটি টুকরো টুকরো করছিলেন তখন কিভাবে তাঁরা তাঁকে চিনতে পারলেন তাও জানালেন৷ 36 তাঁরা যখন এসব কথা তাদের বলছেন, এমন সময় যীশু তাঁদের মাঝে এসে দাঁড়ালেন আর বললেন, ‘তোমাদের শান্তি হোক্!’ 37 কিন্তু তাঁরা ভয়ে চমকে উঠলেন৷ তাঁরা মনে করলেন বোধ হয় কোন ভূত দেখছেন৷ 38 কিন্তু যীশু তাঁদের বললেন, ‘তোমরা এত অস্থির হচ্ছ কেন? আর তোমাদের মনে সন্দেহই বা জাগছে কেন? 39 আমার হাত ও পা দেখ, আমার স্পর্শ করে দেখ, আত্মার এইরূপ হাড় মাংস থাকে না, কিন্তু তোমরা দেখতে পাচ্ছ আমার আছে৷’ 40 এই কথা বলে তিনি তাঁদের হাত ও পা দেখালেন৷ 41 তাঁদের এতই আনন্দ হয়েছিল ও য়ে তাঁরা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না৷ তাঁরা বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন৷ যীশু তাঁদের বললেন, ‘তোমাদের কাছে কিছু খাবার আছে কি? 42 তাঁরা তাঁকে এক টুকরো ভাজা মাছ দিলেন৷ 43 তিনি সেটি নিয়ে তাঁদের সামনে গেলেন৷ 44 তিনি তাঁদের বললেন, ‘আমি যখন তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, তখনই তোমাদের এসব কথা বলেছিলাম, আমার সম্বন্ধে মোশির বিধি-ব্যবস্থায়, ভাববাদীদের পুস্তকে ও গীতসংহিতায় যা কিছু লেখা হয়েছে তা পূর্ণ হতেই হবে৷’ 45 এরপর তিনি তাঁদের বুদ্ধি খুলে দিলেন, য়েন তাঁরা শাস্ত্রের কথা বুঝতে পারেন৷ 46 যীশু তাঁদের বললেন, ‘একথা লেখা আছে খ্রীষ্টকে অবশ্যই কষ্ট ভোগ করতে হবে, আর তিনি মৃত্যুর তিন দিনের দিন মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন৷’ 47 এবং পাপের জন্য অনুশোচনা ও পাপের ক্ষমার কথা অবশ্যই সমস্ত জাতির কাছে ঘোষণা করা হবে, জেরুশালেম থেকেই একাজ শুরু হবে আর তোমরাই এসবের সাক্ষী৷
লুক 24:1-48
ঈসা আল মসীহর বিজয়
‘প্রথম ফসলের’ সেই পবিত্র দিনে নবী ঈসা আল মসীহ
পিবিইউএইচ এক মহান বিজয়কে অর্জন করলেন যা তাঁর শত্রু এবং সঙ্গীরা সম্ভব বলে
বিশ্বাস করল না – মৃত্যুর উপরে বিজয়ী জীবনে তিনি ফিরে এলেন I যেমন ইঞ্জিল ব্যাখ্যা
করে:
54 এই ক্ষয়শীল দেহ যখন অক্ষয়তার পোশাক পরবে আর এই পার্থিব দেহ যখন অবিনশ্বরতায় ভূষিত হবে তখন শাস্ত্রে য়ে কথা লেখা আছে তা সত্য হবে:‘মৃত্যু জয়ে কবলিত হল৷’ 55 ‘মৃত্যু তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু তোমার হুল কোথায়?’ 56 মৃত্যুর হুল পাপ আর পাপের শক্তি আসে বিধি-ব্যবস্থা থেকে৷
1 করিন্থীয়ান 15:54-56
তবে এটি নবীর
জন্য কেবল একটি বিজয় ছিল না I এটি আপনার এবং আমার জন্যেও একটি বিজয় ছিল, যাকে
প্রথম ফসলের সময়ের সাথে গারান্টি দেওয়া হয়েছিল I ইঞ্জিল এটিকে এইভাবে ব্যাখ্যা
করে:
20 কিন্তু সত্যিই খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন, আর য়েসব ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তিনি তাদের মধ্যে প্রথম ফসল৷ 21 কারণ একজন মানুষের মধ্য দিয়ে য়েমন মৃত্যু এসেছে, মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থানও তেমনিভাবেই একজন মানুষের দ্বারা এসেছে৷ 22 কারণ আদমে য়েমন সকলের মৃত্যু হয়, ঠিক সেভাবে খ্রীষ্টে সকলেই জীবন লাভ করবে৷ 23 কিন্তু প্রত্যেকে তার পালাক্রমে জীবিত হবে; খ্রীষ্ট, যিনি অগ্রনী, তিনি প্রথমে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হলেন, আর এরপর যারা খ্রীষ্টের লোক তারা তাঁর পুনরুত্থানের সময়ে জীবিত হয়ে উঠবে৷ 24 এরপর খ্রীষ্ট যখন প্রত্যেক শাসনকর্তার কর্ত্তৃত্ব ও পরাক্রমকে পরাস্ত করে পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজ্য সঁপে দেবেন তখন সমাপ্তি আসবে৷ 25 কারণ যতদিন না ঈশ্বর তাঁর সমস্ত শত্রুকে খ্রীষ্টের পদানত করছেন, ততদিন খ্রীষ্টকে রাজত্ব করতে হবে৷ 26 শেষ শত্রু হিসেবে মৃত্যুও ধ্বংস হবে৷
1 করিন্থীয়ান 15:20-26
প্রথম ফসলের উৎসব হিসাবে সেই একই দিনে নবীকে জীবনে উত্থাপিত করা হ’ল যাতে আমরা জানতে পারি যে আমরা মৃত্যু থেকে এই একই পুনরুত্থানে অংশগ্রহণ করতে পারি I ঠিক প্রথম ফসলের উৎসবের ন্যায় নতুন জীবনের একটি উপহার ছিল সাথে পরবর্তী সময়ের বসন্তকালের প্রচুর ফসলের আশা ছিল, ইঞ্জিল আমাদের বলে যে ঈসা আল মসীহর উত্থান পুনরুত্থানের ‘প্রথম ফসল’ ছিল সাথে পরে সকলের জন্য এক বৃহত্তর পুনরুত্থানের আশা ছিল যারা ‘তাঁর মধ্যে থাকে’ I তাওরাত এবং কোরআন ব্যাখ্যা করে সেই মৃত্যু আদমের কারণে এসেছিল I ইঞ্জিল আমাদের বলে যে এক সমান্তরাল উপায়ে পুনরুত্থানের জীবন ঈসা আল মসীহর মাধ্যমে আসে I তিনি নতুন জীবনের প্রথম ফল যাতে অংশগ্রহণ করতে আমাদের সকলকে আমন্ত্রণ করা হয় I
ইস্টার: সেই রবিবারের
পুনরুত্থানের উৎসব পালন করা
আজ ঈসা আল মসীহর
পুনরুত্থানকে প্রায়শই ইস্টার রূপে উল্লেখ করা হয়, এবং যে রবিবারে তিনি
উঠেছিলেন তাকে ইস্টার রবিবার বলে প্রায়শই উল্লেখ করা হয় I তবে এই কথাগুলো
কয়েকশত বছর পরে ব্যবহারে এসেছিল I
নির্দিষ্ট কথাগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয় I যেটা গুরুত্ত্বপূর্ণ তা হ’ল প্রথম ফসলের
পরিপূর্ণতা হিসাবে নবীর পুনরুত্থান যার সূচনা কয়েক শত বছর পূর্বে মশির সময়ে শুরু
হয়েছিল, এবং এটি আপনার এবং আমার জন্য কি বোঝায় I
কালপঞ্জির মধ্যে
নতুন সপ্তাহের রবিবারের জন্য এটিকে দেখা যায়:
ঈসা আল মসীহ
প্রথম ফসলের দিনে মৃত্যু থেকে ওঠেন – আপনাকে ও আমাকে মৃত্যু থেকে নতুন জীবনের
উপহার দেন I
‘শুভ শুক্রবার’ এর উত্তর
এছাড়াও এটি ‘শুভ শুক্রবার’ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেয় I যেমন ইঞ্জিল ব্যাখ্যা করে:
9 কিন্তু আমরা যীশুকে দেখেছি, য়াঁকে অল্পক্ষণের জন্য স্বর্গদূতদের থেকে নীচে স্থান দেওয়া হয়েছিল৷ সেই যীশুকেই এখন সম্মান আর মহিমার মুকুট পরানো হয়েছে৷ কারণ তিনি মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করেছেন এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহে সকল মানুষের জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন৷
ইব্রীয় 2:9
যখন তিনি
শুক্রবারে ‘মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করলেন’ তিনি তা আপনার, আমার এবং ‘প্রত্যেকের’
জন্য করলেন I যেহেতু এটি আমাদের জন্য শুভ ছিল তাই এর নাম শুভ শুক্রবার I
প্রথম ফসল উৎসবের দিনে যখন তিনি উঠলেন তখন তিনি প্রত্যেককে নতুন জীবন উপহার দিলেন
I
কোরআনের মধ্যে ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থান এবং শান্তি
যদিও সংক্ষিপ্ত বিবরণে দেওয়া হয়েছে,
কোরআন ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থানকে তিনটি অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে
একটি হিসাবে চিহ্নিত করেছে I সুরা মারইয়ম এটির এইভাবে ফিরিস্তি দেয়:
আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হব।
সুরা মারইয়ম 19:33
ইঞ্জিল এছাড়াও ঈসা আল মসীহর জন্ম, তাঁর মৃত্যু এবং এখন তাঁর পুনরুত্থানের উপরে জোর দেয় I যেহেতু তাঁর পুনরুত্থান ‘প্রথম ফল’, সেইহেতু শান্তি যা তাঁর পুনরুত্থানের মধ্যে নবীর উপরে ছিল তা এখন আপনার এবং আমার কাছেও উপলব্ধ আছে I ঈসা আল মসীহ এটিকে দেখিয়েছিলেন যখন তিনি পরে তাঁর পুনরুত্থানের দিনে তাঁর শিষ্যদের শভেচ্ছা জানিয়েছিলেন:
19 দিনটা ছিল রবিবার, সেদিন সন্ধ্যায় শিষ্যরা একটি ঘরে জড়ো হলেন৷ ইহুদীদের ভয়ে তাঁরা ঘরের দরজায় চাবি দিয়ে দিলেন৷ এমন সময় যীশু এসে তাঁদের মাঝে দাঁড়ালেন, আর বললেন, ‘তোমাদের শান্তি হোক৷’ 20 একথা বলার পর তিনি তাঁদেরকে তাঁর হাত ও পাঁজরের পাশটা দেখালেন৷ শিষ্যেরা প্রভুকে দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দিত হলেন৷ 21 এরপর যীশু আবার তাঁদের বললেন, ‘তোমাদের শান্তি হোক! পিতা য়েমন আমাকে পাঠিয়েছেন, আমিও তেমনি তোমাদের পাঠাচ্ছি৷’ 22 এই বলে তিনি তাঁদের ওপর ফুঁ দিলেন, আর বললেন, ‘তোমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর৷
যোহন 20:19-22
প্রথাগত শুভেচ্ছা যাকে মুসলমানরা এখন একে অপরের প্রতি প্রসারিত করে (সালাম আলেক্যুম – আপনার উপরে শান্তি হোক) তা তাঁর পুনরুত্থানকে শান্তির সঙ্গে সংযুক্ত করতে ঈসা আল মসীহর দ্বারা বহু পূর্বে ব্যবহৃত হত, যে শান্তিকে এখন আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে I আমাদের নবীর এই প্রতিশ্রুতিটিকে যখন আমরা শুনি বা এই শুভেচ্ছাকে বলি প্রত্যেক সময় মনে রাখা উচিত, এবং পবিত্র আত্মার বরদানের সম্বন্ধে চিন্তা করা উচিত, যা এখন আমাদের কাছেও উপলব্ধ রয়েছে I
ঈসা আল মসীহর পুনরুত্থানের
বিবেচনা
ঈসা আল মসীহ তাঁর সঙ্গীদের কাছে মৃত্যুর থেকে জীবিত হয়ে অনেক দিন ধরে নিজেকে দেখালেন I এই ঘটনাগুলোকে ইঞ্জিল থেকে এখানে বর্ণনা করা হয়েছে I তবে এমনকি তাঁর শিষ্যদের কাছে প্রথম উপস্থিতিতে আমাদের তা লক্ষ্য করা উচিত I
…তাদের কাছে অর্থহীন মনে হত
লুক 24:10
নবীকে নিজেই
করতে হয়েছিল:
27 আর তিনি মোশির পুস্তক থেকে শুরু করে ভাববাদীদের পুস্তকে তাঁর বিষয়ে যা যা লেখা আছে, শাস্ত্রের সে সব কথা তাঁদের বুঝিয়ে দিলেন৷
লুক 24:27
এবং আবার তার
পরে:
44 তিনি তাঁদের বললেন, ‘আমি যখন তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, তখনই তোমাদের এসব কথা বলেছিলাম, আমার সম্বন্ধে মোশির বিধি-ব্যবস্থায়, ভাববাদীদের পুস্তকে ও গীতসংহিতায় যা কিছু লেখা হয়েছে তা পূর্ণ হতেই হবে৷’
লুক 24:44
আমরা কিভাবে
নিশ্চিত হতে পারি এটি কি বাস্তবিকই আল্লাহর পরিকল্পনা এবং সরাসরিভাবে আমাদেরকে
মৃত্যুর থেকে জীবন দেয়? কেবলমাত্র ঈশ্বর ভবিষ্যত জানতে পারেন, তাই তাওরাত এবং
যাবুরে কয়েক শত বছর পূর্বে নবীদের মাধ্যমে চিহ্নগুলো প্রকাশিত হয়েছিল, এবং ঈসা আল
মসীহর পূর্ণতা আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়ার
জন্য লেখা হয়েছিল:
4 যার ফলে আপনি জানবেন, য়ে বিষয়গুলি আপনাকে জানানো হয়েছে সেগুলি সত্য৷
লুক 1:4
যার দ্বারা ঈসা
আল মসীহর বলিদান এবং পুনরুত্থানের এই অত্যাবশক প্রশ্নটির উপরে আমরা অবহিত হতে পারি,
তা উপলব্ধ চারটি বিভিন্ন নিবন্ধকে সংযুক্ত করে:
1. এটি ঈসা আল মসীহর প্রতি ইঙ্গিতকারী মশির তাওরাতে দেওয়া চিহ্নগুলোকে পর্যালোচনা করে I
2. এটি ‘নবী সমূহ এবং গীতসংহিতার মধ্যে চিহ্নগুলোকে পর্যালোচনা করে I এই নিবন্ধ দুটি আমাদের নিজেদের জন্য বিচার করতে অনুমতি দেয় এটি কি বাস্তবিকই লেখা হয়েছিল যে “মসীহ কষ্টভোগ করবেন এবং তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে উঠবেন”
লুক 24:46
3. এটি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে ঈসা আল মসীহর থেকে পুনরুত্থিত জীবনের এই উপহারটিকে পাওয়া যায় I